সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত ধরে ফিরে এলো আবার কাকাবাবু ও সন্তু। ২য় গল্পে এবার কাকাবাবু আর সন্তু চলে এসেছে আন্দামান দ্বীপে। সন্তুর পরীক্ষা শেষ এখন সে ক্লাস নাইন এ উঠবে। স্বভাবতই অবসর সময় গ... See more
TK. 450
বইটি বিদেশি প্রকাশনী বা সাপ্লাইয়ারের নিকট থেকে সংগ্রহ করে আনতে আমাদের ৩০ থেকে ৪০ কর্মদিবস সময় লেগে যেতে পারে।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত ধরে ফিরে এলো আবার কাকাবাবু ও সন্তু। ২য় গল্পে এবার কাকাবাবু আর সন্তু চলে এসেছে আন্দামান দ্বীপে। সন্তুর পরীক্ষা শেষ এখন সে ক্লাস নাইন এ উঠবে। স্বভাবতই অবসর সময় গুলো সে কাকাবাবুর সাথে ঘুরে কাটায়, এবার প্রথমত কাকাবাবু তাকে কোথায় নিয়ে যাবেন সেটা বলেন নি, শুধু জানতে চেয়েছেন সে প্লেনে না জাহাজে চড়বে। বেড়াবার জন্য পাসপোর্ট করতে গিয়ে অদ্ভুত ঘটনা ঘটে হঠাৎ করে এক সাহেব তাঁর গায়ে ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে ট্যাক্সিতে উঠে যায়, সেই সময় এক টোকাই তাঁর পড়ে যাওয়া পাসপোর্ট নিয়ে পালাতে গেলে কাকাবাবু তাকে আটকায়। সন্তু বুঝতে পারে না টোকাই পাসপোর্ট দিয়ে কি করবে। কয়েকদিন পরই সে বিষয়টা ধরতে পারে। আন্দামানের সরকারি বাবু দাসগুপ্ত কাকাবাবুদের রিসিভ করেন। সেখানেই গিয়ে কাকাবাবু তাদের বলেন কেন তিনি সেখানে গিয়েছেন। পুরো বিষয়টা শুনে সন্তু খুব অবাক হয়। আন্দামান মূলত জেলখানা হিসেবে পরিচিত, এখন অবশ্য এখানে বেশকিছু জনবসতি গড়ে উঠেছে। এখানে ২০০ ও বেশি দ্বীপ আছে কিছু দ্বীপ মানুষ ও যথারীতি সরকারি পুলিশে ভরা, আর কিছু দ্বীপে জারোয়ারা থাকে। তাঁরা সভ্য জগতের মানুষকে দেখতে পারে না, কিন্তু ইতিহাস বলে প্রায় প্রতি কিছু বছর পর পর ই এখানে বিদেশি কিছু বিজ্ঞানী আসে কিন্তু পরে আর তাদের খোঁজ পাওয়া যায় না। কেন এই বিজ্ঞানীরা এখানে এসে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়? সেই রহস্য উদ্ঘাটন কীভাবে করেছিলো কাকাবাবু ও সন্তু জানতে পড়তে হবে এই বই। বেশ রোমাঞ্চকর, কাকাবাবু সিরিজের বইগুলোর সবচেয়ে বড় ঝামেলা বইগুলো পড়লেই আপনার ইতিহাসের প্রতি তীব্র টান অনুভব করবেন, ফলে বই পড়া শেষ করে আপনাকে আবার গুগল করে দেখতে হবে সেই ইতিহাস।
বিশ শতকের শেষাংশে জন্ম নেওয়া সব্যসাচী একজন বাঙ্গালি সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, সম্পাদক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট- এমন বহু পরিচয়ে সাহিত্যের অগণিত ক্ষেত্রে তিনি রেখেছেন তাঁর সুকুমার ছাপ। নীললোহিত, সনাতন পাঠক কিংবা কখনো নীল উপাধ্যায় ছদ্মনামে প্রকাশিত হয়েছে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর বই সমূহ। অধুনা বাংলাদেশের মাদারীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন ৭ সেপ্টেম্বর ১৯৩৪। কিন্তু মাত্র চার বছর বয়সেই স্কুল শিক্ষক বাবার হাত ধরে সপরিবারে পাড়ি দিয়েছিলেন কলকাতায়। ১৯৫৩ সালে সাহিত্যে বিচরণ শুরু হয় কৃত্তিবাস নামের কাব্যপত্রিকার সম্পাদনার মধ্য দিয়ে। ১৯৫৮ সালে প্রকাশ পায় প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘একা এবং কয়েকজন’। