থ্রিল, রোমান্স, স্বচ্ছ ভালোবাসার কাহিনী একটি গল্পের প্রাণ। আমার জীবনের একটা প্রধান অংশ কেটেছে ইন্ডিয়ার স্কুল ও কলেজে। স্কুল থেকে কলেজের দূরত্ব প্রায় বিশ মাইল। এই দুইটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই পৃথক স্থানে আনুমানিক শতাধিক বিঘা জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত। এছাড়া প্রয়োজনীয় বই কেনার জন্য প্রায়ই কোলকাতায় যেতে হোত। সে কারণে বহু বিচিত্র মানুষের সংস্পর্শে এসে বিচিত্র ঘটনার সম্মুখীন হয়েছি, অবলোকন করেছি অবিশ্বাস্য অনেক ঘটনা। আর বাকি জীবন অতিবাহিত হচ্ছে বাংলাদেশে। এখানে ব্যাংকের চাকরির সুবাদে দেশের প্রায় বেশিরভাগ জেলাতে যেতে হয়েছে এবং ব্যাংকে দীর্ঘ বত্রিশ বছরের জীবন কেটেছে। চাকরি থেকে রিটায়ারমেন্ট এর পরও বিশ বছর বিভিন্ন বড় শিল্প, বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার প্রেক্ষিতে নানান মানুষ, ব্যবসায়ী, শিক্ষকসহ বহু মানুষের সংস্পর্শে আসতে হয়েছে। এছাড়া ইন্ডিয়ার হুগলী জেলা, বর্ধমান জেলা এবং কোলকাতার বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত ছিল। অস্ট্রেলিয়ার মেয়ের কাছে যেয়ে বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হয়েছে এবং সেসব কারণে আমার সর্বাঙ্গিন জীবনে দেশে বিদেশে যেখানে যা ঘটেছে, বিস্ময়কর অবাক করার মত ঘটনা যা দেখেছি তার সবটুকু ছোটো গল্পে বৈচিত্র্যপূর্ণ সর্বাধুনিক ভাষাশৈলী ব্যবহার করে চিত্তাকর্ষকভাবে তুলে ধরেছি, অবাক করা ভীষণ আবেগে শিহরিত, রোমাঞ্চিত হবেন যে কোন পাঠক।
স্কুল এবং কলেজ লাইফ কেটেছে ইন্ডিয়াতে। গ্রাজুয়েশনের পর ঢাকাতে সিটি ল কলেজে ল (আইন) পড়ি এবং ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষায় ডিস্টিংশনসহ উত্তীর্ণ হই। কর্মজীবনে তৎকালীন ইউনাইটেড ব্যাংক লিমিটেড (ইউবিএল) এ অফিসার র্যাংকে যোগদান করি এবং জনতা ব্যাংক থেকে এজিএম হিসেবে অবসর গ্রহণ করি। ইতিপূর্বে চাকরিকালীন সময়ে দেশের বরেণ্য সঙ্গীত শিল্পী আব্বাসউদ্দীন আহমদ সাহেব এর নামে খিলগাঁও-এ সাংস্কৃতিক (সব ধরনের গান, নাচ, তবলা ইত্যাদি) প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন এক্সিকিউটিভ কমিটির মেম্বার ছিলাম। অবসর গ্রহণ এর পর দেশের বৃহৎ প্রতিষ্ঠান নিটল মটরস এর ব্যাংকিং ডিভিশনে এজিএম হিসেবে কিছুদিন কাজ করার পর দেশের একটি অন্যতম বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান নোমান গ্রুপ অফ ইন্ড্রাস্ট্রিজ এর বৃহৎ গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানে ডিজিএম হিসেবে চুক্তিভিত্তিক জয়েন করি। এরপর অপর একটি ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানিতে জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে চুক্তিভিত্তিক কাজ করি। পরবর্তীতে দেশের একটি অন্যতম বৃহৎ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ফ্রেন্ডস বুক কর্ণার প্রাইভেট লিমিটেড-এ প্রশাসন ও একাউন্টসের দায়িত্বে প্রায় আট বছর কর্মরত ছিলাম। ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস এর প্রাদুর্ভাব ঘটলে দেশের ব্যবসা বাণিজ্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রায় স্থবির হয়ে পড়লে সাহিত্যকর্মে আত্মনিয়োগ করি। সামাজিক উপন্যাস, রহস্য উপন্যাস, বিস্ময়কর জীবনভিত্তিক ছোট গল্প, বিস্ময়কর ভৌতিক কাহিনী ইত্যাদি লেখায় ব্যাপৃত আছি। আমি ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দা, স্ত্রী গৃহিণী। আমার এক ছেলে, এক মেয়ে। ছেলে জাতিসংঘের এফএও-তে এ্যাডমিন এন্ড ফাইনান্স এ্যাসিসট্যান্স হিসেবে দীর্ঘ পাঁচ বৎসরাধিক কাজ করার পর বর্তমানে আইওএম (ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন) এ কর্মরত। মেয়ে অস্ট্রেলিয়ান ডাক্তার, জামাই ইঞ্জিনিয়ার (ডক্টরেট) অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল গভ. এ কর্মরত এবং অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দা।