সারসংক্ষেপ আল কুরআনের কতিপয় আয়াত নাসিখ এবং মানসুখ (রহিতকারী এবং রহিত) হওয়ার বিষয়টি সকল সাধারণ মুসলিম না জানলেও ইসলামী (মাদ্রাসা) শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তিগণ জানেন। বিষয়টিতে উচ্চতর ডিগ্রিও দেওয়া হয়। আর এ বিষয়ে বহুল প্রচলিত একটি কথা হলো- কুরআনের সঠিক তরজমা (অর্থ) বা তাফসীর (ব্যাখ্যা) করতে হলে অবশ্যই নাসিখ-মানসুখ সম্পর্কে গভীর, বিস্তারিত ও পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, এ বিষয়টি মুসলিম জাতির ভীষণ ক্ষতি করেছে, করছে এবং চালু থাকলে ভবিষ্যতেও করবে। একটি আয়াত অন্য একটি আয়াতকে রহিত করতে পারে যখন আয়াত দুটির বক্তব্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বিরোধী হয়। তাই, প্রধানত তিনটি উপায়ে নাসিখ-মানসুখ বিষয়টি মুসলিম জাতির ক্ষতি করছে- ১.‘কুরআনে কোনো পরস্পর বিরোধী কথা নেই’- কুরআনের সঠিক অর্থ ও ব্যাখ্যা করার সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ এ মূলনীতিটি হারিয়ে দিয়ে। এর ফলে কুরআনের অনেক বিষয়ের সঠিক অর্থ ও ব্যাখ্যা বর্তমান মুসলিম জাতির কাছে নেই। ২.‘তিলাওয়াত চালু আছে কিন্তু শিক্ষা রহিত হয়ে গেছে’ কথাটির মাধ্যমে কুরআনের বেশকিছু আয়াতের অপূর্ব কল্যাণ থেকে বিশ্বমানবতাকে সরাসরি বঞ্চিত করা। ৩.‘তিলাওয়াত ও শিক্ষা দুটোই রহিত হয়ে গেছে’ কথাটির মাধ্যমে মহান আল্লাহ সম্পর্কে বিধর্মীদের দৃষ্টিভঙ্গি আরও খারাপ হবে। প্রকৃত বিষয় হলো- কুরআনের কোনো আয়াত রহিত হয়নি। অন্য কথায় আল কুরআনের সকল আয়াতের শিক্ষা চালু আছে। কুরআন পূর্বের কিতাবের নাসিখ (রহিতকারী)। কিন্তু স¦ীয় আয়াতের নাসিখ নয়। পুস্তিকাটিতে নাসিখ-মানসুখ বিষয়টির বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এবং এটি নাসিখ-মানসুখ বিষয়টির মহা অকল্যাণ থেকে মুসলিম জাতি ও বিশ্বমানবতাকে উদ্ধার করার জন্য ব্যাপক ভূমিকা রাখবে ইনশাআল্লাহ।
Title
গবেষণা সিরিজ - ৩১ : আল কুরআনে শিক্ষা রহিত (মানসুখ) আয়াত আছে’ কথাটি কি সঠিক?
অধ্যাপক ডাঃ মতিয়ার রহমান একজন কিডনী রোগ বিশেষজ্ঞ। বর্তমানে তিনি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধান, ইনসাফ বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, দি বারাকাহ ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান এবং কোরআন রিসার্চ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।