বঙ্গোপসাগরের নিকটবর্তী শুধুমাত্র কক্সবাজার জেলা না; পুরো বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের এক উজ্জ্বল ব্যক্তির নাম অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম। রাজনৈতিক বোধ ও নৈতিক বিশ্বাসের এক সংগ্রামময় জীবন নিয়ে তিনি ২০২০ সালের ১৮ মে প্রস্থান হয়েছেন না ফেরার দেশে। তাঁর মহৎ জীবনকে গ্রন্থের বাঁধনে বন্দি করার প্রয়াসটি টানা তিন বছরের। করোনা মহামারি, আমার ব্যক্তিগত জীবনের ব্যস্ততা, গ্রন্থে প্রকাশের অর্থ যোগান এবং বিভিন্ন বিশিষ্টজনদের কাছে লেখা প্রত্যাশার হাত বাড়িয়ে প্রতিশ্রুতির ফ্রেমেবন্দি হতে হয়েছে বার বার। এর মধ্যে অসংখ্য মানুষ তার স্মৃতিময় লেখা পাঠিয়ে আমাকে বার বার কৃতজ্ঞ করেছেন। আবার এমন অনেকজনের কাছে লেখা প্রত্যাশা করেছিলাম, যাদের লেখা শেষ পর্যন্ত হাতে পৌঁছেনি। একটু দেরি হলেও অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম স্মারকগ্রন্থটি আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মো. মাহাবুবুর রহমান চৌধুরীর একান্ত আগ্রহের কারণ এবং সহযোগিতার কারণে এটা সম্ভব হয়ে উঠেছে। ফলে একজন মেয়র মাহাবুবুর রহমানকে কৃতজ্ঞ জানাতেই হচ্ছে। ক্ষমতার মোহে অন্ধ রাজনীতি, স্বার্থপরতার বিলাসিত মুখোশ অথবা ভোগ-বিলাসের রাজনীতির বিপরিতে জহিরুল ইসলাম হয়ে উঠবে আদর্শ, দর্শন ও নীতি নৈতিকতার উদাহরণ। একজন প্রান্তিক জনপদের মানুষের জাতীয় রাজনীতিতে যে ভূমিকা বা মানুষকে ভালোবাসার আজীবন সংগ্রাম আমাদের নিয়ে যেতে পারে সুন্দর, নন্দন বা মানবিক জীবনের দিকে। যে জীবন মানুষের কল্যাণে অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলামের মতো হয়ে উঠবে ‘ভূমিপুত্রের ছায়া’। স্মারক গ্রন্থের প্রতিটি লেখায় একজন আলোকিত ভূমিপুত্রের উজ্জ্বল মুখ ভেসে উঠবে। যে উজ্জ্বল রোদ্রময় আমাদের দেশপ্রেম, মানুষকে ভালোবাসার বাঁধনে বন্দি করবে বারংবার। ‘ভূমিপুত্রের ছায়া’কে স্বপ্ন বোধের মায়ায় জড়িয়ে আমরা বলবো ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’।