"চর্যাগীতি পদাবলী" বইয়ের পিছনের কভারের লেখা: হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় কর্তৃক নেপাল, রাজদরবার-গ্রন্থাগারে আবিষ্কৃত চর্যাপদাবলীর পুঁথি বাঙ্গালা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন। এইসব বৌদ্ধগান ও অন্যত্র লব্ধ চর্যাপদ ও চর্যাগানের একত্র সঙ্কলন হল ‘চর্যাগীতি-পদাবলী। এই গ্রন্থে চর্যাগীতিগুলির বিষয় ভাব ভাষা ও ছন্দ ) ইত্যাদি বিস্তৃতভাবে আলােচিত হয়েছে।
"চর্যাগীতি পদাবলী" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন চর্যাপদাবলী । অথচ এই অমূল্য পদাবলীর আবিষ্কার মাত্রই এই শতকের দ্বিতীয় দশকে। নেপাল রাজদরবার-গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদাবলীর পুঁথিগুলি উদ্ধার করে লােকচক্ষুর সামনে তুলে ধরেন পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী। এরপর থেকেই চর্যাগীতি নিয়ে পণ্ডিতমহলে কৌতহল ও আলােড়ন, বহু বাদ-প্রতিবাদ, বিস্তর আলােচনা। পরিবর্তীকালেও বহু আবিষ্কার, নতুন চ্যাগানেরও সন্ধান। এই যাবতীয় বৌদ্ধগান এবং নানাসূত্রে লব্ধ সমূহ। চর্যাপদ ও চর্যাগানের একত্র সংকলন এই গ্রন্থ, এই ‘চর্যাগীতি-পদাবলী’ । শুধু চর্যাগীতিরই সংকলন নয় এই গ্রন্থ, একই সঙ্গে শ্রদ্ধেয় সুকুমার সেন চর্যাপদগুলির বিষয়, ভাব ও ছন্দ নিয়ে বিস্তৃত আলােচনা করেছেন, অনুবাদে শব্দার্থ ও মর্মার্থ—দুইয়েরই হদিশ দিয়েছেন, যথাসম্ভব বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিতে নিরূপণ করতে চেয়েছেন। এই রচনাবলীর সময়কাল, নির্ধারণ করতে চেয়েছেন প্রকৃত পাঠ। গুরুত্বপূর্ণ এবং দীর্ঘকাল অলভ্য এই গ্রন্থ আনন্দ-সংস্করণে পুনর্মুদ্রিত হল ।
Sukumar Sen-এর জন্ম : জানুয়ারি ১৯০০ সাল। কলকাতায়। বর্ধমান মিউনিসিপাল হাই ইংলিশ স্কুল থেকে ১৯১৭ সালে পাশ করেছেন প্রবেশিকা পরীক্ষা, মোহিনীমোহন মিশ্র মেডেল পেয়ে। আই-এ, বর্ধমান রাজ কলেজ থেকে। সংস্কৃত, বাংলা ও গণিত তিন বিষয়ে লেটার। সংস্কৃত কলেজ থেকে সংস্কৃত অনার্সে বি-এ। কমপ্যারেটিভ ফিললজিতে এম-এ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সোনার মেডেল। ১৯২৪-এ প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ বৃত্তি। ১৯২৬-এ মোয়াট মেডেল। ১৯২৬-৩১ মৌলিক গবেষণা করে তিনবার গ্রিফিথ মেমোরিয়াল পুরস্কার ও দু-বার স্যার আশুতোষ মুখুজ্জে মেডেল পেয়েছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার ১৯৩০ সাল থেকে, এর আগে অনারারি লেকচারার। ১৯৩৭-এ পি-এইচ-ডি.| ১৯৫৪-১৯৬৪ খয়রা অধ্যাপক। ১৯৫২তে ভাষাতত্ত্ব বিভাগের অধ্যক্ষ। ১৯৬৩তে রবীন্দ্র পুরস্কার। ১৯৮১-তে বিদ্যাসাগর পুরস্কার। এ-ছাড়াও আনন্দ পুরস্কার, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ-এর রামেন্দ্রসুন্দর স্মৃতি পুরস্কার। সরোজিনী মেডেল। এমন আরও বহু। বিশ্বভারতী দিয়েছেন ‘দেশিকোত্তম’ উপাধি, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়—ডি. লিট| নানা গ্রন্থ : ইংরেজীতে ও বাংলায়।