"কাসাসুল আম্বিয়া (সব খণ্ড একত্রে-সাদা)"বইটির ভূমিকা: সকল প্রশংসা মহান রব্বল আলামীনের, যিনি আসমান যমীন ও তদস্থ যা কিছু আছে তার স্রষ্টা, মালিক, প্রতিপালক, পরিচালক, যিনি এক একক, যার কোন শরীক নেই, যিনি না দ্রিা যান আর না তন্দ্রা তাকে স্পর্শ করতে পারে। যিনি সর্ব দ্রষ্টা, সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। লক্ষকোটী দুরূদ ও সালাম আখেরী নবী, সাইয়্যেদুল মুরসালীন, রহমাতাল্লিল আলামীন, দু’জাহানের সরদার হযরত মুহাম্মাদ (স)-এর উপর। আল্লাহ তাআলা দুনিয়াতে মানব জাতির পিতা হযরত আদম (আ) কে প্রেরণকালে ইরশাদ করেন وی ها قمن تبع هدى فلا خوف عليهم ولا هم يخون - মিন্নী হুদান ফামান তাবি’আ হুদা-ফালা-খাওফুন ‘আলাইহিম অলা-হুম ইয়াহযান। অর্থ ও আমার পক্ষ থেকে হেদায়েত যাবে, অতঃপর যারা এ হেদায়েতের অনুসরণ করবে তাদের কোন ভয় ও শংকা নেই। | আল্লাহ তাআলা যুগে যুগে মানুষের হেদায়েতের জন্য যে বানী পাঠিয়েছেন তা আম্বিয়ায়ে কেরামের মাধ্যমেই পাঠিয়েছেন। আম্বিয়ায়ে কেরামের আগমনের এ ধারাবাহিকতা পৃথিবীর প্রথম মানুষ হযরত আদম (আ) থেকে শুরু হয়ে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (স)-এর মাধ্যমে শেষ হয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় দুনিয়াতে ১ লক্ষ ২৪ হাজার মতান্তরে দু লক্ষ ২৪ হাজার পয়গম্বরের আগমন ঘটেছে। আম্বিয়া কেরামের জীবন পদ্ধতি, তাদের উম্মতদের উত্থান পতন, আচার আচরণ, কায়েমী স্বার্থের দ্বীন প্রচারে বাঁধা ও বাঁধা দানের ধরন ইত্যাদি সম্বন্ধে জানার একমাত্র নির্ভরযােগ্য মাধ্যম পবিত্র কোরআন। কিন্তু পবিত্র কোরআনে সকল নবী রাসূলদের কথা নেই। আবার যাদের কথা উল্লেখ আছে তাদের মধ্যেও কারও সম্বন্ধে বিস্তারিত এবং কারও সম্বন্ধে সংক্ষিপ্ত আবার কারাে বা কেবল নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে যে সকল আম্বিয়ায়ে কেরামের উল্লেখ রয়েছে তাদের সম্পর্কে এবং নবী নন এমন যাদের নাম উল্লেখ হয়েছে যেমন- আসহাবে কাহফ, হযরত যুলকারনাইন, হযরত লােকমান হেকীম প্রমুখ সম্পর্কিত ঘটনাবলী সম্বলিত আলােচ্য গ্রন্থখানি। এ ক্ষেত্রে আমরা তাহের সুরাটী লিখিত উর্দু কিতাব কাসাসুল আম্বিয়াকে ঠিক রেখে বিভিন্ন মনীষীদের লিখিত গ্রন্থের সাহায্যে এর কলেবর বর্ধিত করার প্রয়াস চালিয়েছি। কতটুকু পেরেছি তা পাঠক সমাজের বিবেচনায় রইল। দুনিয়ার ইতিহাস পর্যালােচনা করলে দেখা যায় আম্বিয়ায়ে কেরামদেরকে দ্বীন প্রচার করতে গিয়ে কায়েমী স্বার্থের ষড়যন্ত্রের মােকাবিলা করতে হয়েছেন একশ্রেণীর স্বার্থন্বেষী