মুজিবের ছড়া মুক্তির ছড়া’ গ্রন্থটি আবেদীন জনী’র রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিবেদিত ছড়া-কবিতাগুলো দিয়ে সাজানো হয়েছে। এক কথায়, এটি বঙ্গবন্ধুর অনবদ্য কীর্তিগাথা। আমাদের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, বিজয়, ও বাংলাদেশের কথা লিখতে লিখতে লেখক ছড়া-কবিতাগুলোতে বার বার প্রবলভাবে বঙ্গবন্ধুর কথাই উচ্চারণ করেছেন। কোমলমতি সন্তানেরা গ্রন্থটি পাঠ করে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে। ছোটোদের উপযোগী সাহিত্য রচনা করতে হয় প্রাঞ্জল ভাষায়। নরম মনের স্বপ্নসাঁকো শাব্দিক ঝড়-ঝাপটায় যেন নড়ে না ওঠে। ওদের মনস্তাত্ত্বিক পরিমণ্ডলে যেন বিরূপ প্রভাব না পড়ে। বিকাশমান সৃষ্টিশীল চেতনার পথগুলো যেন রুদ্ধ না হয়। মগজের কোষে যেন বিরুদ্ধ বাতাস আঘাত করতে না পারে। তবে হ্যাঁ, যে সমাজে শিশু-কিশোররা বেড়ে উঠছে, সেই সমাজের কুসংস্কার থেকে মুক্ত করতে, স্বপ্নখেকো অন্ধকার থেকে আলোর দিকে ফিরিয়ে আনতে ওদের মানসজগতে মৃদু শাব্দিক টোকা দেওয়া বা জাগরণের মৃদু স্পন্দন তোলা যায়। তবে সেটাও করতে হবে অত্যন্ত সচেতনভাবে। নিখাদ পরীক্ষা-নিরীক্ষা, বিশ্লেষণের মাধ্যমে। কাঁচা মস্তিষ্কের কতটুকু ধারণক্ষমতা এবং হাসতে হাসতে, খেলতে খেলতে, নাচতে নাচতে কতটুকু গ্রহণ করতে পারবে- সেসব বিষয়ে সুচারু মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে সচেতনভাবে ‘মুজিবের ছড়া মুক্তির ছড়া’ গ্রন্থের ছড়া-কবিতাগুলো রচনা করা হয়েছে। প্রত্যেকটি লেখার মধ্যে ছোটোদের মনোবিকাশের জন্য কোনো না কোনো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ উপাদান রয়েছে, যা নির্মল আনন্দের মধ্য দিয়ে শিশুকে নিয়ে যাবে আলোর জগতে। লেখাগুলো পাঠ করতে বড়োদেরও ভালো লাগবে।
আবেদীন জনী এ সময়ের জনপ্রিয় ছড়াকার ও শিশুসাহিত্যিক। শিশুসাহিত্য জগতে জ্বলজ্বলে নক্ষত্রের মতোই তাঁর দীপ্ত পদচারণা। লিখছেন প্রতিনিয়ত। ছড়া। গল্প। লেখাগুলো শিশু কিশোরদের আলোকিত জীবন গঠনে এবং মনের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে রাখবে অনন্য ভূমিকা। তাঁর প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হচ্ছে- ছড়ার মেলা রঙের খেলা (সম্পাদিত ছড়াগ্রন্থ), রায়ানের ঘুড়ি ও বানরবন্ধু (শিশুতোষ গল্পগ্রন্থ) মায়ের গল্প (শিশুতোষ গল্পগ্রন্থ) ছড়ার বাড়ি ছন্দপুর (ছড়াগ্রন্থ)। শিশুসাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি পেয়েছেন 'মির্জাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটি সম্মাননা ২০১২' এবং 'শ্রীপুর সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার ২০১৪। জন্য ৭ জানুয়ারি ১৯৭৯। টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার উত্তর পেকুয়া গ্রামে। বাবার নাম শুকুর মামুদ। মায়ের নাম মতিজান। স্ত্রী আরশেদা আক্তার কলেজের ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক। ব্যবস্থাপনায় সম্মান স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী এ লেখক বর্তমানে কলেজ প্রভাষক হিসেবে কর্মরত।