বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ Approach-কে সফল করার জন্য সরকার তাদের পরিকল্পনা এবং নীতিমালা অনুযায়ী কাজ করছেন। সেই সার্বিক প্রচেষ্টাকে কৌশলগতভাবে সমর্থন ও সফল করার জন্য বইটিকে প্রণয়ন করা হয়েছে, তার substitute বা বিকল্প হিসেবে নয়। বর্তমানের গাইড কালচার এবং মডেল টেস্ট সিনড্রোম যেভাবে অবাধ জোয়ারের গতিতে শিক্ষার্থীদের ব্রেইন ওয়াশ করছে, তাতে সরকারি মহাপরিকল্পনা গৌণ হয়ে পড়তে পারে এমন আশংকা করা অবান্তর নয়। উল্লেখ্য যে, গাইড বই এবং মডেল টেস্ট কোনােটাই ক্ষতিকর নয়, যদি তাকে গৌণ এবং মূল পদ্ধতিকে মুখ্য বিবেচনা করা হয়, এবং সেরূপ মনােভাবকে আমাদের learning এবং teaching habit-এর মধ্যে সক্রিয়ভাবে ফুটিয়ে তােলা হয়। ব্রিটেন আমেরিকার মতাে দেশেও গাইড বই ও মডেল টেস্ট প্রচলিত আছে। এই বইয়ের পদ্ধতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে আমি সরাসরি empirical research এর আশ্রয় নিয়েছি। একাধিক পদ্ধতিতে বিগত প্রায় দেড় বছর ধরে একাধিক গ্রুপ শিক্ষার্থীকে grammar, writing, এবং reading এর ওপর পাঠদান করে তাদের মধ্য থেকে সর্বাধিক effective (লক্ষ্য অর্জনের বিচারে কার্যকর) এবং efficient (সময় ও মেধা ব্যয়ের বিচারে সবচেয়ে বেশি ফলপ্রসূ) পদ্ধতিগুলিকে বেছে নিয়েছি। সেগুলিকেই Communicative Syllabus এর latest content এবং format এর সাথে adapt করা হয়েছে। Experiment-গুলিকে করেছিলাম নিজের দায়িতুে, শুধুমাত্র কিছু যুগােপযােগী পদ্ধতি নির্ধারণের জন্য। দীর্ঘ দেড় বছর ধরে এই research-এর ব্যয়ভার বহন করেছিল জ্ঞানকোষ প্রকাশনী। এটি ছিল বেসরকারিভাবে পরিচালিত একটি ব্যয়বহুল project, অন্তত এই ক্ষুদ্র লেখক এবং জ্ঞানকোষের মতাে একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের কথা বিবেচনা করলে বলতে হয় যে তা ব্যয়বহুলই বটে। আমার কথা না হয় বাদই দিলাম, জ্ঞানকোষের এই আত্মত্যাগ। মানুষের কাজে লাগুক, আমার এটাই কামনা। বাণিজ্যের উদ্দেশ্যেও যে মহৎ কাজের দায়িত্ব নেয়া যায়, জ্ঞানকোষ তার প্রমাণ দিল। এর আগে এরূপ মহত্বের প্রমাণ দিয়েছিল রােহেল পাবলিকেশন্স। সচরাচর আমাদের দেশের প্রকাশকগণ ভালাে লেখা’ পেলে ছাপেন, কিন্তু ভালাে লেখা সৃষ্টি করার। জন্য কেউ অর্থ ও ধৈর্য বিনিয়ােগ করেন কি না, তার প্রমাণ আমি এই দুই প্রকাশনী ছাড়া অন্য কোথাও। এখনও পাইনি। আমাদের সমাজে অসৎ কাজ করার জন্য অনেক দুঃসাহসী লােক আছে, কিন্তু সৎ কাজ করার জন্য সামান্য-সাহসী লােকও তেমন চোখে পড়ে না। বইটির কোনাে বিচ্ছিন্ন উদ্দেশ্য নেই, পাঠকের উদ্দেশ্য সফল করার ক্ষমতার মধ্যেই এর উদ্দেশ্যের সফলতা নিহিত। এজন্য সুধী মহলের নতুন নতুন পরামর্শ এবং নির্দেশনার জন্য অপেক্ষমান রইলাম। যেসব বিষয়কে এই মুহূর্তে বইটির অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হলাে না, সেগুলি গবেষণাধীন রয়েছে। ইনশাল্লাহ্ পরবর্তী সংস্করণে সেগুলি সংযােজিত হবে। অনিচ্ছাকৃত ভুল-ত্রুটির প্রতি ইঙ্গিত করে বিজ্ঞ পাঠকগণ চিঠি লিখলে আজীবন কতজ্ঞ থাকব।
প্রখ্যাত লেখক এস. এম. জাকির হুসাইন এর বই সমগ্র ইংরেজি ভাষা থেকে শুরু করে সাহিত্য, ইতিহাস, আধ্যাত্মিকতা, ম্যানেজমেন্ট, গণিত, দর্শন, যুক্তিবিদ্যা, ধর্মতত্ত্ব, সমাজবিজ্ঞান, মনস্তত্ত্বসহ নানাবিধ বিষয়ের উপর লিখিত। মাত্র ২৩ বছর বয়সে লেখালেখি শুরু করা এস. এম. জাকির হুসাইন এর বই সংখ্যা এখন ৩৬০। বিভিন্ন বিষয়ে, বিশেষ করে ইংরেজি ভাষাশিক্ষায় তার বইগুলো বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়। প্রগতিশীল আধ্যাত্মিকতায় বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী লেখকদের একজন এস. এম. জাকির হুসাইন এর জন্ম ১৯৭১ সালের ৩১শে অক্টোবর, খুলনা জেলার এক ছোট্ট গ্রামে। বাবার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে শিশু বয়সেই জ্ঞানচর্চা আর লেখালেখিতে উদ্বুব্ধ হন তিনি; অনানুষ্ঠানিকভাবে লেখালেখি শুরু করেন ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকেই। পড়ালেখায় তিনি ছিলেন দুর্দান্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সে এম.বি.এ এবং এমফিল সম্পন্ন করেন। এছাড়াও তার ফলিত ভাষাবিদ্যায় মাস্টার্স ডিগ্রী আছে, এম.এস.সি করেছেন কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও। এস. এম. জাকির হুসাইন এর বই সমূহ ছোট-বড় সব বয়সের মানুষের জন্য পাঠোপযোগী। কর্মজীবনে শিক্ষকতা, ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্সি এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের কাজ করলেও লেখালেখিই তার মূল আকর্ষণ। ভাষার উপর দারুণ দখল থাকায় ইংরেজি ভাষা শিক্ষা, ব্যাকরণ, শ্রবণ এবং লিখিত দক্ষতার উপর তিনি অসংখ্য বই লিখেছেন। ভাষা শিক্ষার বইয়ের পাশাপাশি ‘বাংলাভাষা পরিক্রমা’, ‘ধ্যানের শক্তি ও নবজীবন’, ‘অন্ধকারের বস্ত্রাহরণ’ (দুই খণ্ড), ‘গোপন মৃত্যু ও নবজীবন’ ( দুই খণ্ড) ইত্যাদি বইও তার বই সমূহের মাঝে অত্যন্ত জনপ্রিয়।