পৃথিবীটা থমকে আছে, চারপাশে শুধু মৃত্যুর মিছিল। কারো কাছেই যেনো লড়বার মতো প্রাণ শক্তিটুকু অবশিষ্ট নেই। সেই রকম একটা সময়ে একজন চিকিৎসক আপা মেসেঞ্জারে নক করে বললেন, এমন কিছু লিখতে যাতে তারা সকল ক্লান্তি নিয়ে সেখানে ডুবতে পারেন। আমি শুরু করলাম লিখা, যে লেখাতে কোভিড অনুপস্থিত থাকবে, চারপাশকে আগের মতো স্বাভাবিক ভাবতে থাকবে পাঠকরা। একটা সাদাসিধা রোমান্টিক উপন্যাস। প্রতিরাত দশটায় এক এক করে পর্ব লিখে পোস্ট করি একটা গ্রুপে আর পাঠক সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়েন সেই পর্ব পড়তে। এতেও তাদের সাধ মিটতো না। রিকোয়েস্ট আসতে থাকে একদিনে দুই পর্ব দেওয়া যায় কি না। কিন্তু আমি নিরুপায়, এক পর্ব লিখে শেষ করতেই কষ্ট হত। কিন্তু লিখে অনেক শান্তি পেতাম কারণ কঠিন সেই সময়টায় ক্লান্ত লড়াকু সৈনিকরা নতুন করে প্রানশক্তি পেতেন নিজেকে রিফ্রেশ করতে পারতেন এই উপন্যাসের অংশ পড়ে তা জানার পর নিজের অসুস্থ সময়টাকেও ভুলে যেতে পারতাম। এই পাওয়াটুকু ছিল আমার জন্য অমূল্য পাওয়া। "যে কথা হয়নি বলা" করোনা কালীন সেই দুঃসময়ে আমি সহ অনেকের জন্য মেডিসিন হিসেবে কাজ করেছিল নিরবে। কেন পাঠক এতে ডুবে শান্তি পেতো? কী ছিল অপূর্ব আর খুশির কাহিনিতে? রোমান্টিক প্লটে পরিবার কীভাবে শোভা বাড়ায় তা জানতে পড়তে হবে যে কথা হয়নি বলা উপন্যাসটি।
সায়লা সুলতানা লাকী ১৯৭৬ সালের ২৬শে আগষ্ট, ঢাকায় জন্ম গ্রহন করেন। লেখিকার গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার ধাইদা গ্রামে ছিল যা এখন নদী গহ্বরে বিলীন হয়ে গেছে। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে তিনিই সবার বড়। বাবা আব্দুল লতিফ চাকলাদার সরকারি চাকরিজীবি ছিলেন। সেই সুবাদে ময়মনসিংহেও কেটেছে জীবনের কিছুটা সময়। মা মরহুমা শামসুন্নাহার নিহার ছিলেন খুবই শিল্পীমনা একজন মানুষ। তাঁর কাছ থেকেই গল্পের বই পড়ার অভ্যাস তৈরি হয় লেখিকার। পড়াশোনা তাঁর খুব ভালো লাগে। শিক্ষা জীবনে প্রানিবিদ্যায় বিএসসি (অনার্স) ও এমএসসি (ফিশারিজ) সম্পন্ন করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রানীবিদ্যা বিভাগ হতে ফিশারিজে এম ফিল ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।