বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ না বউ, না শিশু, না আনন্দিত চারপাশ/আমি কারও। নই/আমি কেবল দেখতে থাকি- মেলাভর্তি মানুষঅবিরাম কলকল, ছলছল’... জীবন, মানুষ, প্রকৃতি, সঙ্গ ও নিঃসঙ্গতা- মাহবুব আজীজের কবিতার বিষয়। তার কবিতায় ব্যক্তিক অভিজ্ঞতা নান্দনিকতার সিঁড়ি বেয়ে ছড়িয়ে পড়ে কাব্যের শিরা-উপশিরায়। একটামাত্র জীবন/নিজের যতটা সাধ্য চুমুকে চুমুকে বাঁচো'- গভীর ভালােবাসায় জীবনকে দেখেন কবি; তিনি জানেন- ‘একখানা আস্ত মানুষজীবন পাওয়া গেল ।/ আশ্চর্য সুন্দর! তবুও ‘ঠিক সন্ধ্যার আগে জীবন ও জগতের নানাবিধ মায়া ও প্রশ্নে আলােড়িত কবি হাহাকার ও নিঃসঙ্গতায় বারবারই আবিষ্কার করেন নিজেকে। শৈশব, কৈশাের, বহমান দিনরাত্রি, অভিজ্ঞতা, পর্যবেক্ষণ, প্রেম, হতাশা ও দুঃখ- সবই তাই তার কবিতার বিষয় হয়ে ওঠে। ‘ঠিক সন্ধ্যার আগে’-তে রয়েছেন এমন এক কবি; যিনি ব্যক্তিগত ও নৈর্ব্যক্তিক; একই সঙ্গে গীতিময় ও আখ্যানবিস্তারি। জীবন ও জগতের অনিবার্য সত্যের অন্বেষণ তার কবিতায় ঘুরেফিরে উপস্থিত হয়। কল্পনা, প্রতীক, দৃশ্যকল্প, স্বপ্ন, দুঃস্বপ্ন, বাস্তবতা ও পরাবাস্তবতার হাত ধরে এই কবি কবিতার মধ্যে সঞ্চার করে দেন নিজের যাপিত জীবন, পারিপার্শ্বিকতা, হাহাকার, বেদনা, দীর্ঘশ্বাস ও আনন্দ। আধুনিক বাংলা কবিতার চিরায়ত ধারাবাহিকতায় মাহবুব আজীজের কবিতার স্বর ও সুর ব্যতিক্রমী, সৃজনী ভাবনাসমৃদ্ধ, দূরগামী ও নিজস্বতা চিহ্নিত বলে শনাক্ত হবে।
Title
ঠিক সন্ধ্যার আগে (সিটি-আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার)