বাংলাদেশটা দাঁড়িয়ে আছে মাটির উপর। মুক্তিযুদ্ধের মাটি। মাটির মুক্তির জন্য ১৯৭১ সালে বর্বর পাকিস্তানী আমীর্ ও এই দেশীয় দোসর রাজাকারেরা বাংলার মাটি ও মানুষদের করেছে ক্ষত বিক্ষত করেছে। সেই ক্ষতের রক্তক্ষরণ চলবে অনন্তকাল। অনন্তকালের ক্ষত ও রক্তে¯্রাত থেকে গল্পকার মিলন বণিক চেতনার অঙ্গিকারে লিখেছেন অংসখ্য গল্প। একাত্তরের দশরথ ও অন্যান্য গল্প বইয়ে মুক্তিযুদ্ধ তো বটেই, বাংলার জমিনে সাধারণের দিন যাপনের আখ্যানও তুলে এনেছেন দারণ দক্ষতায়। একাত্তরের দশরথ গল্পে স্মৃতি আর রক্তদিনের দাগে আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যায় বুভুক্ষ অস্তিত্বের দুয়ারে। খোরশেদ আলম, দশরত আর আয়শা— এই শ্যামল বাংলার চিরকালের ভাস্কর্য হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বিচিত্র অনুসঙ্গে, যার দায় আমরা এখনও বহন করছি। একাত্তরের দশরথ ও অন্যান্য গল্প বইয়ে মিলন বণিকের আর একটি গল্প জনক ও জননীর গল্প। একজন মুক্তিযোদ্ধা চিরকালের মুক্তিযোদ্ধা। মোহরআলী মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধে গিয়েছিলেন নতুন স্ত্রী মন্নুজানকে বাড়িতে রেখে। কিন্ত রেহাই পাননি মন্নুজান। স্বামী মুক্তিযুদ্ধে সুতরাং স্ত্রী অপরাধী। তুলে নিয়ে কেপ্ট করে রাখা হলো মনুœজানকে। দেশ স্বাধীন হল ফিরে আসে মোহরআলী। ্এখন ধর্ষিত স্ত্রীকে কী করবেন তিনি? গ্রহণ? না...। গল্পকার মিলন বণিকের সাহস— তিনি গল্পে মোহরআলীকে চিরকালের যোদ্ধা বানিয়ে মন্নুজানকে নিয়ে সংসারে যুক্ত করলেন, গর্বের সঙ্গে— অহংকারের পর সৌজন্যে।