এই গ্রন্থের সারকথা ‘দিফা আনিল কুরআন’ বা কুরআনের প্রতিরক্ষা । দীর্ঘ , বিরতিহীন মগ্নতা ও তন্ময়তার ভেতর থেকে বইটির বিনির্মাণ । জটিল, গুরুতর ও সূক্ষ্ম এক বিতর্কের মধ্য দিয়ে আবর্তিত গোটা বই । যে সব গ্রন্থের জবাবী আলাপ এখানে আছে, সেগুলো দুনিয়াজুড়ে সেক্যুলার একাডিমিয়ায় অত্যন্ত প্রভাবশালী । এই গ্রন্থের আর্টিক্যালগুলো সরাসরি মুখোমুখি হয়েছে পশ্চিমা জগতের ফাদার অব কুরআনিক ক্রিটিসিজম থিউডর নলডেকের, তার ডক্টরেট থিসিস The History of the Qurʾan এর আপত্তিসমূহের উপর পণ্ডিতি দৃষ্টিপাত করেছে এই বই। একইভাবে কুরআনের টেক্সটকে ভুল হিসেবে প্রতিপন্ন করার চেষ্টায় আর্থার জ্যাফরির বিখ্যাত কাজ Materials for the History of the Text of the Qur’an, এবং The Textual History of the Qur’an, রিচার্ড বেলের বিপুলায়তন কাজ Introduction to the Qurʾān Islamic Surveys, গোল্ড যিহারের Introduction to Islamic Theology and Law এর কুরআন অধ্যায়, উইলিয়াম টিসডাল এর বিখ্যাত The Original Sources Of The Quran এবং রেজিস ব্লাচের এর Introduction au Coran এই গ্রন্থের বিচারের আওতায় এসেছে। প্রত্যেকের ভ্রান্তির উপর দীর্ঘ আলোকপাত রয়েছে আলাদা আলাদা প্রবন্ধে। সাম্প্রতিক পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে কুরআন নিয়ে আপত্তিমুখর গবেষণাসমূহের মূলে আছে এইসব গ্রন্থ ও গ্রন্থকার। ফলে এগুলোর সাথে জ্ঞানীয় মোকাবেলার বয়ান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিবিধ কারণে আল কুরআন: পশ্চিমা আপত্তির সাথে বাহাস সমসাময়িক কুরআনী জ্ঞান ও তত্ত্বচর্চায় এক অসামান্য সংযোজন।
কবি, গবেষক ও আলেম মুসা আল হাফিজ। ১৯৮৪ সালের ৫ অক্টোবর সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের মাখর-গাঁও গ্রামে তাঁর জন্ম। ১৯৯৫ সালে, ১১ বছর বয়সে কুরআন মজিদের হিফজ সম্পন্ন করেন। ২০০৭ সালে কৃতীত্বের সাথে তাকমিল ফিল হাদীস (মাস্টার্স সমমান) সম্পন্ন করেন। জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ তরুণ আলেম প্রতিভা-২০০৮ এ সম্মানীত হন। ২০০৯ সালে কর্মজীবনের শুরু ঐতিহ্যবাহী বিশ্বনাথ জামেয়া মাদানিয়ায় শিক্ষকতা এবং মাসিক আল ফারুকের উপদেষ্টা সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে। ২০১৬ সালে উচ্চতর ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জামেয়াতুল খায়র আল ইসলামীয়া সিলেটে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে যোগদান করেন। ২০১৯ সালে ঢাকায়, যাত্রাবাড়ীতে প্রতিষ্ঠা করেন ইসলামী দা‘ওয়াহ ও গবেষণা কেন্দ্র মা‘হাদুল ফিকরি ওয়াদদিরাসাতিল ইসলামিয়া। বর্তমানে ইসলামিক হিস্ট্রি অ্যান্ড কালচার অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের চেয়ারম্যানের দায়িত্বপালন করছেন। ২০১১ সালে হয় তার কবিতা নিয়ে প্রকাশিত হয় কবি-সমালোচক মুকুল চৌধুরীর সনাক্তধর্মী আলোচনা ‘মুসা আল হাফিজ: কবিতার নতুন কণ্ঠস্বর’। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. রিজাউল ইসলাম তার সাহিত্যকর্ম নিয়ে লিখেন গবেষণাগ্রন্থ- মুসা আল হাফিজের মননবিশ্ব (২০১৮)। তরুণ কবি এম আসাদ চৌধুরীর সম্পাদনায় ২০১৯ সালে প্রকাশিত হয় তার সাহিত্যকর্ম নিয়ে বিশজন আলোচকের পর্যালোচনাগ্রন্থ ‘মননের কবি, বৈদগ্ধের দৃষ্টিতে’। বিভিন্ন বিষয়ে তিনি ৫০টির অধিক বই লিখেছেন।