জাদু- টোনা ও বদনজরের মতো ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত হলে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে হবে এবং তার শরণাপন্ন হতে হবে ।কেননা সমস্ত সাহায্য তাওফীক ও সুস্থতা আল্লাহর পক্ষ থেকেই প্রার্থনা করে নিতে হবে। তাঁর হাতেই রয়েছে সমস্ত বিষয়ের ক্ষমতা ও আসমান জমিনের নিয়ন্ত্রণ । এরপর (জাদু-টোনা ও বদনজরে) আক্রান্ত ব্যক্তি যাবতীয় বিপদ ও রোগ বাঁচার জন্য বৈধ উপকরণ গ্রহণ করতে পারবে এবং জাদু, বদনজর ও হিংসা থেকে বাঁচার জন্যও বৈধ পন্থা অবলম্বন করতে পারবে । এ বিষয়ে ইমাম ইবনুল কাইয়িম রহিমাহুল্লাহ তাঁর 'বাদা-ইয়ুল ফাওয়ায়েদ' কিতাবে এমন উপকারী ও পূর্ণাঙ্গ বিবরণ দিয়েছেন যা অন্যের নিকটে পাওয়া যায় না বললেই চলে। এখানে তিনি বৈধ ১০টি উপকরণ উল্লেখ করেছেন । জাদু ও বদনজরে আক্রান্ত ব্যক্তি এর অনিষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য যেকোনো উপকরণ গ্রহণ করতে পারবে। এ বইটি আমি শুধু এই দশটি উপকরণ ব্যাখ্যা করেছে মাত্র । সংক্ষেপে এর উদ্দেশ্য বর্ণনা করেছি । যাতে ব্যাপক উপকার সাধিত হয়। বিশেষকরে মানুষের মাঝে জাদু ও বদনজরের ক্ষতিকর দিক বেড়ে যাওয়ার দরুন এর অনিষ্ঠ থেকে মুক্তির উপকরণগুলো জানা প্রয়োজন। আর এই বৈধ উপকরণগুলো জানা এবং সেগুলো অনুসরণ করা -আল্লাহর অনুমতিক্রমে- একজন বান্দাকে হারাম পন্থা অবলম্বন করা থেকে, বিভিন্ন বিভ্রান্তি ও বিপজ্জনক কুসংস্কার থেকে রক্ষা করবে। বিশেষ করে যারা জাদু বা বদ নজরের শিকার হয়েছেন এবং যাদের কোনো জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তা নেই। তারা প্রায়ই নানাবিধ যন্ত্রণা ও বিরক্তিকর প্রভাবের কারণে সীমাহীন বিভ্রান্তি ও অগণিত কুসংস্কারের আশ্রয় নেয় । যদি কোনো মুসলিম কুরআন-সুন্নাহর উপর প্রতিষ্ঠিত বিশুদ্ধ জ্ঞানের মাধ্যমে নিজেকে সুরক্ষিত রাখে এবং শারয়ী উপকরণ অনুযায়ী আমল করে তাহলে সে কল্যাণ লাভ করবে। এর ফলাফলও পাবে। তার দুনিয়া ও আখেরাতের অবস্থা সুসজ্জিত হবে।