এককালে বৃহত্তর পাবনা জেলার উল্লাপাড়া, তাড়াশ, শাহজাদপুর, রায়গঞ্জ, বেড়া, ফরিদপুর, ভাঙ্গুড়া, চাটমোহর। নওগাঁ জেলার রানীনগর, আত্রাই। নাটোর জেলার লালপুর বাদে পুরো অংশ এবং বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম, আদমদীঘি, শেরপুরের কিছু অংশ নিয়ে চলনবিল বিস্তৃত ছিল বলে জানা যায়। বর্তমানে বিলটি প্রায় ২০০০ গ্রাম, ৫৫টি ইউনিয়ন, ১১টি উপজেলা (উল্লাপাড়া উপজেলা পশ্চিমাংশে ৫টি ইউনিয়ন, শাহজাদপুর উপজেলার উত্তরাংশের ৩টি ইউনিয়ন, রায়গঞ্জ উপজেলার পশ্চিমাংশের ২টি ইউনিয়ন, ফরিদপুর উপজেলার উত্তর-পূর্বাংশের ৪টি ইউনিয়ন, ভাঙ্গুড়া উপজেলার উত্তর-পূর্বাংশের ৪টি ইউনিয়ন, চাটমোহর উপজেলার উত্তর-পশ্চিমাংশের ৭টি ইউনিয়ন, গুরুদাসপুর উপজেলার উত্তরাংশের ৬টি ইউনিয়ন, বড়াইগ্রাম উপজেলার ২টি ইউনিয়ন, আত্রাই উপজেলার পূর্বাংশের ২টি ইউনিয়ন এবং তাড়াশ ও সিংড়া উপজেলার পুরো।) সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নাটোর, নওগাঁ জেলার প্রায় ৮০০ বর্গকিলোমিটার এলাকাব্যাপী চলনবিলে ২৫ লাখ মানুষের বসবাস। বর্ষার মৌসুমে চলনবিল বিস্তির্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে। তাতে সর্বত্র কমবেশি ৮/১০ হাত পানি, সুবিস্তৃত জলরাশি আর ঢেউয়ের তুমুল গর্জন। স্থানীয়ভাবে পাথার বললেও এটি বিশাল স্থলজ ও জলজ জীববৈচিত্র্য ও দেশীয় সম্পদের বিশাল এক প্রাকৃতিক ভাণ্ডার। দেশের বৃহত্তম মিঠাপানির মৎস্য ভাণ্ডার। মাছের রয়েছে আলাদা ঐতিহ্য। মাছ শিকার নিয়ে নানা কাহিনি, উপকথা, উপাখ্যান। কিন্তু নদীশাসন, প্রযুক্তির প্রসার, বিশাল বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, কারেন্ট ও সুতি জালের ব্যবহার যা মানুষের লালসার কাছে হার মেনেছে।