প্রিয় গ্রাহক, রকমারি আপনার পছন্দের ক্যাটাগরির নতুন যে কোন পণ্য এবং এক্সক্লুসিভ সব অফার সম্পর্কে সবার আগে জানাতে চায়।
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন। মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
followers
মঈন চৌধুরী
মঈন চৌধুরী জন্ম ১৩৫৪ সালের ২৫ বৈশাখ, পার্কস্ট্রিট, কলকাতায়। মা জোহরা রহমান চৌধুরী, বাবা চৌধুরী শামসুর রহমান। কিছুদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা করলেও জনাব মঈন পেশায় মূলত প্রকৌশল উপদেষ্টা। বর্তমানে অবসরে। কবিতা, প্রবন্ধ লেখেন আর ছবি আঁকেন। প্রকাশিত কবিতার বইয়ের সংখ্যা মোট সাত। ছবি এঁকেছেন প্রচুরসংখ্যক। প্রবন্ধ রচনায় নিষ্ঠা ও ঝোঁক তুলনামূলক বেশি। বিংশ শতাব্দীর দার্শনিকদের দর্শন বিশ্লেষণ করে লিখেছেন অধিকাংশ প্রবন্ধ। প্রকাশিত প্রবন্ধের বইয়ের সংখ্যা মোট নয়। এরমধ্যে সৃষ্টির সিঁড়ি, ফেব্রুয়ারি ১৯৯৭; ইহা শব্দ, ফেব্রুয়ারি ২০০৪; শব্দের সম্ভাবনা, ফেব্রুয়ারি ২০০৭: ভাষা, মনস্তত্ত্ব ও বাঙালি/বঙ্গাল সংস্কৃতি, জুলাই ২০০৯ অন্যতম। 'প্রান্ত' নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন বেশ কিছুকাল। তাঁর রয়েছে দেশি-বিদেশি সাহিত্য ও দর্শন পাঠের বিশাল জগৎ। রয়েছে বহু দেশ ভ্রমণ ও উল্লেখযোগ্য স্থাপত্য-নিদর্শন পরিদর্শন ও প্রত্যক্ষ করবার বিস্তৃত অভিজ্ঞতা। কবিতায় নিমগ্ন থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন; বিনিময়ে বিশেষ সম্মান বা পুরস্কার গ্রহণের দিকটি বরাবরই এড়িয়ে চলেছেন; বিশেষ দলের চক্রে পড়ে নিজের নাম প্রচারের কাজেও জিম্মি হননি কখনও। ছবি এঁকে শুধু ক্ষান্ত হননি; বহু বিখ্যাত চিত্রশিল্পীর মূল চিত্রকর্ম এবং ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বহু এন্টিক ও স্কাল্পচারের মূল কপি নিজ বাসায় সংগ্রহ করে রীতিমতো গ্যালারী তৈরি করেছেন। মঈন চৌধুরীর প্রবন্ধের প্রধান বৈশিষ্ট্য নৈর্ব্যক্তিকতা; বিশেষ মতাদর্শের প্রতি একতরফা ঝোঁক নয়; বরং কোনো বিষয়কেই বিনাপ্রশ্নে ছেড়ে না-দেয়া। ফুকো, দেরিদা, হাইডেগার, লাঁকা, ফ্রয়েড, পপার, সস্যুর, হিবটগেনেস্টাইনসহ বিশ্বের এমনসব দার্শনিকদের দর্শন নিয়ে মঈন চৌধুরী আলোচনা, বিচার-বিশ্লেষণ করেছেন, যাঁদের দর্শন সম্পর্কে বাংলাদেশে এবং ভারতে তাঁর আগে কেউ বাংলাভাষায় উল্লেখযোগ্যরূপে আলোচনা, বিচার-বিশ্লেষণ করেননি। এখনও পর্যন্ত উল্লিখিত দার্শনিকদের দর্শন নিয়ে বাংলাভাষায় বিশেষ বড় কোনো কাজ হয়েছে বলা যাবে না। এটি দর্শন বিষয়ক একটি প্রবন্ধ সংকলন। বইটির প্রবন্ধগুলোপ্রায় উপন্যাস পড়বার মতো গড়-গড় করে পড়ে ফেলা যায়। আশা করা যায় সাধারণ পাঠকসহ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ করে দর্শনের ছাত্র-শিক্ষকদের বেশ কাজে লাগবে বইটি।