ভূমিকা ‘পুবের সূর্য’ প্রথম বই আকারে বেরোয় কলকাতা থেকে, প্রায় সতেরো বছর আগে।এটা আমার প্রথম বই। মুক্তিযুদ্ধের ওপর ছোটদের জন্য লেখা আমাদের প্রথম উপন্যাসও এটা।ছোট মানে একেবারে ছোট নয়। এ বইয়ের প্রধান চরিত্রদের বসয় সতেরো থেকে একুশের ভেতর।যখন এই বই লেখা হয় তখন আমার বয়সও তাই ছিল।এখনকার তরুণরা আমাদের মতো ভাবে কিনা জানি না।তবে এটা জানি যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় বা তার কিছু আগে পরে জন্মেছে, তারা জানতে চায় মুক্তিযুদ্ধটা আসলে কী ছিল।অল্প বয়সের লেখায় যা থাকে, আবেগ উচ্ছ্বাস-এ বইতে যথেষ্ট আছে।তারপরও আছে মু্ক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি। এটা এখনকার তরুণদের জানা খুবই দরকার বলে আমি মনে করি। এবার বই আকারে বের করতে গিয়ে মূল বইয়ের অনেক কাটছাট করতে হয়েছে। কলকাতা থেকে যে ‘পূবের সূর্য’ বেরিয়েছিল তা সেটার পৃষ্ঠা সংখ্যা ছিল পৌনে দু’শয়ের বেশি।ছোট না করলে যাদের জন্যে এ বই তারা কিনতে পারবে না। তাবে পৃষ্ঠা কমালেও কাহিনীর ধারাবাহিকতা যাতে নষ্ট না হয় সেটা আমার বিবেচনায় ছিল।আমার লেখা পড়তে যারা অভ্যস্থ, তাদের কাছে এ বইয়ের ভাষা একটু অন্যরকম মনে হবে।ভাষার ক্ষেত্রে আমি কোনো পরিবর্তন করিনি।আমি যখন তোমাদের মতো ছিলাম, তখন কীরকম লিখতাম এই বই তারও একটা প্রমাণ।আশা করি তোমাদের ভালো লাগবে। শাহরিয়ার কবির ১৮ই ফ্রেব্রুয়ারি ১৯৮৯
শাহরিয়ার কবির বাংলাদেশের একজন খ্যাতিনামা লেখক, সাংবাদিক, ডকুমেন্টরী চলচ্চিত্র নির্মাতা। ১৯৫০ খ্রীস্টাব্দের ২০ নভেম্বর তিনি ফেনীতে জন্মগ্রহণ করেন। লেখক হিসাবে তার প্রধান পরিচয় তিনি একজন শিশুসাহিত্যিক। তার নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রের মধ্যে জিহাদের প্রতিকৃতি অন্যতম।১৯৯২ সাল থেকে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিপক্ষ শক্তির বিরূদ্ধে কাজ করে চলেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা সম্পূর্ণ করে শাহরিয়ার কবির ১৯৭২ সালে সাপ্তাহিক বিচিত্রায় সাংবাদিক হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৯২ সাল পর্যন্ত নির্বাহী সম্পাদক পদে থাকেন। তিনি একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এর সাথে যুক্ত আছেন। শাহরিয়ার কবির বলেনঃ“ মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের ধ্বংস করা যায় না। বাংলাদেশে অধিকাংশ সময় নেতৃত্ব দিয়েছে ৭১’র পরাজিত শক্তি। তারা মুক্তিযুদ্ধের সব কিছু ধ্বংস করতে চেয়েছে কিন্তু পারেনি। তিনি বলেন, দেশের মানুষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়। মহাজোট সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করেছে। আমরা বিশ্বাস করি ২০১৩ সালের মধ্যে শীর্ষ স্থানীয় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা সম্ভব হবে।