"এ হাই লেভেল ইংলিশ কোর্স (বুকস-১)"বইটির ভূমিকা: বর্তমানে ইংরেজি ভাষা ভালভাবে আয়ত্ত করতে পারলে যে-কোন উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং উদ্যমী ব্যক্তির জীবনের গতি অভাবনীয়রূপে পাল্টে যেতে পারে। আর এ-কারণেই বর্তমানে ইংরেজি ভাষার উপর ঝোঁক দিন দিন বাড়ছে। সকল বয়সের উদ্যমী নারী ও পুরুষ শিক্ষার্থীরা এই ভাষাটা শেখার জন্য আরও আগ্রহী হয়ে উঠছেন। কিন্তু এত আগ্রহ, উদ্যম, আর আকাক্ষা মনে নিয়েও কৃতকার্য হচ্ছেন মাত্র কয়েকজন হাতে-গােনা ব্যক্তি। এর কারণ কি? এর কারণ একাধিক, নিঃসন্দেহে। তবে প্রধান কারণগুলােকে নিম্নরূপে চিহ্নিত করা যায়: S. S. C পর্যায় পর্যন্ত আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থার পাঠ্যক্রম অন্তত ইংরেজি শেখার জন্য বেশ উপযুক্ত এবং তা প্রশংসার দাবী রাখে। তবে, অধিকাংশ স্কুলেই সঠিক শিক্ষকের দ্বারা সঠিক পদ্ধতিতে পড়ানাে হয় না। - ইদানিং ৫০০ নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের কারণে S. S. C পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা grammar বই পড়ার ঝামেলা (?) এড়াবার একটা পথ খুঁজে পেয়েছে। ফলে তারা যা-কিছু শ্রম দিচ্ছে তা শুধু নির্ধারিত কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর চোখ দিয়ে গিলে ফেলার জন্য, শেখার জন্য নয়। আমাদের দেশে সকল বয়সের ইংরেজি শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নতমানের কোন। | বই নেই। ভারত থেকে কয়েকটা বই আসে বটে, তবে সেগুলাে পড়ে ইংরেজি শেখা সম্ভব হয়না, কারণ সেগুলােতে স্রেফ translationই দেওয়া হয়েছে যা পাঠকের মুখস্থ। করা ছাড়া গত্যন্তর নেই। চোখ বুজে মুখস্থ করে কখনাে কোন ভাষা শেখা যায়? ইংরেজি শিখতে কোন্ পদ্ধতি দরকার? পরস্পর সম্পর্কহীন, ছাড়া ছাড়া কতকগুলাে বাংলা বাক্যের ইংরেজি। translation পড়ে, এবং তা বােকার মত মুখস্থ করে, ইংরেজি তথা কোন ভাষাই শেখা যায় না। বাজারে প্রচলিত বইগুলােতে ইংরেজি ভাষা শেখানাের নামে কতকগুলাে বাংলা বাক্যকে ইংরেজিতে translate করে দেওয়া হয়, এবং তা মুখস্থ করে পাঠক ইংরেজি ভাষা শিখতে গিয়ে অবশেষে ব্যর্থ হন। ফলে পাঠকের আসল উদ্দেশ্য তাে সফল হয়ই না, উপরন্তু ইংরেজি ভাষা শেখার বই এর উপর তার অবিশ্বাস ধরে যায়। প্রকৃতপক্ষে ইংরেজি ভাষা শেখার জন্য চাই এমন এক পদ্ধতি যার মাধ্যমে সহজে এবং কম সময়ে অত্যন্ত ফলপ্রসূভাবে, তথাকথিত কায়দায় বাক্য মুখস্থ না করেই, নিজেই ইচ্ছেমত অনর্গল ইংরেজি বলে এবং লিখে মনের ভাব প্রকাশ করা যাবে। একটি বাক্য থেকে অনুরূপ ধরনের অগণিত বাক্য তৈরি করা যাবে। এই বইতে এমন এক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে যা পাঠককে উপরােক্ত কথাটার সত্যতা জানিয়ে দেবে।
প্রখ্যাত লেখক এস. এম. জাকির হুসাইন এর বই সমগ্র ইংরেজি ভাষা থেকে শুরু করে সাহিত্য, ইতিহাস, আধ্যাত্মিকতা, ম্যানেজমেন্ট, গণিত, দর্শন, যুক্তিবিদ্যা, ধর্মতত্ত্ব, সমাজবিজ্ঞান, মনস্তত্ত্বসহ নানাবিধ বিষয়ের উপর লিখিত। মাত্র ২৩ বছর বয়সে লেখালেখি শুরু করা এস. এম. জাকির হুসাইন এর বই সংখ্যা এখন ৩৬০। বিভিন্ন বিষয়ে, বিশেষ করে ইংরেজি ভাষাশিক্ষায় তার বইগুলো বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়। প্রগতিশীল আধ্যাত্মিকতায় বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী লেখকদের একজন এস. এম. জাকির হুসাইন এর জন্ম ১৯৭১ সালের ৩১শে অক্টোবর, খুলনা জেলার এক ছোট্ট গ্রামে। বাবার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে শিশু বয়সেই জ্ঞানচর্চা আর লেখালেখিতে উদ্বুব্ধ হন তিনি; অনানুষ্ঠানিকভাবে লেখালেখি শুরু করেন ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকেই। পড়ালেখায় তিনি ছিলেন দুর্দান্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সে এম.বি.এ এবং এমফিল সম্পন্ন করেন। এছাড়াও তার ফলিত ভাষাবিদ্যায় মাস্টার্স ডিগ্রী আছে, এম.এস.সি করেছেন কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও। এস. এম. জাকির হুসাইন এর বই সমূহ ছোট-বড় সব বয়সের মানুষের জন্য পাঠোপযোগী। কর্মজীবনে শিক্ষকতা, ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্সি এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের কাজ করলেও লেখালেখিই তার মূল আকর্ষণ। ভাষার উপর দারুণ দখল থাকায় ইংরেজি ভাষা শিক্ষা, ব্যাকরণ, শ্রবণ এবং লিখিত দক্ষতার উপর তিনি অসংখ্য বই লিখেছেন। ভাষা শিক্ষার বইয়ের পাশাপাশি ‘বাংলাভাষা পরিক্রমা’, ‘ধ্যানের শক্তি ও নবজীবন’, ‘অন্ধকারের বস্ত্রাহরণ’ (দুই খণ্ড), ‘গোপন মৃত্যু ও নবজীবন’ ( দুই খণ্ড) ইত্যাদি বইও তার বই সমূহের মাঝে অত্যন্ত জনপ্রিয়।