মানুষ সব যুগেই সাধারণ মানুষকে পথভ্রষ্ট করার হীন প্রচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। এক্ষেত্রে অভিশপ্ত ইহুদীদের ভূমিকাই ছিল অগ্রগণ্য। ইহুদীরা তৌরাতে উল্লেখিত পূর্ববর্তী আম্বিয়াদের সহীহ জীবনালেখ্য নিজেদের স্বার্থে বিকৃত করে নিজেদের মনগড়া ঘটনা দ্বারা পূর্ণ করেছে। অভিশপ্ত ইহুদীদের মিথ্যা বর্ণনা যুগ যুগ অতিক্রম করে বর্তমান কাল পর্যন্ত এসে পৌছেছে। একদল মুসলিম মনীষী ইহুদীদের সৃষ্ট এ মিথ্যাচারের পর্দা ছিন্ন করতে আপ্রাণ চেষ্টা করে আল্লাহর রহমতে সফল হয়েছেন। আমাদের মত সল্পজ্ঞান সম্পন্ন লােকের পক্ষে তা থেকে মুক্ত থেকে সংকলন করা রীতিমত দুঃসাধ্যই বটে। আলােচ্য গ্রন্থে উল্লিখিত সকল আম্বিয়ায়ে কেরামের জীবনালেখ্য বিভিন্ন তাফসীর, হাদীস এবং সমকালীন গ্রন্থের সাহায্যে চেষ্টা করেছি ইহুদীদের মিথ্যা প্রচারণা থেকে রক্ষা করতে। কতটুকু সফল হয়েছি তা পাঠকদের সুবিবেচনার জন্য রইল অধমের প্রচেষ্টার ফসল আলােচ্য গ্রন্থখানি দ্বারা পাঠক সমাজ যদি সামান্যতমও উপকৃত হয় তবেই আমাদের শ্রম সার্থক হবে। পরিশেষে যারা গ্রন্থখানি সংকলনে সর্বাত্বক সহযােগিতা করেছেন তাদের সকলের জন্য দোয়া কামনা করছি। আল্লাহ আমাদের সকলকে আম্বিয়ায়ে কেরামের জীবনী গ্রন্থ থেকে উপকৃত হওয়ার তওফিক দান। করুন। আমীন। সকল প্রশংসা মহান রব্বল আলামীনের, যিনি আসমান যমীন ও তদস্থ যা কিছু আছে তার স্রষ্টা, মালিক, প্রতিপালক, পরিচালক, যিনি এক একক, যার কোন শরীক নেই, যিনি না দ্রিা যান আর না তন্দ্রা তাকে স্পর্শ করতে পারে। যিনি সর্ব দ্রষ্টা, সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। লক্ষকোটী দুরূদ ও সালাম আখেরী নবী, সাইয়্যেদুল মুরসালীন, রহমাতাল্লিল আলামীন, দু’জাহানের সরদার হযরত মুহাম্মাদ (স)-এর উপর। আল্লাহ তাআলা দুনিয়াতে মানব জাতির পিতা হযরত আদম (আ) কে প্রেরণকালে ইরশাদ করেন وی ها قمن تبع هدى فلا خوف عليهم ولا هم يخون - মিন্নী হুদান ফামান তাবি’আ হুদা-ফালা-খাওফুন ‘আলাইহিম অলা-হুম ইয়াহযান। অর্থ ও আমার পক্ষ থেকে হেদায়েত যাবে, অতঃপর যারা এ হেদায়েতের অনুসরণ করবে তাদের কোন ভয় ও শংকা নেই। | আল্লাহ তাআলা যুগে যুগে মানুষের হেদায়েতের জন্য যে বানী পাঠিয়েছেন তা আম্বিয়ায়ে কেরামের মাধ্যমেই পাঠিয়েছেন। আম্বিয়ায়ে কেরামের আগমনের এ ধারাবাহিকতা পৃথিবীর প্রথম মানুষ হযরত আদম (আ) থেকে শুরু হয়ে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (স)-এর মাধ্যমে শেষ হয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় দুনিয়াতে ১ লক্ষ ২৪ হাজার মতান্তরে দু লক্ষ ২৪ হাজার পয়গম্বরের আগমন ঘটেছে। আম্বিয়া কেরামের জীবন পদ্ধতি, তাদের উম্মতদের উত্থান পতন, আচার আচরণ, কায়েমী স্বার্থের দ্বীন প্রচারে বাঁধা ও বাঁধা দানের ধরন ইত্যাদি সম্বন্ধে জানার একমাত্র নির্ভরযােগ্য মাধ্যম পবিত্র কোরআন। কিন্তু পবিত্র কোরআনে সকল নবী রাসূলদের কথা নেই। আবার যাদের কথা উল্লেখ আছে তাদের মধ্যেও কারও সম্বন্ধে বিস্তারিত এবং কারও সম্বন্ধে সংক্ষিপ্ত আবার কারাে বা কেবল নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে যে সকল আম্বিয়ায়ে কেরামের উল্লেখ রয়েছে তাদের সম্পর্কে এবং নবী নন এমন যাদের নাম উল্লেখ হয়েছে যেমন- আসহাবে কাহফ, হযরত যুলকারনাইন, হযরত লােকমান হেকীম প্রমুখ সম্পর্কিত ঘটনাবলী সম্বলিত আলােচ্য গ্রন্থখানি। এ ক্ষেত্রে আমরা তাহের সুরাটী লিখিত উর্দু কিতাব কাসাসুল আম্বিয়াকে ঠিক রেখে বিভিন্ন মনীষীদের লিখিত গ্রন্থের সাহায্যে এর কলেবর বর্ধিত করার প্রয়াস চালিয়েছি। কতটুকু পেরেছি তা পাঠক সমাজের বিবেচনায় রইল। দুনিয়ার ইতিহাস পর্যালােচনা করলে দেখা যায় আম্বিয়ায়ে কেরামদেরকে দ্বীন প্রচার করতে গিয়ে কায়েমী স্বার্থের ষড়যন্ত্রের মােকাবিলা করতে হয়েছেন একশ্রেণীর স্বার্থন্বেষী মানুষ সব যুগেই সাধারণ মানুষকে পথভ্রষ্ট করার হীন প্রচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। এক্ষেত্রে অভিশপ্ত ইহুদীদের ভূমিকাই ছিল অগ্রগণ্য। ইহুদীরা তৌরাতে উল্লেখিত পূর্ববর্তী আম্বিয়াদের সহীহ জীবনালেখ্য নিজেদের স্বার্থে বিকৃত করে নিজেদের মনগড়া ঘটনা দ্বারা পূর্ণ করেছে। অভিশপ্ত ইহুদীদের মিথ্যা বর্ণনা যুগ যুগ অতিক্রম করে বর্তমান কাল পর্যন্ত এসে পৌছেছে। একদল মুসলিম মনীষী ইহুদীদের সৃষ্ট এ মিথ্যাচারের পর্দা ছিন্ন করতে আপ্রাণ চেষ্টা করে আল্লাহর রহমতে সফল হয়েছেন। আমাদের মত সল্পজ্ঞান সম্পন্ন লােকের পক্ষে তা থেকে মুক্ত থেকে সংকলন করা রীতিমত দুঃসাধ্যই বটে। আলােচ্য গ্রন্থে উল্লিখিত সকল আম্বিয়ায়ে কেরামের জীবনালেখ্য বিভিন্ন তাফসীর, হাদীস এবং সমকালীন গ্রন্থের সাহায্যে চেষ্টা করেছি ইহুদীদের মিথ্যা প্রচারণা থেকে রক্ষা করতে। কতটুকু সফল হয়েছি তা পাঠকদের সুবিবেচনার জন্য রইল অধমের প্রচেষ্টার ফসল আলােচ্য গ্রন্থখানি দ্বারা পাঠক সমাজ যদি সামান্যতমও উপকৃত হয় তবেই আমাদের শ্রম সার্থক হবে। পরিশেষে যারা গ্রন্থখানি সংকলনে সর্বাত্বক সহযােগিতা করেছেন তাদের সকলের জন্য দোয়া কামনা করছি। আল্লাহ আমাদের সকলকে আম্বিয়ায়ে কেরামের জীবনী গ্রন্থ থেকে উপকৃত হওয়ার তওফিক দান। করুন। আমীন।