"আমেরিকান সায়েন্স ফিকশন গল্প-২" ভূমিকা: সায়েন্স নিয়ে ভালোলাগা অনেকদিনের। একটা সময়ে সেই ভালোলাগার পরিধি সায়েন্স থেকে গিয়ে ঠেকে সায়েন্স ফিকশনে। বিভিন্ন সময় সায়েন্স ফিকশন পড়েছি, এ... See more
TK. 460 TK. 390 You Save TK. 70 (15%)
বর্তমানে প্রকাশনীতে এই বইটির মুদ্রিত কপি নেই। বইটি প্রকাশনীতে এভেইলেবল হলে এসএমএস/ইমেইলের মাধ্যমে নোটিফিকেশন পেতে রিকুয়েস্ট ফর রিপ্রিন্ট এ ক্লিক করুন।
"আমেরিকান সায়েন্স ফিকশন গল্প-২" ভূমিকা: সায়েন্স নিয়ে ভালোলাগা অনেকদিনের। একটা সময়ে সেই ভালোলাগার পরিধি সায়েন্স থেকে গিয়ে ঠেকে সায়েন্স ফিকশনে। বিভিন্ন সময় সায়েন্স ফিকশন পড়েছি, একটা সময় পরে যখন দেশের মাঝে পড়ার মতো তেমন কিছু খুঁজে পাওয়া কষ্টকর হয়ে উঠল, তখন নজর দিতে হলো দেশের বাইরে। বিভিন্ন দেখকের সায়েন্স ফিকশন পড়ার সুযোগ হলো। আমেরিকান, রাশান, ব্রিটিশ, ভারতীয় জাপানিজ ... কে জানে আরও কত। দেখার সুযোগ হলো ভিনদেশি সব সায়েন্স ফিকশন মুভি, সিরিজ। বিভিন্ন দেশের লেখকদের দেখা পড়তে গিয়ে যে আনন্দটুকু আমি পেয়েছি, তাই সবার সাথে শেয়ার করার একটা চেষ্টা হলো এই বই। গত বছর, ২০১১ বই মেলাতে প্রকাশ হয়েছিল আমেরিকান সায়েন্স ফিকশন গল্প-১। সেই একই ধারাবাহিকতায় এবং বইটির সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে আবার একই ধরনের আরেকটি চেষ্টা। আগের বারের মতো এবারেও চেষ্টা করা হয়েছে তুলনামূলকভাবে অখ্যাত লেখকদের বিখ্যাত কিছু গল্পকে তুলে নিয়ে আসার। যেহেতু বইটির নাম আমেরিকান সায়েন্স ফিকশন গল্প, তাই স্বাভাবিকভাবেই সেখানে স্থান পেয়েছে আমেরিকান লেখকদের বিভিন্ন গল্প। সত্যি বলতে কি, আধুনিক সায়েন্স ফিকশনের উন্নয়নের সিংহভাগ অবদান দিতে হয় আমেরিকান লেখকদের। আর তারা লিখেছেনও বটে! প্রতিষ্ঠিত, বিখ্যাত সায়েন্স ফিকশন লেখকই সম্ভবত আছেন পাঁচশোর উপরে। আর সাধারণ ক্যাটাগরির লেখকদের কথা বাদই দিলাম। এত এত লেখকের মাঝ থেকে গল্প বাছাই করাটা যে বেশ কঠিন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে তারপরেও কিছু গল্প বাছাই করা সম্ভব হয়েছে। যতগুলো বাছাই করা হয়েছিল, তার সবগুলো দেওয়া সম্ভব হলো না স্থান সঙ্কুলান না হবার কারণে। আর যে গল্পগুলো দেওয়া হলো, সেগুলোও যে সবার পছন্দ হবে, এমন কোনো কথাও নেই। তাবে সায়েন্স ফিকশন গল্পগুলো বাছাই করার সময় বেশি করে নজর দেওয়া হয়েছে তাতে যেন সায়েন্সের খটখটে তত্ত্বের থেকে ফিকশন থাকে বেশি। আশা করি