ফ্ল্যাপে লিখা কথা সফলতা ও বিফলতা শুধুই ভাগ্যচক্রের বিষয় নয়। সাফল্য অর্জনের কিছু প্রাকৃতিক নিয়ম আছে। সেগুলোই হলো সফলতার ভিত্তি । যারা নিয়মগুলো অনুসরণ করবে তারা সফল হবেই । ভিত্তিগুলো হলো- ১. ইতিবাচক মানসিকতা ও ক্রিয়াশীল দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা; ২. সুনির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট লক্ষ্য স্থির করা; ৩. লক্ষ্য অর্জন করার জন্য মনে তীব্র তাড়না সৃষ্টি করা; ৪. প্রয়োজনীয় গুণ, অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা অর্জনের প্রতিটি সুযোগকে সুযোগ্য উস্তাদের তত্ত্ববধানে কাজে লাগানো; ৫. নীরবে রুটিনমাফিক চেষ্টা অব্যাহত রাখা এবং ৬. সর্বদা শান্ত ও হাস্যোজ্জ্বল থাকা।
এগুলো পৃথিবীর জন্য আল্লাহর নির্ধারিত নিয়ম। যতদিন পর্যন্ত পৃথিবীকে স্থায়ী রাখা আল্লাহ তা’আলার ইচ্ছা, ততদিন এ সমস্ত নিয়মে কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না। মানুষ মূলত দু’টো কারণে জীবনে ব্যর্থ হয়- ১. হীনম্মন্যতা ও নিজের প্রতি আস্থার দুর্বলতা । ২. সুনির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট কোনো লক্ষ্য না থাকা। ইতিবাচক মানসিকতা ও ক্রিয়াশীল দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী হতে পারলে প্রত্যেকের এই অভিজ্ঞতা অর্জন হবে যে, মেধার স্বল্পতা, শারীরিক অসুস্থতা, আর্থিক অস্বচ্ছলতা, পারিবারিক প্রতিকূলতা ইত্যাদি কিছুই সাফল্য অর্জনের পথে বাধা নয়। এসব বিষয়ের বিবরণ এবং উপরে উল্লেখিত সফলতার ভিত্তিসমূহের ব্যাখ্যা এই বইয়ে সবিস্তারে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাংলাদেশে আরবিভাষার প্রাণপুরুষ তিনি। রচনা করেছেন অসাধারণ কিছু গ্রন্থ। জন্ম কুমিল্লার চান্দিনা থানাধীন বসন্তপুর গ্রামের পূর্ব ভূঁইয়াপাড়ায়। ১৯৭২ ঈসায়ির ১৮ মার্চ। পড়ালেখার হাতে খড়ি পিতা আবদুল কাদির ও মাতা রাবেয়া খাতুনের কাছে। দাওরায়ে হাদিস সমাপ্ত করেন প্রথমে ১৪১৫-১৬ হিজরি শিক্ষাবর্ষে বারিধারা মাদরাসায়; ১৪১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে দেওবন্দে গ্রহণ করেছেন ‘আরবি সাহিত্যে’র উচ্চতর পাঠ। তিনি মাওলানা আবদুল মতিন বিন হোসাইনের নিকট বাইয়াতের ইজাযতপ্রাপ্ত হন ১৪৩৩ হিজরিতে। ‘মারকাযুদ দাওয়াহ আলইসলামিয়া ঢাকা’, ‘জামালুল কুরআন মাদরাসা’ গেণ্ডারিয়া, ‘আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানীনগর ঢাকা’য় হাদিসের উস্তাদ এবং আরবিভাষা ও সাহিত্য বিভাগে’র তত্ত্বাবধায়ক উস্তাদের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি ‘মাহাদুশ শায়খ ফুআদ লিদ্দিরাসাতিল ইসলামিয়া ঢাকা’য় অবস্থান করছেন।