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর বই মানেই পাঠকের কাছে আধুনিকতা আর রোমান্টিকতার মেলবন্ধন। তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি কবিতার বই হলো ‘আমি কী রকম ভাবে বেঁচে আছি’, ‘যুগলবন্দী’ (শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে), ‘হঠাৎ নীরার জন্য’, ‘রাত্রির রঁদেভূ’ ইত্যাদি। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বই সমগ্র ‘পূর্ব-পশ্চিম’, ‘সেইসময়’ এবং ‘প্রথম আলো’ তাঁকে এপার, ওপার আর সারাবিশ্বের বাঙালির কাছে করেছে স্মরণীয়। ‘কাকাবাবু-সন্তু’ জুটির গোয়েন্দা সিরিজ শিশুসাহিত্যে তাকে এনে দিয়েছিলো অনন্য পাঠকপ্রিয়তা। তাঁরই উপন্যাস অবলম্বনে কিংবদন্তী পরিচালক সত্যজিৎ রায় পরিচালনা করেছিলেন ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ এবং ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’র মতো চলচ্চিত্র। পাঠক সমাদৃত ভ্রমণকাহিনী ‘ছবির দেশে কবিতার দেশে’ কিংবা আত্মজীবনীমূলক ‘অর্ধেক জীবন বই’তে সাহিত্যগুণে তুলে ধরেছিলেন নিজেরই জীবনের গল্প। ২০১২ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত চার দশকে তিনি পরিচিত ছিলেন জীবনানন্দ পরবর্তী পর্যায়ের অন্যতম প্রধান কবি এবং বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব হিসেবে।
সবেমাত্র পরীক্ষা শেষ হয়েছে। ক্লাস নাইন থেকে সন্তু টেনে উঠবে। শেষ পরীক্ষার দিনই কাকাবাবু সন্তুকে জিজ্ঞেস করলো, " জাহাজে যেতে চাও না এরোপ্লেনে?" কাকাবাবুর কথা শুনেই সন্তুর বুক ধক করে উঠল! কাকাবাবুর সাথে কোথাও বেড়াতে যাওয়া মানেই দারুণ এডভেঞ্চার হবে নিশ্চয়ই! অন্যেরা বেড়াতে গিয়ে শুধু সুন্দর সুন্দর জিনিস দেখে। কিন্তু কাকাবাবু যান বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে। সন্তু সাথে গেলে কাকাবাবুর সুবিধে হয়। কাকাবাবুর বয়স ৫৩/৫৪ মত হবে কিন্তু দেখে মোটেও বোঝা যায় না। দিল্লিতে পুরাতত্ত্ব বিভাগীয় বড় কর্তা ছিলেন। আফগানিস্তানের পাহাড়ি রাস্তায় জিপ উলটে খাদে পড়ে যায়। মরতে মরতে বেচে গেলেও এক্সিডেন্টে একটা পা নষ্ট হয়ে যাবার পর চাকুরী ছেড়ে দিয়েছেন কাকাবাবু । চাকুরী ছাড়লে কি হবে কাকাবাবু একদম ঘরে বসে থাকতে পারে না। আর আবিষ্কারের নেশাটাও রয়ে গেছে। তাই এদিকওদিক ঘুরে বেড়ায় অমীমাংসিত রহস্যভেদের জন্য। এবার কোথায় যাওয়া হবে? কিসের সন্ধানে যাওয়া হবে সন্তু কিছুই জানে না। আবার যখন কাকাবাবু জিজ্ঞেস করলো জাহাজ না এরোপ্লেন যাওয়া হবে, সন্তু বেশ চিন্তায় পড়ে গেলো! অনেক ভেবে