ভূমিকা তুমি যা জানো তার সবটুকু হয়তো আমি জানি না। আবার আমি যা জানি তার সবটুকুই কী তুমি জানো? হয়তো নয়। এভাবেই আমরা আমাদের জানার সীমাবদ্ধতা উপলদ্ধি করতে পারি। তাছাড়া আমাদেরকে সবসময় সবকিছু জানতে হবে তারও কিন্তু কোন বাধ্যবাধকতা নেই। আজ যারা ছোট, একদিন তারা বড় হয়ে উঠবে। দেশ ও দশের কল্যাণার্থে নানা কাজ করবে। এই ছোট থেকে বড় হয়ে ওঠা পর্যন্ত তোমাদেরকে জানতে অনেক কিছু। তোমাদের জানার পরিধি সীমাহীন। আর সেই সাথে জানার আগ্রহও হতে হবে অসীম। তোমার যত জানার আগ্রহ জন্মাবে, তত তুমি জানার আগ্রহ মেটাতে চেষ্টা করবে বেশি। আর এভাবেই তোমার জ্ঞানের ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করতে পারবে। আমরা এখন একটি আধুনিক পৃথিবীর বাসিন্দা। একসময় এই পৃথিবী এমন আধুনিক ছিল না। কিন্তু মানুষের জানার আগ্রহই আজ এই আধুনিক পৃথিবীর জন্ম দিয়েছে। আজ কত সহজে তোমরা স্যাটেলাইট ব্যবহার করে টেলিভিশনের নানা দেশের অনুষ্ঠান দেখছো। অথচ ৫০ বছর আগে মানুষেল ঘরে ঘরে টেলিভিশনই ছিল না। আজ পকেটে করে টেলিফোন বহন করা যাচ্ছে অনায়াসে। অথচ মাত্র ২৫ বছর আগেও সেটা কল্পনার অতীত ছিল। দূর গ্রাম গল্পে সুইচ টিপে ঝলমলে বিদ্যুতের বাতি জ্বালানো যাচ্ছে, অথচ মাত্র ৩০০ বছর আগেও তা মোটেই সম্ভব ছিল না। আজ এসব আমাদের হাতের মুঠোয় এসেছে বিজ্ঞানের আশির্বাদে। এই বিজ্ঞানকে সঠিকভাবে জানতে হবে, বুঝতে হবে। তবেই তোমার জ্ঞানের পরিধি বাড়বে। এই জন্যই তো আমার এই বইটি লেখা।