গল্পগুলো সবার ভালো না লাগলেও অন্তত কিছু গল্প কিছু মানুষের ভালো লাগবে। কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে গিয়ে বলতে হয় প্রথমেই মা-বাবার কথা। তাঁরা নিয়মিত খোঁজ নিয়েছেন, তাগাদা দিয়েছেন, লেখা কতদূর হলো তা জানার চেষ্টার মাধ্যমে উৎসাহ দিয়েছেন। কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে হয় ইহতিশাম আহমেদ টিঙ্কুর কাছে। অনুবাদগুলোকে মানবিক করতে অসম্ভব রকম সাহায্য করেছেন তিনি। কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে হয় হাসান খুরশীদ রুমীর কাছে, অল্প কিছুদিনের পরিচয়েই যিনি অনেক আপন করে নিয়েছেন আমাকে, বিভিন্ন সময় পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করেছেন, ভুলগুরো ধরিয়ে দিয়েছেন। কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে হয় কিশোর দত্তগুপ্তের কাছে। ব্লগে তিনি ‘বাদ দেন’ নিক নেমে পরিচিত। সেই যবে থেকে অনুবাদ শুরু করেছি, তখন থেকেই তিনি আমার লেখার কঠিন সমালোচক! এই মানুষটির জন্য আর আমার হাত থেকে আজেবাজে লেকা বার হবার উপায় থাকে না, কোনো না কোনভাবে কিছু একটা করেই ছাড়বেন! কৃতজ্ঞতা বন্ধু ইয়ামিন আরাফাত বাঁধনকে। একই রুমে থেকে রাতের পর রাত আলোকিত ঘর আর অর্ধেক নষ্ট কীবোর্ডের ভয়ানক শব্দ সহ্য করে আমাকে উৎসাহ দিয়ে গেছে লেখার। সবশেষে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করি প্রকাশনা সংস্থা ঐতিহ্যের প্রধান নির্বাহী ও স্বত্বাধিকারী আরিফুর রহমান নাইমের কাছে। এই মেলায় গতবছরের থেকেও বেশি সংখ্যক বই প্রকাশ করার ব্যস্ততাতেও তিনি আমার এই বইটির দিকে বিশেষ নজর দিয়েছেন, প্রকাশ করেছেন। সায়েন্স ফিকশন এর প্রতি তার ভালোবাসা কতটুকু তার প্রমাণ হিসেবে তিনি খুব শীঘ্রই আনছেন একটি বিশাল আকৃতির ও অসাধারণ মানসম্পন্ন সায়েন্স ফিকশন পত্রিকা, সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ঝুঁকিতে। এজন্য তাঁকে জানাই সাধুবাদ। সবাইকে আবারও শুভেচ্ছা, ভালো থাকবেন। ইশতিয়াক মাহমুদ মিরপুর, ঢাকা। ১৫.০১.২০১৩ সূচিপত্র * টয় শপ * আস্ক আ ফুলিশ কোয়েশ্চন * কম্প্যাটিয়েবল * এন এম্পটি বটল * অল দ্যাটস গোজ আপ * আ সায়েন্টিস্ট রাইজেস
Title
আমেরিকান সায়েন্স ফিকশন গল্প কালেকশন (১ম, ২য় ও ৩য় খণ্ড)
