❝তাজকেরাতুল আউলিয়া❞ এই বইটা কেন কিনবেন? কেন পড়বেন? কেন প্রচার করবেন? এই ব্যাপারে কিছু কথা বলি। বাংলাদেশে যত লাইব্রেরি আছে প্রতিটাতেই যদি আপনি খোঁজ নেন তবে প্রতিটাতেই এই বই খুঁজে পাবেন। অনেক প্রকাশনী এই কিতাবের বাংলা অনুবাদ বাজারে এনেছে। কিন্তু আফসোস তো এটাই এগুলার একটাও বিশুদ্ধ অনুবাদ নয়! বাতেলরা এই বইটার অবস্থা বারোটা বাজিয়ে ছেড়েছে। অনুবাদের নামে নিজেদের ভন্ড আলেমদের জীবনী তো ঢুকিয়েছেই এমনকি নিজেদের বাপ,দাদার নাম পর্যন্ত ঢুকাতে দ্বিধাবোধ করেনি। অমূল্য এই গ্রন্থের একমাত্র বিশুদ্ধ এবং নির্ভেজাল অনুবাদ করেছিল বাংলাদেশ তাজ কোম্পানি লিমিটেড।কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এই অনুবাদ এখন বাজারে পাওয়া যায়না বললেই চলে। তাজ কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃক অনুবাদিত বইটা বাজারে খুবই রেয়ার। কিন্তু পাঠকেরা না বুঝে, না জেনে বাতেলদের প্রকাশিত বইটাই কিনে এবং পড়ে। হযরত শেখ ফরিদ উদ্দীন আত্তার রাহ. এর রচিত শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ গুলোর অন্তর্ভুক্ত তাজকেরাতুল আউলিয়া। এই কিতাবে তিনি ৯৫ জন বিখ্যাত আল্লাহর অলি,সুফিসাধক এর ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তিনি প্রথমে ইমাম জাফর সাদেক রাহ. ঘটনা দিয়ে শুরু করেন এবং আবুল আব্বাস সাইয়ারী রাহ. এর ঘটনা বর্ণনা করে কিতাবের ইতি টেনেছেন (আমি তাজ কোম্পানির কৃত অনুবাদের সূচিপত্র কমেন্টে দিয়ে দিচ্ছি)। মুহাম্মদী কুতুবখানা আজ পর্যন্ত যত সেরা অনুবাদ বাজারে এনেছে তৎমধ্যে এটাও অন্যতম। কারণ, তাজ কোম্পানির পর মুহাম্মদী কুতুবখানার এই অনুবাদটিই বাংলাদেশের একমাত্র বিশুদ্ধ, অবিকৃত অনুবাদ। তাই এই কিতাব প্রচারের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া আউলিয়া কেরামের প্রেমিকদের দায়িত্ব মনে করছি। আল্লাহ তায়ালা আপনাদের উত্তম প্রতিদান দিক, আমিন।