আজকের ডিজিটাল যুগে ডেটার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ডেটা অ্যানালাইসিস ও ভিজ্যুয়ালাইজেশন খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। এমনকি ডেটাসংক্রান্ত পেশার জনপ্রিয়তার জন্য ডেটা সায়েন্স বিষয়টিকে উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ্যক্রমেও চালু করা হচ্ছে। বিভিন্ন কোম্পানিতে ক্রেতাদের পছন্দ-অপছন্দ বোঝার জন্য ডেটা সংগ্রহ করে তার বিশদ ব্যাখ্যা বুঝে ও মূল্যায়ন করেই কোম্পানিগুলো তাদের নানাবিধ প্রোডাক্ট বানায়। তাই যদি আপনি কোনো ডেটা থেকে সহজেই কোনো প্যাটার্ন বানাতে পারেন বা আপনার বিশ্লেষণী ক্ষমতা ব্যবহার করে যেকোনো সমস্যার সমাধানে পারদর্শী হন, তা হলে ডেটা অ্যানালিস্ট হিসাবে আপনিও প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন। ডেটা অ্যানালাইসিসের গুরুত্ব আরও অনেক দিক থেকে বলা যেতে পারে : ক্রেতা ও প্রতিযোগী সংস্থার মনোভাব বোঝা : ডেটা অ্যানালিসিসের মাধ্যমে ক্রেতা ও প্রতিযোগী সংস্থার মনোভাব বোঝা সম্ভব হয় এবং তাই কোনো সংস্থার সম্ভাব্য সাফল্য বা ব্যর্থতাও অনুমান করা যায়। এছাড়াও ডেটা অ্যানালিসিসের দ্বারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোন পোস্ট বা ট্রেন্ড ভাইরাল হচ্ছে, কোন সিনেমা মানুষ পছন্দ করছে, এমনকি কোন সময়ে কোন লেখা পোস্ট করলে বেশি লোক দেখছে, তা-ও বোঝা সম্ভব হয়। অভিজ্ঞতা অর্জন করতে সাহায্য করে : ডেটা অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে একটি ব্যবসা, প্রকল্প, বা প্রতিষ্ঠানের কাজের পারফরম্যান্স বৃদ্ধি করা যায়। এটি ব্যবসায় অভিজ্ঞতা অর্জন করতে সাহায্য করে। ভবিষ্যতের প্রজ্ঞান তৈরি করতে সাহায্য করে : ডেটা অ্যানালাইসিস দ্বারা পূর্বের তথ্য থেকে ভবিষ্যতের প্রজ্ঞান তৈরি করা যায়, যাতে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় এবং ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে ভবিষ্যতে যে ধরনের পরিবর্তন হতে পারে তা অনুমান করা যায়। গবেষণা এবং নতুন উদ্ভাবন আবিষ্কার করতে সাহায্য করে : ডেটা অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে নতুন উদ্ভাবন আবিষ্কার করা হয় যা গবেষণা, উদ্যোগ, এবং ব্যক্তিগত বা পেশাদার কাজে সাহায্য করে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সাহায্য করে : ডেটা অ্যানালাইসিস প্রাপ্ত তথ্য ও জ্ঞানের আলোকে ভালো সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। ব্যক্তিগত সফলতা বা অর্জিত অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা করতে সাহায্য করে : ব্যক্তিগত সফলতা বা অর্জিত অভিজ্ঞতা দেখে ডেটা অ্যানালাইসিস করা হয় যাতে আমাদের জীবনেকে সঠিক এবং উপযোগী দিকে পরিচালিত করা যায়। মার্কেট রিসার্চে ব্যবহার করা হয় : পণ্য বা পরিষেবা উন্নত করতে, নতুন পণ্য বা সেবা উৎপাদন করতে, মার্কেটিং রিসার্চ করার জন্য ডেটা অ্যানালাইসিস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কারণে, ডেটা অ্যানালাইসিস একটি ব্যবসা, গবেষণা, বা যেকোনো ধরনের সংগঠনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। তাই সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া, সঠিক পথে চলা, এবং সার্বিক সফলতা অর্জনে সাহায্য করতে ডেটা অ্যানালাইসিস অপরিহার্য। এই বইটিতে দেখানো হয়েছে কীভাবে ডেটা অ্যানালাইসিস ও ভিজ্যুয়ালাইজেশন করতে পাইথন ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশনের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগুলো দেখানো হয়েছে। বইটিতে ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট