সাগর সৈকতে একদিন
সামনে বিস্তীর্ণ নীল জলরাশি
শান্ত স্নিগ্ধ হাওয়া দোল দিয়ে যায় সাগরের জলে
তীরে বসে আমি আর তুমি পাশাপাশি
থেকে থেকে সাগরের মৃদুমন্দ হাওয়া
উড়িয়ে দিচ্ছে আমার আগোছালো কেশ
পরম ভালোবাসায় আমার চুলে
হাত বুলিয়ে দিচ্ছো তুমি পরম মমতার স্পর্শে
তীব্র আবেগে বুঁজে আসছে আমার দুটো চোখ।
ওই তো দেখা যাচ্ছে পূর্ণিমার চাঁদ
চাঁদের স্নিগ্ধ আলো সাগরের বুকে
তৈরি করেছে ভিন্ন এক মায়াবী আবেশ
এমন পরিবেশেই তো তাকে বলা যায়
যে কথা বলার অপেক্ষায়
দুজনের কেটেছে কত কত না প্রহর।
দুজনেই চেয়ে আছি দিগন্ত পানে
সামনে সমুদ্রের বিস্তীর্ণ জলরাশি
কিন্তু কারো মুখেই কোন কথা নেই
দুজনেই নিশ্চুপ, শুধু চোখে চোখে চাওয়া
দুজনেরই ভাবনা হয়তো
চোখ যে মনের কথা বলে কেন তুমি তা বোঝ না?
কেন বোঝ না আমার চোখের চাহনিতে
কী কথা লুকিয়ে আছে?
দুজনের মনই হয়তো বলার অপেক্ষায়
মমতা জড়ানো শুধুমাত্র তিনটি শব্দের
ভালোবাসার একটি উচ্চারণ।
কারো মুখেই কোন কথা নেই
বলতে গিয়েও কেন জানি পেয়ে বসে জড়তা
এক আড়ষ্টতা ভর করে দুজনকেই
বলি বলি করে বলা হয় না কারোই
ভালোবাসার সেই উচ্চারণ
সেই পরম কাক্সিক্ষত তিনটি শব্দ।
দ্রুত কেটে যায় মুহূর্তগুলো
নীরবতা কিছুতেই কাটে না আর
হঠাৎ তুমি উঠে দাঁড়ালে
আচমকা গুঁজে দিলে আমার খোঁপায়
তোমার হাতে থাকা
সদ্য প্রস্ফুটিত একটি লাল গোলাপ
আমি শিহরিত হলাম।
তুমি দ্রুত টেনে নিলে আমার হাত দুটো
এক গভীর মমতায় চেপে ধরলে তোমার হাতে
মনে হলো আমার ভালোবাসা
এখন বন্দি তোমার হাতে
দুজনেরই সলাজ দৃষ্টি বিনিময় তখন
চোখেমুখে এক রঙিন স্বপ্ন উঁকি দেয় দুজনেরই।
এতদিনে দুজনের চোখের দৃষ্টি
খুঁজে পেলো ভাষা
এবার তুমি আমার হাত দুটো
অনেক জোরে চেপে ধরলে তোমার হাতে
মনে হলো এই মেলবন্ধন
আর কখনোই বুঝি ছিন্ন হবার নয়
উচ্চারণ করলে তুমি অবশেষে
বহুল প্রতীক্ষিত সেই তিনটি শব্দ
“আমি তোমাকে ভালোবাসি”
আর আমারও কণ্ঠে তখন সলাজ উচ্চারণ
“আমিও তোমাকে”।