সন্তু এরোপ্লেনের কথাই বললো। কয়দিন কাকাবাবুর খুব ব্যস্ততায় কাটলো। তারপর পাসপোর্ট তৈরি হলো। পাসপোর্ট আনতে পাসপোর্ট অফিসে গিয়েছিল সন্তু আর কাকাকাবাবু, অফিস থেকে ফেরার সময় ঘটল এক অবাক কান্ড। দুইজন সাহেব সন্তুকে ইচ্ছে করে ধাক্কা দিয়ে ফেল দিলো। সন্তুর হাত থেকে পাসপোর্টটা ছিটকে পড়লো। আরেকটু হলে নোংরা পানিতেই পড়ে যেত। কোনো কথা না বলে সাহেব দুজন ট্যাক্সি নিয়ে চলে গেল! কিন্তু ওরা তো এমন অভদ্র হয়না! যাক, কিছুক্ষণ পরে আরেকটা ট্যাক্সি ধরে বাড়ি ফিরলো সন্তুরা। পরের দিন সকালে খুব ভোরে তারা এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লো। সন্তু প্লেনে চেপেও জানতে পারলো না সে কোথায় যাচ্ছে। কারণ কাকাবাবু খুব চাপা স্বভাবের লোক। নিজে থেকে কিছু না বললে জিজ্ঞেস করে লাভ নেই। সন্তু প্লেনের ভেতর সেই সাহেবদের দেখে অনেকটা ভয় পেয়েই কাকাবাবুকে বিষয়টা জানালো। কিন্তু কাকাবাবু তেমন পাত্তা দিল না। সন্তুদের প্লেন বার্মায় থামল ফুয়েল নিতে। তখন কাকাবাবু সন্তুকে জানালো যে, তারা আন্দামানে যাচ্ছে। আর তখনি সন্তুর মন ভীষণ খারাপ হলো! এ কোনো বেড়াবার জায়গা হতে পারে? শুধু দ্বীপ আর দ্বীপ। বার্মা এয়ারপোর্টে কাকাবাবু উঠে গিয়ে ইচ্ছে করেই সাহেব দুজনের সাথে কথা বলে এলো! এর কোনো মানে হয়! সন্তু ভেবেই পেলোনা! প্লেন আবার ছেড়ে যখন পোর্ট ব্লেয়ারে এসে পৌঁছালো, নেমে সন্তু অবাক চোখে চারপাশ দেখতে লাগলো। ছবির মতন সুন্দর, সাজানো গোছানো দ্বীপ। যে দিকেই চোখ যায় গাঢ় নীল জলরাশি। আর সবুজে সবুজে ছেয়ে আছে আশেপাশে সমস্তকিছু। ওরা যে গেস্ট হাউজে উঠেছে তা একটা টিলার উপর। সামনে পেছনে ফুলের বাগান, তার পেছনে সমুদ্র আর ঘন জঙ্গল। দেখেই যেন প্রাণ জুড়িয়ে যায় । শান্ত আর নিরিবিলি এমন দ্বীপে কাকাবাবু কিসের খোঁজে এলো? সন্তু ভেবেই পায় না! কাকাবাবু নিশ্চয়ই দ্বীপের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হতে এখানে আসেনি? তবে কিসের খোঁজে এসেছে? আর সেই সাহেব দুটোই বা কেন এসেছে? তাদের উদ্দেশ্যটা কি? নেমে তো ওদের কাউকে দেখতে পেলনা? ওরা গেলো কোথায়? ছোট এই দ্বীপে যাবার জায়গাই বা আছে কই? তবে কি কাকাবাবু যে জন্য এসেছে ওরাও সেই একি জন্য এসেছে?
#প্রিয়_লাইন : " সব মানুষ তো এক রকম হয় না? কেউ কেউ ভাবে, সব যেমন চলছে তেমন চলুক। পুরনো জিনিস ঘাটাঘাটি করার কী দরকার? আর কোনও কোনও লোক একটা জিনিস একাবার ধরলে, তার শেষ না দেখে ছাড়ে না। এই রহস্যটা যদি আমি বুঝতে না পারি, তাহলে কোনওদিন রাত্তিরে আমার ঘুম হবে না।"
#পাঠ_প্রতিক্রিয়া : সন্তু আর কাকাবাবুর সাথে আমি তো ঘুরে এলাম আন্দামান থেকে! আপনি গেছেন তো? না গিয়ে থাকলে দেরি না করে এক্ষুণি বেড়িয়ে পড়ুন না কেনো! আরো কিছু বলতে হবে? কাকাবাবুতে খুঁত ধরতে চাইছেন? প্রায় অসম্ভব। তবু যদি খুব ইচ্ছে হয় ওসব না হয় যে যার মত বের করে নিয়েন!
