"আলোর গন্ধ" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: এক নীল চোখের মানুষ। সবার কাছে থেকেও এক অজানা দূরত্বে ভেসে থাকে সে। অসীম নির্লিপ্তি আর উদাসীনতায় সে অংশ নেয় সবার জীবনে। আবার বেরিয়েও আসে সবার জীবন ছেড়ে। কলেজে পড়া দিঘির তাকে নিয়ে কীসের এত রাগ? প্রেমিক আর্যর সঙ্গে থেকেও ছটফট করে দিঘি। বারবার তার মনে পড়ে যায় এক সপ্তমীর সকাল, হলুদ গিটার আর দক্ষিণের সেই রঙিন জানলা। ক্রিকেটার রুহান মাথা নিচু করে দেখে কীভাবে সবকিছু চলে যায় তার মুঠোর বাইরে! টালমাটাল হয়ে ওঠে তার জীবন। আর সে অনুভব করে নীল চোখের মানুষটার শূন্যতা। জিয়ানারও এক অপরাধবােধ কাজ করে সেই মানুষটাকে ঘিরে। সংসার আর চাকরির মধ্যে আটকে থাকা জীবনের গায়ে কেন জড়িয়ে থাকে স্বপ্ন ? কেন সে দেখে কুয়াশার ভেতর আজও মিলিয়ে যাচ্ছে একটা সাইকেল! নারী-আসক্ত আদিত্যর জীবন পালটে যায় মালিনীকে দেখে। অদ্ভুত একাকিত্ব ঘিরে ধরে ওকে। কেন আদিত্য যেতে পারে না সেই নীল চোখের মানুষটার কাছে? গভীর সমস্যা বুকে চেপে রেখে সবার সামনে উজ্জ্বলভাবে উপস্থিত হতে চেষ্টা করে রাহি। চেষ্টা করে সেই মানুষটাকে আগলে, যত্নে নিজের করে রাখতে। কিন্তু কোথায় ফাক থাকে? কেন বারবার সবার থেকে ছিটকে সরে যায় সেই মানুষটা? চাপাডাঙার জমি নিয়ে রাঘব চক্রবর্তী আর মার্চেন্ট মাল্টিপলসের ঝামেলা জটিল হলে তার পাকে জড়িয়ে পড়ে রাহি, আদিত্য। জড়িয়ে পড়ে রুহান আর জিয়ানার ভাগ্যও। অনিশ্চয়তার অন্ধকার এসে ঢেকে ফেলতে চায় সবার জীবন। স্মরণজিৎ চক্রবর্তীর ‘আলাের গন্ধ’ উপন্যাসে গভীর রাত্রির শেষে আলাে নিয়ে দাড়িয়ে থাকেন অর্কদেব।
জন্ম ১৯ জুন,১৯৭৬ কলকাতায়। বর্তমানে তিনি দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা। তিনি পৈতৃক ব্যাবসার সঙ্গে যুক্ত আছেন। স্মরণজিৎ চক্রবর্তী নঙ্গী হাইস্কুল থেকে উচ্চ-মাধ্যমিক পাশ করে ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তি হন। কিন্তু কিছুদিন পর পড়া ছেড়ে দেন। তারপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতক হন। স্মরণজিৎ চক্রবর্তী বর্তমান বাংলা সাহিত্যের এক উল্লেখযোগ্য লেখক। তরুণ তরুণীদের মধ্যে তিনি ভীষণ জনপ্রিয়। কবিতা দিয়ে তাঁর লেখালিখির শুরু। প্রথম ছোটগল্প প্রকাশিত হয় 'উনিশ কুড়ি' পত্রিকার প্রথম সংখ্যায়। প্রথম উপন্যাস 'পাতাঝরার মরশুমে'। তাঁর সৃষ্ট এক অনবদ্য চরিত্র অদম্য সেন। তাঁর শখ বলতে কবিতা, বই, মুভিজ আর ফুটবল।