এনভায়রনমেন্ট (IDE) হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে বহুল ব্যাবহৃত এবং ডেটা অ্যানালাইসিসের জন্য বিশেষায়িত জুপিটার নোটবুক। প্রোগ্রামিং কৌশলগুলো রপ্ত করতে করতে ডেটা অ্যানালাইসিস ও ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশনের দিকে এগিয়ে গেলে, আপনি বুঝতে পারবেন বইটি কীভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের চাবিকাঠি হয়ে উঠছে এবং আপনার বিশ্বস্ত সঙ্গী হয়ে যাচ্ছে। এই বইটি তাদের জন্য যারা পাইথন দিয়ে ডেটা অ্যানালাইসিস ও ভিজ্যুয়ালাইজেশন শিখতে চান এবং ডেটা অ্যানালিস্ট বা ডেটা ইঞ্জিনিয়ার হতে চান। এটির জন্য প্রাথমিক প্রোগ্রামিং জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। তাই এই বইটি পড়ার আগে আমার লেখা ‘সবার জন্য পাইথন’ বইটি পড়ে নিলে ভালো হয়।
Title
ডেটা অ্যানালাইসিস ও ভিজ্যুয়ালাইজেশনে পাইথনের ব্যবহার
আকছাদুর রহমানের বাড়ি মেহেরপুর জেলার মেহেরপুর সদরে। বাবা মো. আব্দুল মুছাব্বের বিশ্বাস। মা মোছাম্মৎ আফরোজা বেগম। কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ম্যানেজমেন্টে অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন। পরবর্তী সময়ে আইবিএম এইচ থেকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওপর পড়াশোনা করেছেন। তারও পরে তিনি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টার্স করেছেন। সফটওয়্যার কোডিং, পরিকল্পনা, ডিজাইন, কাস্টমাইজেশন, বাস্তবায়ন, প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং প্রশিক্ষণে প্রায় ২০ বছরের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। Python, C, C++, C# Net, SQL সার্ভার, ভিজ্যুয়াল বেসিক এবং ওয়েবভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশনের জন্য ASP.Net PHP, MySQL, HTML5-এ বিশেষায়িত। এ ছাড়াও ডেটা সায়েন্স, মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম, UML ডাইয়াগ্রাম ও সফটওয়্যার রিকোয়ারমেন্ট অ্যানালাইসিস এ বিশেষ পারদর্শী। ফিন্যান্সিয়াল, ব্যাংকিং, সেলস ম্যানেজমেন্ট, কাস্টমার সাপোর্ট এবং হাসপাতাল ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস ইত্যাদি অ্যাপ্লিকেশনে ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে। প্রজেক্ট ম্যানেজার, প্রোগ্রাম ম্যানেজারসহ লিড সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, QA ইঞ্জিনিয়ার ও সাপোর্ট স্পেশালিস্ট পদে দীর্ঘ সময় ধরে ইজেনারেশন, ডেটাবিজ সফটওয়্যার, মিডিয়াসফট, আখতার গ্রুপ, HRC টেকনোলজি লিমিটেড, ISN ইত্যাদি কোম্পানিতে চাকরির অভিজ্ঞতা রয়েছে। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কনসালট্যান্সির পাশাপাশি ডেটা সায়েন্স এবং মেশিন লার্নিংয়ের ওপর ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিসহ (UIU) বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা (PGD) ও অন্যান্য কোর্সে শিক্ষকতা করছেন। শৈশব থেকেই লেখালেখির পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠন ও সেবামূলক কাজের সঙ্গে জড়িত। তিনি একজন স্কাউট। ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ স্কাউটের পক্ষ থেকে তৎকালীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে "প্রেসিডেন্ট স্কাউট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। 'সবার জন্য পাইথন' লেখকের কম্পিউটার ও টেকনোলজি বিষয়ে লেখা প্রথম বই। এর আগে বিভিন্ন পাবলিকেশন থেকে ছোটদের জন্য লেখা লেখকের বেশ কিছু ছড়া ও গল্পের বই প্রকাশ পেয়েছে।