ঈমানের পরই মুমিনের ওপর প্রথম ফরয ইবাদত হলো সালাত বা নামায। নামায হলো মুসলিম ও কাফেরের মাঝে পার্থক্য। যার নামায নেই তার দ্বীন নেই। নামায হলো মুমিনের মি’রাজ, আল্লাহর সাথে সরাসরি সেতুবন্ধন তৈরীর মাধ্যম। এমন নামায কায়েম করতে হলে সে সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞানের প্রয়োজন। নামায বিষয়ে বাজারে অনেক বই-পুস্তক পাওয়া গেলেও বাংলা ভাষায় একটি পূর্ণাঙ্গ বইয়ের অভাব রয়েছে। সে অভাব পূরণের জন্যই লেখকের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস। নামায বিষয়ে অত্র গ্রন্থটি বাজারে প্রচলিত বই-পুস্তক থেকে ব্যতিক্রম। এ গ্রন্থে নামাযের আধ্যাত্মিক, সামাজিক ও অন্তর্নিহিত ভাবধারা পাঠকের মানসপটে অঙ্কন করার প্রয়াস চালানো হয়েছে। আলোচিত হয়েছে নামাযের ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক প্রভাব। এ ছাড়া রয়েছে নামাযের মাসআলা- মাসায়েলের বিস্তারিত আলোচনা। গ্রন্থটিতে কুরআন, হাদীস ও অন্যান্য গ্রন্থের পর্যাপ্ত উদ্ধৃতি দেয়া হয়েছে। বইটিতে মোট আঠারটি অধ্যায় রয়েছে। এসব অধ্যায়ে আলোচিত হয়েছে নামায সংক্রান্ত অনেক বিষয়। এর অন্তর্ভুক্ত হলো নামাযের অর্থ, অপরিহার্যতা, গুরুত্ব ও তাৎপর্য এবং ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক জীবনে নামাযের প্রভাব। এতে রয়েছে নামায আদায়ের মাসআলা-মাসায়েল ও বিধানাবলি, যার অন্তর্ভুক্ত হলো নামাযের প্রস্তুতিমূলক বিষয়, নামাযের শর্ত ও করণীয়, আযান ও ইকামাত, নামাযের সময় ও রাকাত, প্রাণবন্ত নামাযের নিয়ম, নামায ভঙ্গের কারণসমূহ, জামায়াতে নামাযের গুরুত্ব, জুমুআর নামায, সুন্নত ও নফল নামাযের প্রসঙ্গ। এ ছাড়া আরো রয়েছে ঈদের নামায, জানাযার নামায, সফর ও অসুস্থ্য অবস্থায় নামায, সমাজ জীবনে মসজিদের ভূমিকা, ইত্যাদি প্রসঙ্গ।