প্রিয় গ্রাহক, রকমারি আপনার পছন্দের ক্যাটাগরির নতুন যে কোন পণ্য এবং এক্সক্লুসিভ সব অফার সম্পর্কে সবার আগে জানাতে চায়।
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন। মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
follower
বি আইশা লেমু
আয়েশা লেমু একজন ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত লেখক এবং ধর্মীয় শিক্ষাবিদ যিনি ১৯৬১ সালে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন এবং তার জীবনের বেশিরভাগ সময় নাইজেরিয়াতে কাটিয়েছিলেন। তাঁর জন্ম ১৯৪০ সালে ডরসেটের পুলে এবং মৃত্যু ২০১৯ সালের ৫ জানুয়ারি নাইজেরিয়ার মিন্নাতে। জন্মের পর তাঁর নাম রাখা হয়েছিল ব্রিজেট আইশা হানি। তেরো বছর বয়সে তিনি তার বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন। হিন্দুধর্ম ও চীনা বৌদ্ধ ধর্ম সহ অন্যান্য ধর্মের অন্বেষণ শুরু করেন। তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ (এসওএএস) থেকে পড়াশোনা করেছেন। চীনা ইতিহাস, ভাষা ও সংস্কৃতিকে জানার প্রতি তাঁর ভীষণ আগ্রহ ছিল। ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে জানতে তিনি মুসলিমদের সাথে সাক্ষাত করেন যারা তাকে ইসলামিক সাহিত্য পড়তে দিয়েছিলেন। সেসব বই অধ্যায়ন করে ইসলামিক কালচারাল সেন্টারে ইসলাম গ্রহণ করেন তিনি। তিনি পরবর্তীকালে এসওএএস-এ ইসলামিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করেন, এর প্রথম সেক্রেটারি হন এবং ফেডারেশন অফ স্টুডেন্ট ইসলামিক সোসাইটি গঠনে সহায়তা করেন। ১৯৬৬ সালের আগস্টে নাইজেরিয়ার কানোতে চলে যান সেখানকার স্কুল ফর আরবি স্টাডিজে পড়াতে, যেখানে শেখ আহমেদ লেমু প্রধান শিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন। তারা এপ্রিল ১৯৬৮ সালে বিয়ে করেন। তিনি পরবর্তীকালে সরকারি গার্লস কলেজের অধ্যক্ষের পদ গ্রহণের জন্য সোকোটোতে চলে যান। ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত মিনার উইমেন্স টিচার্স কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন তিনি। তিনি ইসলামিক শিক্ষা ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বেশ কয়েকটি নাইজেরিয়ান রাজ্যে যেটির অফিস, একটি গ্রন্থাগার, একটি প্রকাশনী, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং নারীদের জন্য বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। লেমু নাইজেরিয়ান এডুকেশনাল রিসার্চ কাউন্সিল দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক স্টাডিজ প্যানেলের সদস্য ছিলেন, যেটি স্কুল স্তরের জন্য জাতীয় ইসলামিক পাঠ্যক্রম সংশোধন করেছিল। ১৯৮৫ সালে লেমু অন্যান্য মুসলিম নারীদের সাথে ফেডারেশন অফ মুসলিম উইমেনস অ্যাসোসিয়েশনস অফ নাইজেরিয়া প্রতিষ্ঠা করেন এবং চার বছরের জন্য প্রথম জাতীয় আমিরাহ নির্বাচিত হন। লেমু এই কার্যকালের পরে একজন সরকারী কর্মচারী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০০ সালে লেমু রাষ্ট্রপতি ওলুসেগুন ওবাসাঞ্জো কর্তৃক মেম্বার অফ দ্য অর্ডার অফ নাইজার (এমওএন) জাতীয় সম্মানে ভূষিত হন।