খন্দকার ইশতিয়াক মাহমুদ ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রাজুয়েট। দেশের বাড়ি রংপুর হলেও শিক্ষা ও কর্মসূত্রে ঢাকাবাসী প্রায় এক যুগ । ছােটবেলা থেকেই বই পাগল ছিলেন এবং স্কুল পালিয়ে পাবলিক লাইব্রেরিতে বসে নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাস ছিল এক সময় । অনুবাদ শুরু করেন ২০১১ সালের বই মেলায় প্রকাশনা সংস্থা ঐতিহ্য থেকে প্রকাশিত আমেরিকান সায়েন্স ফিকশন গল্প ১ দিয়ে, এবং নিয়মিতভাবে লিখে এই সিরিজে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বই প্রকাশ করেছেন ঐতিহ্য থেকেই । নিয়মিতভাবে অনুবাদ সাহিত্য নিয়ে কাজ করে যাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
রাশান সায়েন্স ফিকশনগুলোকে বা রাশান সায়েন্স ফিকশনের লেখকদেরকে সায়েন্স ফিকশনের দুনিয়ায় সেরা বলা হলেও আমেরিকান সায়েন্স ফিকশনগুলোও কিন্তু একেবারে ফেলনা নয় । তাদের লেখা সায়েন্স ফিকশনগুলোও অসাধারণ । খন্দকার ইশতিয়াক মাহমুদ আটটি আমেরিকান সায়েন্স ফিকশন অনুবাদ করে সেগুলোর সংকলন প্রকাশ করেছেন । আমেরিকান সায়েন্স ফিকশন গল্পের আটটি সায়েন্স ফিকশন - 1. ফিট অভ ক্লে (ফিলিপ হসকিন্স) 2. ফেলোনি (জেমস কসে) 3. বিচকম্বার (মাইক রেনেসিক) 4. দ্য ডে টাইম স্টপড মুভিং (ব্র্যাডনার বাকনার) 5. দ্য শু (রবার্ট শেকলি) 6. দ্য ড্র (জেরোম লুইস বিক্সবি) 7. দ্য স্টোর অভ দ্য ওয়ার্ল্ড (রবার্ট শেকলি) 8. দ্য নাথিং ইকুয়েশন (টম গডউইন) সায়েন্স ফিকশনগুলোর কাহিনী বিন্যাস বৈচিত্র্যময় এবং সেগুলো মোটামুটি উত্তেজনায় ভরপুর । পাঠক পাঠ করলেই ব্যাপারটা বোধগম্য হবে । এই কাহিনীর বৈচিত্র্যটা কি রকম বা কতটা উত্তেজনাকর তা বোঝা যায় বইয়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লাইন থেকে । যেমন ফিট অভ ক্লে গল্পটির কিছু লাইন এরকম - "তুমি কি তাদের মাঝে ঈশ্বর হয়ে বসেছ ?এর ফলাফল কিন্তু মারাত্মক হতে পারে ডিলান ।"তাকে সাবধান করে ক্যাসিডি । আবার ফেলোনি গল্পটির কিছু লাইন এরকম - "যদি কোনো বিশাল সমুদ্রে নির্জন দ্বীপে আটকা পড়,কী করবে ? " উত্তর আসে, "একটা ভেলা বানিয়ে বাড়ি ফিরে যাবার চেষ্টা চেষ্টা করব ।" অন্ধকারে নিঃশব্দে হাসে ভোগেল । "বাছাধন . . .তুমি এই পৃথিবীতে আটকা পড়েছ । কী করবে এখন তুমি ?" এরকম আটটি গল্প নিয়েই "আমেরিকান সায়েন্স ফিকলন গল্প" !
Read More
Was this review helpful to you?
By Sourav Ghosh,
14 Sep 2020
Verified Purchase
Very good science fiction book.
Read More
Was this review helpful to you?
By Ishtiak Chowdhury,
06 May 2021
Verified Purchase
Good one.
Read More
Was this review helpful to you?
