আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি গোটা বাংলাদেশ। শুধু বাংলাদেশ বলছি কেন, এই যুদ্ধের অংশীদার পশ্চিমবঙ্গের মানুষ, ভারত সরকার। এই যুদ্ধ ছড়িয়ে গিয়েছিল সারা পৃথিবীতে। তৎকালীন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নিক্সন, সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার হেনরি কিসিঞ্জার প্রমুখ যেমন পশ্চিম পাকিস্তানকে মদদ দিয়েছে, চরিত্রহীন-লম্পট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে আঁতাত করেছে; অপরদিকে ইউরোপ-আমেরিকার সাধারণ জনগণ বাংলাদেশের পক্ষে রাস্তায় নেমেছে, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এই কাজের নেপথ্যের মানুষদের আমরা কতটুকু জানি? আমাদের স্বাধীনতা আপনাতেই আসে নি। এর পেছনে ছিল কোটি মানুষের আত্মত্যাগ। একদিকে যেমন তাজউদ্দীন আহমদ ও তাঁর প্রবাসী সরকার নিরলসভাবে হাজারো সমস্যা মোকাবেলা করে যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন, অন্যদিকে সেক্টর কমান্ডাররা পাকিস্তানি মিলিটারির সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধ পরিচালনা করেছেন। বাংলার হাজার হাজার দামাল ছেলেমেয়ে দেশের জন্যে প্রাণ দিতে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। সেই সময়ের প্রতিটা জীবনই একটি উপন্যাসের প্রেক্ষাপট। বহু গল্প বলা হয় নি, বহু গল্প জানা হয় নি, হারিয়ে গেছে বিস্মৃতির আড়ালে। আবার বহু গল্প ইচ্ছে করেই আমাদের জানতে দেওয়া হয় নি। সেসব জানা-অজানা গল্প নিয়েই 'উতল হাওয়া'।
জন্ম ১৯৬৮ সালের ৬ জানুয়ারি, বাংলাদেশের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে। স্বপ্ন আর সঙ্গতির সংঘাতে বেড়ে ওঠা। ১৯৯৪ সাল থেকে সিঙ্গাপুরে বসবাস। শিল্প-সাহিত্যের প্রতি আজন্ম অনুরাগ। দেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, অনলাইন প্লাটফর্মে নিয়মিত লিখছেন—কখনাে। গল্প, কখনাে ভ্রমণকাহিনি। পছন্দ : বইপড়া, আড্ডা, ভ্রমণ এবং গান । অপছন্দ : মৌলবাদ আর কানে খাটো মানুষ। প্রকাশিত গ্রন্থ— সন্ধ্যার মেঘমালাপ (অন্যপ্রকাশ), পথে যেতে ডেকেছিলে (অন্যপ্রকাশ), পরানে বাজে বাঁশি (অন্যপ্রকাশ), আকাশের আড়ালে আকাশ। (অন্যপ্রকাশ), পুতুলের সংসার (অন্যপ্রকাশ), পথে যেতে ডেকেছিলে (অন্যপ্রকাশ), ওল্ড ফুলস ক্লাব (অবসর প্রকাশনী), দ্যা সানবার্ড (পাঞ্জেরি প্রকাশনী)।