ইন্ডিয়ার হুগলি জেলায় নেতাজি মহাবিদ্যালয়ে ছাত্র থাকাকালীন এক বাৎসরিক অনুষ্ঠান (সম্ভবত ১৯৬৬ সাল) কলেজ সংলগ্ন বিশাল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ঐ মহতী অনুষ্ঠানে কলেজের এক সম্মানিত উপদেষ্টা বা শুভানুধায়ী তাঁর বক্তৃতায় স্টুডেন্টদের উদ্দেশ্যে করে প্রসঙ্গক্রমে বলেছিলেন- "তোমরা স্টুডেন্টরা মন দিয়ে লেখাপড়া করো যাতে আমাদের এই কলেজের সুনাম বৃদ্ধি হয়। তিনি একটা প্রাণীর উদাহরণ দিয়ে বলেছিলেন যে ঐ প্রাণীর কাজ হচ্ছে শুধু খেয়ে বেঁচে থাকা আর বাচ্চা উৎপাদন করা। কিন্তু তোমরা জ্ঞান অর্জন কোরছো কলেজে লেখাপড়া শিখে, তাই তোমাদের কাজ হবে সৃজনশীল কিছু কাজ করা বা নতুন কিছু উদ্ভাবন করা- যাতে এই কলেজের সুনাম বৃদ্ধি হয়।" ব্যাংক থেকে রিটায়ারমেন্ট এর পর প্রায় বিশ বছর কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে (ডিজিএম/জিএম) হিসেবে চুক্তিভিত্তিক কাজ করতে থাকাকালীন সময়ে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে দেশের ব্যবসা বাণিজ্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রায় স্থবির হয়ে পড়ে। এহেন পরিস্থিতিতে নেতাজি মহাবিদ্যালয়ের ঐ উপদেষ্টা মহোদয়ের উপদেশ স্মরণ করে সৃজনশীল কিছু করার কথা ভাবতে থাকি। এবং তৎক্ষণাৎ সাহিত্য চর্চায় মনোনিবেশ করি। অতঃপর ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে আমার লেখা সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী সৃজনশীল সামাজিক উপন্যাস 'রাজেন্দ্র নন্দিনী' প্রকাশিতা হয় বিখ্যাত প্রকাশক জ্ঞানকোষ প্রাকশনীর মাধ্যমে। উপন্যাসটি কোলকাতার আন্তর্জাতিক বইমেলা ও ঢাকা গ্রন্থমেলায় যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে এবং দেশে-বিদেশে rokomari.com এর মাধ্যমে অন লাইনে উপন্যাসটি সংগ্রহ করছেন আমার অনেক শুভানুধ্যায়ী, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন। আমার লেখা 'রাজেন্দ্রনন্দিনী' উপন্যাসটি নিয়ে প্রায় ৬০ (ষাট) বছর পরে আমার কলেজ জীবনের প্রতিষ্ঠান নেতাজি মহাবিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল মহোদয় এবং রায় কেপি পাল বাহাদুর (উঃ মাঃ) হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মহাশয়কে হস্তান্তর করলে তাঁরা উষ্ণ অভ্যর্থনা, অভিনন্দন ও প্রশংসা করেন। এছাড়াও আমার জন্মভূমি থানা এলাকায় রাজা রামমোহন রায় কলেজের প্রিন্সিপাল এবং আমার গ্রামের সারদামনি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (উঃ মাঃ) এর প্রধান শিক্ষিকা মহাশয় একইভাবে আমার উপন্যাসটি পেয়ে উষ্ণ অভিনন্দন জানান, ভূয়সী প্রশংসা ও সমাদর আপ্যান করেন- যা আমাকে ভীষণভাবে অভিভূত করে এবং উপন্যাস লিখতে অনুপ্রেরণ যোগায়। দেশের প্রখ্যাত স্বনামধন্য অন্যতম প্রকাশক মল্লিক ব্রাদার্স এর জনাব সহিদুল হাসান মল্লিক এর সার্বিক সহযোগিতা ও প্রবল উৎসাহ আমাকে সৃজনশীল ছোটগল্প, উপন্যাস ইত্যাদি লিখতে ভীষণ উৎসাহ যুগিয়েছেন। গুগলের সাহায্যও আমাকে নিতে হয়েছে। তাই তাঁদের সবার কাছেই আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞ। “শ্রেষ্ঠ বই জীবনকে সমৃদ্ধ করে ও আনন্দে ভরিয়ে তোলে।" "বাড়িতে ছোটো Home Library গড়ে তুলুন, বই পড়ুন।"
স্কুল এবং কলেজ লাইফ কেটেছে ইন্ডিয়াতে। গ্রাজুয়েশনের পর ঢাকাতে সিটি ল কলেজে ল (আইন) পড়ি এবং ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষায় ডিস্টিংশনসহ উত্তীর্ণ হই। কর্মজীবনে তৎকালীন ইউনাইটেড ব্যাংক লিমিটেড (ইউবিএল) এ অফিসার র্যাংকে যোগদান করি এবং জনতা ব্যাংক থেকে এজিএম হিসেবে অবসর গ্রহণ করি। ইতিপূর্বে চাকরিকালীন সময়ে দেশের বরেণ্য সঙ্গীত শিল্পী আব্বাসউদ্দীন আহমদ সাহেব এর নামে খিলগাঁও-এ সাংস্কৃতিক (সব ধরনের গান, নাচ, তবলা ইত্যাদি) প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন এক্সিকিউটিভ কমিটির মেম্বার ছিলাম। অবসর গ্রহণ এর পর দেশের বৃহৎ প্রতিষ্ঠান নিটল মটরস এর ব্যাংকিং ডিভিশনে এজিএম হিসেবে কিছুদিন কাজ করার পর দেশের একটি অন্যতম বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান নোমান গ্রুপ অফ ইন্ড্রাস্ট্রিজ এর বৃহৎ গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানে ডিজিএম হিসেবে চুক্তিভিত্তিক জয়েন করি। এরপর অপর একটি ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানিতে জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে চুক্তিভিত্তিক কাজ করি। পরবর্তীতে দেশের একটি অন্যতম বৃহৎ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ফ্রেন্ডস বুক কর্ণার প্রাইভেট লিমিটেড-এ প্রশাসন ও একাউন্টসের দায়িত্বে প্রায় আট বছর কর্মরত ছিলাম। ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস এর প্রাদুর্ভাব ঘটলে দেশের ব্যবসা বাণিজ্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রায় স্থবির হয়ে পড়লে সাহিত্যকর্মে আত্মনিয়োগ করি। সামাজিক উপন্যাস, রহস্য উপন্যাস, বিস্ময়কর জীবনভিত্তিক ছোট গল্প, বিস্ময়কর ভৌতিক কাহিনী ইত্যাদি লেখায় ব্যাপৃত আছি। আমি ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দা, স্ত্রী গৃহিণী। আমার এক ছেলে, এক মেয়ে। ছেলে জাতিসংঘের এফএও-তে এ্যাডমিন এন্ড ফাইনান্স এ্যাসিসট্যান্স হিসেবে দীর্ঘ পাঁচ বৎসরাধিক কাজ করার পর বর্তমানে আইওএম (ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন) এ কর্মরত। মেয়ে অস্ট্রেলিয়ান ডাক্তার, জামাই ইঞ্জিনিয়ার (ডক্টরেট) অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল গভ. এ কর্মরত এবং অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দা।