বই টিতে কী আছে? A High Level English Course সিরিজের প্রথম এবং দ্বিতীয় খণ্ডে ইংরেজির বিভিন্ন দিক সাধারণভাবে আলােচিত হয়েছে—যাতে ইংরেজি ভাষার (প্রধানত)। কথ্য, রঙিন, নিত্যব্যবহার্য, শক্তিশালী, এবং কৃত্রিমতাবর্জিত বিভিন্ন expression প্রাধান্য পায়নি। সেখানে স্থাপন করার চেষ্টা করা হয়েছে ইংরেজির প্রাথমিক কাঠামােগত ভিত্তি। কিন্তু সফলতার সাথে কথা বলার—এবং লিখিতভাবেও সামাজিক স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে মনের ভাব আদান-প্রদান করার জন্য দরকার আরাে অনেক কিছু : কথার গৎ, প্রথা-নির্ভর রঙিন বাক-সূত্র, আটপৌরে প্রকাশভঙ্গি এবং ঘরােয়া শব্দমালা ইত্যাদি। তাহলে ব্যক্ত কথা বা ভাষা স্বাভাবিকভাবেই সামাজিক অমায়িকতার এবং কৃত্রিমতা-বিবর্জিত সাবলীলতার । দ্বারা সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে—যে-বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায় ইংরেজি মাতৃভাষীদের কথাবার্তায় এবং অনানুষ্ঠানিক লেখায়। মাতৃভাষার মতাে ইংরেজিকে এরূপে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় ব্যবহার করতে পারার জন্য এরূপ expression এবং phrase/word অত্যাবশ্যক । এই বইতে ইংরেজি ভাষার ঠিক এই সব দিকগুলাের সবচেয়ে বহুলব্যবহৃত উপাদানগুলােই আলােচিত হয়েছে। বইটি পড়ার সময় এতে বিভিন্ন expression/phrase এর status নির্দেশ করার জন্য কিছু সংকেতের ব্যবহার লক্ষ্য করা যাবে, যেমন informal, formal, এবং slang। এগুলাের ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা রাখা অত্যন্ত জরুরি। Informal শব্দটি লেখা রয়েছে যে-সব phrase/expression এর সাথে, বুঝতে হবে যে সেগুলােকে অনানুষ্ঠানিক পরিবেশে ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎঅত্যন্ত ভাবগম্ভীর কোনাে পরিস্থিতিতে যেমন রাষ্ট্রীয় বা সামাজিক বিশেষ মর্যাদাসম্পন্ন কোনাে ব্যক্তির সাথে বিশেষত official আলাপে, formal গাম্ভীর্যপূর্ণ। বক্তৃতায়, কোনাে সম্মানিত অচেনা অতিথির সাথে কথা বলার ক্ষেত্রে—এরূপ expression/phraseকে ব্যবহার না করা ভালাে। তবে informal মানে নিষিদ্ধ নয় মােটেও—এমনকি নিষিদ্ধ নয় slangও (যদিও tab০০ হলাে অশ্লীল)। অনেকের—বিশেষত বাঙালিদের-ধারণা এই যে, কথাবার্তার সকল পর্যায়ে। ব্যবহার করা যদি না যায়, তাহলে এসব expression/phrase শিখে কী লাভ। A High Level English Course Book - 3 কিন্তু ব্যাপারটি আদৌ তা নয়। Informal English এমনকি রাষ্ট্রপতির সাথে কথা বলার সময়ও ব্যবহার করা যায় তার বন্ধু হলে, এবং সংশ্লিষ্ট পরিস্থিতি। official না হলে। Informality মূলত সম্পর্কের এবং পরিস্থিতির ব্যাপার। ইংরেজি মাতৃভাষীরা—বিশেষত আমেরিকানরা প্রায় সব স্তরেই অন্তত কথাবার্তার ক্ষেত্রে informal English-ই ব্যবহার করে থাকে। সিনেমা, নাটক, উপন্যাস, গল্প—এগুলাের প্রায় সবখানেই informal style এর জয়-জয়কার। মূলত informal style-ই হলাে কথা-বলার নিজস্ব style। আমরা যেভাবে লিখি ঠিক সেভাবে কথা বলি কেবলমাত্র অতি-আনুষ্ঠানিক কিছু ক্ষেত্রে, যাকে ব্যতিক্রম হিসেবে ধরা যায়। চাকুরির interview, শ্রেণীকক্ষের আলােচনা, ঘরােয়া meeting, বিভিন্ন লােকজনের সাথে সামাজিক ভাব আদান-প্রদান, বসের সাথে প্রাত্যহিক official আলাপ, যে-কোনাে ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির সাথে ব্যক্তিগত আলাপ, ব্যক্তিগত চিঠিপত্র