ইসলামের রুকন পাঁচটি, তন্মধ্যে নামাজ অন্যতম। মু'মিন ও কাফেরের মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ করে এই নামাজ। পবিত্র কুরআন ও হাদীসে তাই নামাজের উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। পবিত্র কুরআনে নামাজ সম্পর্কে এরশাদ হয়েছে— إِنَّ الصَّلوةَ تَنْهَى عَنِ الْفَحْشَاءِ وَالْمُنْكَرِ “নিশ্চয় নামাজ মানুষকে খারাপ ও নিষিদ্ধ কাজ হতে দূরে রাখে” ( আনকাবুত-৪৫) হাদীস শরীফে নামাজ সম্পর্কে এরশাদ করা হয়েছে যে- مَنْ لَمْ تَنْهَهُ صَلُوتُهُ عَنِ الْفَحْشَاءِ وَالْمُنْكَرِ فَلَا صَلوةَ لَهُ “যার নামাজ তাকে অন্যায় অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখেনা তার নামাজ নামাজই নয়” (সহীহ বুখারী, নামাজ অধ্যায়, হাদীস-৪৯৫) দেশের বিভিন্ন মসজিদে নামাজ আদায় করে দেখতে পেয়েছি যে, অধিকাংশ মানুষ নামাজ পড়ে কিন্তু তা সহী শুদ্ধ হয় না। তাই শুদ্ধভাবে নামাজ আদায়ের গুরুত্ব অনুধাবন করে সকলের জন্য সহজ সরল ভাষায় নামাজের জরুরী নিয়ম- পদ্ধতি সম্বলিত একটি বই “নামাজ আদায় পদ্ধতি” রচনা করলাম। যাতে করে আমরা নামাজের মত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত সঠিকভাবে পালন করে অন্যায় ও অশ্লীল কাজ হতে বেঁচে থেকে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। ‘নামাজ মু’মিনের মি’রাজ' মহানবী (সা.) এর এই তাৎপর্যময় বাণীকে যথাযথ অনুধাবন এবং তা থেকে প্রেরণা ও নিদের্শনা লাভের পর তা সুগম ও সহজসাধ্য করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে । আমাদেরকে আখেরাতে সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব দিতে হবে।