ভূমিকা বিশ্ব আজ তথ্যপ্রযুক্তির মহাসরণীতে অবস্থান করছে। এই তথ্যপ্রযুক্তির মহাসরণীর একজন যাত্রী হিসেবে নিজেকে সংযোজন করতে হলে আপনাকে ইন্টারনেট ব্যবহার করতেই হবে। সত্যি কথা বলতে কী, আমাদের প্রাত্যহিক ব্যবহারিক জীবনের সাথে ইন্টারনেট আজ ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। আপনি টেলিভিশনের সুইচ দিয়ে রিমোট কন্ট্রোল হাতে মুহূর্তের মধ্যে এক দেশের অনুষ্ঠান থেকে অন্য দেশের অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারছেন। কিন্তু আপনি কি জানেন, আপনার সামনে পরিবেশিত এইসব অনুষ্ঠানগুলোর বেশিরভাগই ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে আপনার সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। পৃথিবীর অন্য প্রান্তে কী ঘটছে তা ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে মুহূর্তের মধ্যে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে এই প্রান্তের যা কিছু ঘটছে-তার তথ্যাদি, ভিডিও চিত্র মুহূর্তের মধ্যে সম্প্রচার কেন্দ্র পাঠিয়ে দেয়া সম্ভব হচ্ছে এই ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে। অত্যন্ত দ্রুতগতিতে এবং ন্যুনতম কম খরচে যোগযোগের এই মাধ্যমটি যারা ব্যবহার করছেন না-তারা এখনও উপলদ্ধি করতে পারছেন না- কী ধরনের সীমাহীন শক্তি তাদের হাতছাড়া হয়ে আছে। ইন্টানেটের ক্ষেত্রে দূরত্ব কোন বিষয় নয়। সেটা পৃথিবী থেকে চাঁদের দেশ হোক বা মঙ্গল গ্রহ হোট। ইন্টারনেটভূক্ত যে কোন কম্পিউটারের মুহূর্তের মধ্যে তথ্য আদান প্রদান করার এই সুবিধাকে আলোর গতির সাথেও তুলনা করা যেতে। বরং ক্ষেত্রবিশেষে আলোর গতির চেয়েও দ্রুত তথ্য আদান প্রদান করা যায় ইন্টারনেট ব্যবহার করে। যে কোন দুরত্ব অতিক্রম করে তথ্য আদান প্রদানের এমন মাধ্যম পৃথিবীর আর কোন কিছুতে নেই। বইটি তথ্যপ্রযুক্তির এই মহান কর্মযজ্ঞে সামান্যতম হলেও যদি কোন ভূমিকা রাখতে পারে তাহলে আমার সকল কষ্ট সার্থক হবে। হাফেজা হক অদ্বিতী