এবং এমনকি আধুনিক যুগে বাণিজ্যিক প্রয়ােজনে লিখিত অধিকাংশ পত্রালাপ, টেলিফোনে ব্যক্তিগত এবং প্রাত্যহিক official আলাপইত্যাদি ক্ষেত্রে informal styleই ব্যবহৃত হয়। তবে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ছাড়া অন্য কারাে সাথে slang ব্যবহার করা ঠিক নয়। একই কথা ঠিক উল্টো করে formal style সম্বন্ধেও বলা যায়। Formal style মানায় formal বক্তৃতায়, আলাপ, এবং লেখায়। Informal পরিস্থিতিতে তা ব্যবহার করলে কথাবার্তাকে হাস্যকরও মনে হতে পারে। যেমন কোনাে বন্ধুকে বা আত্মীয়কে বা অতিথিকে যদি বলা হয়, একটু অপেক্ষা করুন, আমি দ্রুতই প্রত্যাগমন করছি, তাহলে কথাটাকে শ্রোতার কানে হুমায়ূন আহমেদের নাটকের হাস্যোদ্রেককারী ‘পরিকল্পিত’ সংলাপের মতাে শুনাবে। তবে অনেক ক্ষেত্রে ভাব। হ যখন জটিল এবং উচ্চমার্গের হয়, তখন ভাষাকেও formal হতে হয়, যে-কারণে | লেখায় এবং এমনকি কথাবার্তায়ও informal এর সাথে formal এসে একটি সীমার মধ্যে থেকে অবলীলায় মিশে যেতে পারে। Formal এর সাথে informal এর মিলনের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযােজ্য। ( পরিশেষে জোর দিয়ে একটি কথা বলা যায় : informal English না জানা মানে communicating English এর প্রায় সবটুকু সম্বন্ধে অজ্ঞ থাকা; সে জ্ঞান = নিয়ে কেবল বাংলাদেশের মাধ্যমিক স্তরে ‘পাঠদান’ চলে, তবে অন্য কোনাে দেশের নয়; আর সামাজিক বাক্যালাপের ক্ষেত্রে তাে তা কোনাে কাজেই আসে না
প্রখ্যাত লেখক এস. এম. জাকির হুসাইন এর বই সমগ্র ইংরেজি ভাষা থেকে শুরু করে সাহিত্য, ইতিহাস, আধ্যাত্মিকতা, ম্যানেজমেন্ট, গণিত, দর্শন, যুক্তিবিদ্যা, ধর্মতত্ত্ব, সমাজবিজ্ঞান, মনস্তত্ত্বসহ নানাবিধ বিষয়ের উপর লিখিত। মাত্র ২৩ বছর বয়সে লেখালেখি শুরু করা এস. এম. জাকির হুসাইন এর বই সংখ্যা এখন ৩৬০। বিভিন্ন বিষয়ে, বিশেষ করে ইংরেজি ভাষাশিক্ষায় তার বইগুলো বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়। প্রগতিশীল আধ্যাত্মিকতায় বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী লেখকদের একজন এস. এম. জাকির হুসাইন এর জন্ম ১৯৭১ সালের ৩১শে অক্টোবর, খুলনা জেলার এক ছোট্ট গ্রামে। বাবার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে শিশু বয়সেই জ্ঞানচর্চা আর লেখালেখিতে উদ্বুব্ধ হন তিনি; অনানুষ্ঠানিকভাবে লেখালেখি শুরু করেন ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকেই। পড়ালেখায় তিনি ছিলেন দুর্দান্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সে এম.বি.এ এবং এমফিল সম্পন্ন করেন। এছাড়াও তার ফলিত ভাষাবিদ্যায় মাস্টার্স ডিগ্রী আছে, এম.এস.সি করেছেন কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও। এস. এম. জাকির হুসাইন এর বই সমূহ ছোট-বড় সব বয়সের মানুষের জন্য পাঠোপযোগী। কর্মজীবনে শিক্ষকতা, ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্সি এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের কাজ করলেও লেখালেখিই তার মূল আকর্ষণ। ভাষার উপর দারুণ দখল থাকায় ইংরেজি ভাষা শিক্ষা, ব্যাকরণ, শ্রবণ এবং লিখিত দক্ষতার উপর তিনি অসংখ্য বই লিখেছেন। ভাষা শিক্ষার বইয়ের পাশাপাশি ‘বাংলাভাষা পরিক্রমা’, ‘ধ্যানের শক্তি ও নবজীবন’, ‘অন্ধকারের বস্ত্রাহরণ’ (দুই খণ্ড), ‘গোপন মৃত্যু ও নবজীবন’ ( দুই খণ্ড) ইত্যাদি বইও তার বই সমূহের মাঝে অত্যন্ত জনপ্রিয়।