By mostafizur rahman,
13 Apr 2017
Verified Purchase
প্রথমে যে কথা বললো সেটা হল বইটা পড়ে সায়েন্স ফিকশান সম্পর্কে আমার যে ধারনা ছিল তর সবটাই পাল্টে গেছে। সায়েন্স ফিকাশান অবশ্যই আমার প্রিয় ক্যাটাগরিতে পড়ে কিন্তু সব লেখকের সায়েন্স ফিকশান আমি পড়ি নি নির্দিষ্ট কয়েক জন লেখক ছাড়া। কিন্তু এত দিন না পড়ে কি মিস করেছি সেটা বইয়ের গল্পগুলো পড়ে বুঝলাম। প্রতিটা গল্পের প্লট অসাধারণ, গল্পগুলোও অসধারণ। তবে আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লেগেছে "পাইপ অব পিস " যেটা লিখেছেন জেমস ম্যাককিমি।
গল্পে কৃষক হেনরি। সারাদিন কঠোর পরিশ্রম করে নিজের এবং পরিবারের সবার মুখের ভাত জোগান। যদি হেনরি একদিন কাজ না করে তাহলে তাদের না খেয়ে থাকা ছাড়া উপায় নাই। হেনরি নিজেও সেটা জানে। কিন্তু জানার পরও হেনরি একদিন সকালে জানায় সে আর কোনদিনই কাজ করবে না। বরং ঘরে বসে আরাম আয়েশ করবে। স্বামীর অদ্ভুত কথা শুনে স্ত্রীর মাথায় হাত। তিনি বোঝার চেষ্টা করলেন হেনরি মজা করছে কিনা কিন্তু একটা পর্যায়ে যখন বুঝলেন হেনরি যা বলছে তা মিথ্যে নয় তখন শত ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেও কোন লাভ করতে পারলেন না।
হেনরির সেই এক দাবি, পৃথিবী উন্নত হচ্ছে। তাল মিলিয়ে তৈরী হচ্ছে যন্ত্র। আগে ঘোড়ার গাড়ি ছিল কিন্তু এখন নাই। যারা ঘোড়ার গাড়ি চালক তারা নিঃসন্দেহে অন্য কাজ খুজে নিয়েছে। ঠিক সেভাবেই হেনরির কাজ দখল করে নেবে যন্ত্র। হয়তো আজ নয় কিন্তু একটা সময় আসবে যখন হেনরির সন্দেহ সত্যি হবে। তাহলে তখন কি হবে? সেই হেনরিকে না খেয়ে থাকতে হবে। কাজ যখন একদিন বন্ধ করে দিতেই হবে তাহলে সেটা আজকে থেকেই।
এই হলো মোটামুটি গল্পের প্লট। গল্পের অনেক টা অংশ এখনো বাকি। বাকি অংশ কিন্তু অবাক করার মত। আমার ভালো লেগেছে, তবে হেনরির জন্য খারাপ লেগেছে। সে যা বলেছে তা তো সত্যি। একটা সময় তো যন্ত্র সবকিছু দখল করে নেবে তাহলে তখন কি হবে কৃষক দের। তবে এখনো হয়নি কিন্তু পৃথিবীর সব কৃষক যদি এক হয়ে ভবিষ্যতের কথা ভেবে কাজ বন্ধ করে দেয় তাহলে আমাদের কি হবে?
জানতে হলে গল্পটা পড়তে হবে। আর একটা গল্প ছিল ফ্রেডরিক ব্রাউন এর "আর্থম্যান বিয়ারিং গিফট " নামে। আমরা সবাই জানি মঙ্গল গ্রহে কোন প্রান নাই। কিন্তু কথাটা কতটুকু সত্যি? এমনোও হতে পারে প্রান আছে কিন্তু আমরা সেটা ধরতে পারছি না। হতে পারে না এমনটাই হয়েছে। মঙ্গল গ্রহে প্রান আছে। আমরা যেমন তাদের অস্তিত্ব বের করতে পারিনি তারা কিন্তু তা পেরেছে। তারা জানে পৃথিবীতে প্রচন্ড বুদ্ধি মত্তার মানুষ আছে। আর সেজন্যই মঙ্গল গ্রহ বাসী অপেক্ষা করছে কবে পৃথিবী থেকে কোন প্রানী তাদের গ্রুহে যাবে। অবশ্য অপেক্ষা না করেও কোন উপায় নাই কারন তারাও ধ্বংসের পথে। হয়তো আর কিছু যুগ পর ধ্বংস হয়েই যাবে। কিন্তু তারা ধ্বংস হতে চায়না। আর সেজন্য তাদের প্রয়োজন পৃথিবীর মানুষদের। বেশ কয়েক বছর যুগ পর তাদের অপেক্ষার অবশান হলো। এবার পৃথিবী থেকে একটা রকেট যাচ্ছে মঙ্গল গ্রহে। মঙ্গল বাসীরা তাতে খুশী। অবশ্য তাদের খুশী না হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় ছিলনা কেননা তারা জানেনা কি আছে সেই রকেটে।