কবিতা কবির ঘোরের ফসল। এ-ঘোরের গাঢ়তা থেকে শব্দে শব্দে ফুটে উঠে কবির ভাবনা ভাষ্য। সমাজ, সংসার ও যাপনের সংস্কৃতি, ভাবনা, কল্পনা আর অনুধ্যানের ভেতর দিয়ে উপলব্ধির অমোঘ অনুপান শব্দরাজি পরিস্রুত হয়ে রূপান্তরিত হয় কবিতার পঙ্ক্তিতে। এবং প্রতিটি পঙ্ক্তি স্বতন্ত্র গভীরতায় নানামাত্রিক অর্থ-ব্যঞ্জনায় মন্দ্রিত হয়ে উঠে এক একটি কবিতায়। কবিতা তাই বহুস্তরিক ও বহুমুখী। প্রত্যেক পাঠকের বোধের আলোয় কবিতা ধারণ করে ভিন্ন ভিন্ন দ্যোতনাময় অবয়ব। পাঠকের বিচারই তার চূড়ান্ত ভরসার জায়গা। সমকাল-ধার্য কবিতাবলি মহাকালের পাঠকের হাতে সমর্পিত থাকে। মানবিক বোধ-বুদ্ধি ও আবেগের সর্বজনীনতার সুবাদে কবিতার মূলে নিহিত থাকে ভাবনার বৈশ্বিকতা ও চিন্তার চিরন্তনতার চির চলিষ্ণু প্রবাহ। এ কারণে, সত্যিকারের কবিতা এক দেশের হয়েও সব দেশের, এক কালের হয়েও সব কালের, এক ভাষার হয়েও সকল ভাষার। এবং শেষ পর্যন্ত কবিতা সকল মানুষের। মানুষের হাতেই কবিতা আদৃত ও সমাদৃত সকল ঋতুতে সম্পন্ন সকালে যেমন তেমনই বিপন্ন বিকেলে, আলোকোজ্জ্বল দিনে যেমন তেমনই ঘোর কৃষ্ণ রাতে। জয় হোক কবিতার ও কবিতাপ্রেমি সকল মানুষের। দু-হাজার চব্বিশের অমর একুশে বইমেলায় ‘তৃতীয় চোখ’ প্রকাশন থেকে বেরুলো আমার কাব্য ‘নেমে এসো বৃষ্টি ফোঁটার অনিবার্যতায়’।