গাজি পরিবারে বিশৃঙ্খলা আর পতন শুরু হয় বাড়ির বড় বৌ রিমির একটি সিদ্ধান্তে। সেই পতন তলানিতে যেয়ে ঠেকে পরিবারের দুই সদস্যের খুনের পর। বাড়ির এক সদস্যের উপর যেয়ে পড়ে খুনের দায়। পরিবারটি মানতে চায় না কিন্তু নিজেদের বিশ্বাসের পক্ষে কোনো প্রমাণও দিতে পারে না। এদিকে খুনের দায়গ্রস্থ সদস্যটি নিখোঁজ। পুলিশের ভাষ্যমতে সে পলাতক। জোড়া খুনের রহস্যের কিনারা হওয়ার আগেই পরিবারে আসে আরেকটি মৃত্যুর খবর। সামাজিক ও পারিবারিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে গাজিবাড়ির বাকি সদস্যরা। যেন এক প্রলয়ঙ্কারী ঝড় বয়ে যায় পরিবারটির উপর দিয়ে। রিমি ঝাঁপিয়ে পড়ে ওর পরিবারকে আগলে রাখতে। এদিকে পুলিশ অফিসার রাজন চৌধুরি যেন এক রহস্যময় চরিত্র। গাজিবাড়িতে এসেছিল জোড়া খুনের তদন্ত করতে। কিন্তু কী তার প্রকৃত পরিচয়? গাজিবাড়ি যখন হঠাৎ উদ্ভুত পরিবেশ পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে তখন রহস্য আরো ঘনীভূত হয় রুমকির আত্মহত্যার ঘটনায়। এক মায়ের আকুতি, একটি নিঃসন্তান দম্পতির সম্পর্কের টানাপোড়েন, দুটি হত্যা, একটি মৃত্যু, একটি আত্মহত্যাকে ঘিরে এই থ্রিলার কাহিনী। অমনোযোগ, অবহেলা আর ভুল বোঝাবুঝিতে উপচে পড়ছিল গাজি পরিবার। আলগা হয়ে গিয়েছিল কাছের মানুষের সাথে সম্পর্কগুলো। চারপাশে চলতে থাকা ঝড় সামলাতে গিয়ে তারা কি আবার বাঁধা পড়ল সম্পর্কের আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধনে? প্রকৃতিতে ঝড়ে সব বিধ্বস্ত হলেও ঝড়ের পর পুনরায় শুরু হয় নতুনের আগমন। গাজি পরিবারেও কি সেরকম হলো? জোড়া খুন, মৃত্যু গাজি পরিবারের থেকে কেড়ে নিল অনেক। অনেক হারিয়ে কিছু ফিরেও পেল কি তারা? আর সেই রহস্যময় রাজন চৌধুরির পরিচয় প্রকাশ? এইসব প্রশ্নের সাথে উত্তর আছে আষ্ঠেপৃষ্ঠে সামাজিক থ্রিলারে। সংগ্রহ করুন এবং পড়ুন আষ্টেপৃষ্ঠে।
তাসনুভা সোমা একজন ব্রিটিশ-বাংলাদেশী লেখক। তার জন্ম, পড়াশোনা ও বেড়ে ওঠা প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর ঢাকা শহরে। এসএসসি ও এইচএসসি শেষ করেন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে। মাতৃভূমি ছেড়ে বিলেতে আসার পর উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন ব্যবসায়িক প্রশাসনে। এছাড়াও ডিপ্লোমা করেছেন বেশ কয়েকটি বিষয়ে। সন্তান ও পারিবারকে সময় দেয়ার উদ্দেশ্যে এক সময় সরে আসেন কর্মজীবন থেকে। তিনি দীর্ঘদিন যাবত বিলেতে বসবাস করলেও, বাংলা ভাষার প্রতি অপরিসীম টান থেকে বাংলায় সাহিত্য চর্চা করে গেছেন নিয়মিত। ছোটবেলা থেকেই লেখার অভ্যাস তার। তবে লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ২০১৯সালে। শখ থেকে তার লেখার শুরু এবং লিখছেন সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায়। পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লেখা ছাড়াও লিখছেন উপন্যাস, ছোটোগল্প, বড়গল্প, প্রবন্ধ, কবিতা ও ভ্রমণ কাহিনি। লেখকের পছন্দের বিষয়ের মধ্যে আছে মানবজীবন ঘেষা ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং অর্থনীতি। লিখতে ভালবাসেন চারপাশে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক ঘটনাবলী, ইতিহাস, মানবজীবনের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না নিয়ে। বিভিন্ন পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে তার লেখা দেড় শতাধিক কলাম ছাড়াও ছাপা হয়েছে ভ্রমণ কাহিনি, ছোট গল্প ও প্রবন্ধ।