বই হোক ভালোবাসার প্রতীক।
Read More
Was this review helpful to you?
By Pie,
16 Oct 2019
Verified Purchase
বইয়ের নামঃ সবুজ দ্বীপের রাজা
লেখকঃ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভাষাঃ বাংলা
ঘরনাঃ রহস্য, গোয়েন্দা
বইয়ের পৃষ্ঠাঃ ১২৮
বিনিময় মূল্যঃ ২২৫ টাকা
প্রকাশনীঃ আনন্দ
ব্যক্তিগত অনুযোগ (রেটিং): ৪/৫
চরিত্রঃ কাকাবাবু, সন্তু, পাঞ্জা, মিঃ দাশগুপ্ত..... সহ প্রমুখ।
বেশ মজাদার একটা ঘটনা বলে নিয়ে আজকের লেখা শুরু করতে চাচ্ছি, তো... কাকাবাবু সন্তু’র ফটো চাইলে সন্তু যখন দৌঁড়ে গিয়ে নিয়ে এসে কাকাবাবুর হাতে দেয়, তখন কাকাবাবুর ফটো পছন্দ না হওয়ায় কাকাবাবু তখন বললেন, “দু’টো কান দেখা যায়, এমন ছবি দে!”
আর, তখন কাকাবাবুর কথায় সন্তু’র যে চেহারা হয়েছে, সেটার কল্পনা করে আমি এখন পর্যন্ত হাসছি!!
যাই হোক, বইয়ের শুরু,
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা কাকাবাবু সিরিজের ২য় বই এই “সবুজ দ্বীপের রাজা”। এই বইতে আন্দামান দ্বীপ পুঞ্জের ছবি ফুটে উঠেছে, যেমন প্রথম বই “ভয়ংকর সুন্দর” এ ফুটে উঠেছিলো কাশ্মীরের ছবি।
কাকাবাবু আসল নাম রাজা রায়চৌধুরী। কাকাবাবুর সকল অভিযানে একমাত্র সঙ্গী সন্তু। সন্তুর পরিক্ষা শেষ, হাতে কোন কাজ নেই। এমন সময় কাকাবাবু জানালেন, তার সাথে যেতে হবে।
কিন্তু কোথায় যাবে?
কি কারনে যাবে?
তা কিছুই বললেন না। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কিছু কাকাবাবু বলেন না। নিজে থেকে না বললে জানারও কোন উপায় নেই। কাকাবাবুর সাথে প্লেনে উঠার পর সন্তু জানতে পারলো, তারা আন্দামান যাচ্ছে। সন্তুর মন খারাপ হয়ে গেলো। সে ভেবেছিলো হয়তো দূরে কোথাও যাবে।
কিন্তু, তারা তো যাচ্ছে আন্দামান দ্বীপ!
সেখানে ঐতিহাসিক জেলখানা আর দাগী আসামী ছাড়া কিছুই নেই। কাকাবাবু আসামীদের সাথে দেখা করতে যাবার মানুষ নয়। তাহলে কেন যাচ্ছে তারা আন্দামান?
আন্দামান পৌঁছানোর পরে জানতে পারলো এখানে প্রায় ২০০ টি বেশি দ্বীপ আছে। এই সকল দ্বীপে মানুষ গেলে আর ফিরে আসে না। বেশ কিছু দ্বীপে বাস করে ‘জাড়োয়ারা।’
‘জাড়োয়ার’ হলো উপজাতি। মানুষ হলেও এরা বেশ হিংস্র। তারা সভ্য সমাজের মানুষদের সহ্য করতে পারে না। মানুষ দেখলে তারা বিষাক্ত তীর ছুড়ে মারে।
দ্বীপে রেখে আসার পরের দিন তাকে মেরে লাশ ভাসিয়ে দেয়া হয় নদীতে। এই দ্বীপগুলোর একটিতে হাজির হলো কাকাবাবু এবং সন্তু।
কিন্তু তাদের সাহায্য করার জন্য যাকে দেয়া হয়েছে তিনি কিছুতে কাকাবাবু এবং সন্তুকে একা ছাড়তে রাজি না।
কাকাবাবুর জিদের সামনে হার না মেনে উপায় নেই। দাশগুপ্তনবাবুও হার মানলেন। কাকাবাবু আর সন্তু দ্বীপে নামার পর বুঝতে পারলেন, তারা ছাড়াও আরও কিছু মানুষ এই দ্বীপে আছে। আর সেই আগুনের চারপাশ ঘিরে বসে আছে জাড়োয়ারা আর কয়েকজন সাহেব। এর আগে কোন পাথর থেকে আগুন বেরুতে দেখেনি সন্তু।
তাহলে কি মহত্ত্ব এই পাথরের? তবে কি সেটা.....
