‘গণিতের জাদু’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ জাদু দেখে মজা পান না, এমন মানুষ খুব কমই আছেন। কিন্তু গণিত দিয়েও যে জাদু দেখানো চলে, তা সাধারণ চিন্তায় আসে না। আপনি এ বইয়ের কয়েক পাতা পড়ার পর নিজের অজান্তেই বলে উঠবেন, ওহ্, এই ব্যাপার! এত সোজা আর এত মজা! সাধারণত গণিতকে মনে করা হয় নীরস বিষয়, আর জাদু হলো প্রতি মুহূর্তে টানটান উত্তেজনা। এ দুই বিপরীতের সম্মিলন যে এত আনন্দদায়ক হতে পারে, তা হয়তো আগে কেউ ভাবেননি। জাদুর ছলে কঠিন গণিত সহজে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। গণিত খুব বেশি জানার দরকার নেই। বিজ্ঞানী থেকে দার্শনিক, কবি-সাহিত্যিক থেকে কূটনীতিক—বইটি সবার জন্য।
গণিতের জাদু বইটির সারাংশঃ জাদু বলতেই আমরা খুব মজার কিছু এবং গণিত বলতেই আমরা খুব ঝামেলার কিছু বুঝি কিন্তু এই দুই মেরুর দুটি অবস্থাকে একটি সুন্দর রুপ দিয়েছেন লেখক আব্দুল কাইয়ুম। তিনি ১৮ জানুয়ারি ১৯৫০, ঢাকায় জন্মগ্রাহন করেন। এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যানে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। বর্তমানে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির কোষাধ্যক্ষ। তিনি এই বইটিতে বেশ কিছু চমকপ্রদ অঙ্ক দিয়েছেন। যেমন ১৬টি বর্গ আকার ঘরের ১ থেকে ৫০ এর মধ্যে যে কোন সংখ্যা দিলে তার যে কোন দিকের যোগফল ঐ নিদিষ্ট সংখ্যা হবে। এবং বইটি এমন ভাবে লিখেছেন যে, যিনি এই বইটি পড়বেন তার কাছে মনে হবে তিনি নিজেই এই জাদু গুলো দর্শকদের সামনে দেখাচ্ছেন। এবং জাদুর বেশ কিছু কৌশলও লিখেছেন।
জন্ম: ১৮ জানুয়ারি ১৯৫০, ঢাকায় । এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যানে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। বামধারার রাজনীতি করতেন । বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। বর্তমানে প্ৰথম অ্যালোর সহযোগী সম্পাদক । বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির কোষাধ্যক্ষ । বিজ্ঞান বিষয়ে পত্রিকায় নিয়মিত লেখেন । বিজ্ঞান ও অন্যান্য বিষয়ে এযাবৎ পনেরোটির মতো বই প্রকাশিত হয়েছে। বইগুলোর মধ্যে বিজ্ঞানের রাজ্যে বন্ট ও কেন, কাৰ্য্যকারণ প্রশ্ন ও উত্তর বিজ্ঞানের রাজ্যে রহস্য/ভেদ প্রশ্ন অ্যর প্রশ্ন প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।