নিজের ব্যক্তিগত পাঠ প্রতিক্রিয়ায় বলবো যে, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের অন্যতম সৃষ্টি হলো “কাকাবাবু।” বাংলা ভাষায় লেখা রহস্য উপন্যাসগুলোর মধ্যে কাকাবাবু চরিত্র বেশ মননশীল, আকর্ষণীয়।
কাকাবাবু সমগ্রের বাকিগুলো মতো এই বইয়ের প্রতিটি অধ্যায়ে রয়েছে একটি আলাদা উত্তেজনা, রোমাঞ্চিত অনুভূতি। সব যেন একদম হাতের নাগালে এসেও ‘ফুঁসস’ করে বেরিয়ে কানের পাশ দিয়ে।
বেশ কিছু স্থানে এমন রহস্যমতায় মাঝে মাঝ শির শির দিয়ে উঠেছে শরীর, যেন সত্যি ই এবার এটা হতে চললো!
আর, এর মাঝে চরিত্রগুলো যেন কোথায় বা নিরুদ্দেশ যেতে লাগলো এক এক করে।
তবে কি ওরা মানুষখোকে.....
সাহিত্যের স্বাদে যারা রহস্যপ্রেমী, তাদের সবাইকে এই অনবদ্য বইটি পড়ার সাদর আমন্ত্রণ জানাচ্ছি.....
Read More
Was this review helpful to you?
By বাউন্ডুলে পথিক,
16 Nov 2017
Verified Purchase
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোতা ::::::::::১৯:::::::::: বই:- সবুজ দ্বীপের রাজা লেখক:- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ঘরানা:- রহস্য এবং গোয়েন্দা রকমারি মূল্য:- ২২৫ টাকা রেটিং :- ৪/৫
কাকাবাবু অাসল নাম রাজা রায়চৌধুরী। কাকাবাবুর সকল অভিযানে একমাত্র সঙ্গী সন্তু। সন্তুর পরিক্ষা শেষ, হাতে কোন কাজ নেই। এমন সময় কাকাবাবু জানালেন, তার সাথে যেতে হবে। কিন্তু কোথায় যাবে? কি কারনে যাবে? তা কিছুই বললেন না। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কিছু কাকাবাবু বলেন না। নিজে থেকে না বললে জানারও কোন উপায় নেই।
কাকাবাবুর সাথে প্লেনে উঠার পর সন্তু জানতে পারলো, তারা আন্দামান যাচ্ছে। সন্তুর মন খারাপ হয়ে গেলো। সে ভেবেছিলো হয়তো দূরে কোথাও যাবে। কিন্তু তারা যাচ্ছে আন্দামান দ্বীপ। সেখানে ঐতিহাসিক জেলখানা আর দাগী আসামী ছাড়া কিছুই নেই। কাকাবাবু আসামীদের সাথে দেখা করতে যাবার মানুষ নয়। তাহলে কেন যাচ্ছে তারা আন্দামান???
আন্দামান পৌঁছানোর পরেই জানতে পারলো এখানে প্রায় ২০০ টি বেশি দীপ আছে। এই সকল দ্বীপে মানুষ গেলে আর ফিরে আসে না। বেশ কিছু দ্বীপে বাস করে জাড়োয়ারা। জাড়োয়ার হলো উপজাতি। মানুষ হলেও এরা বেশ হিংস্র। তারা সভ্য সমাজের মানুষদের সহ্য করতে পারে না। মানুষ দেখলে তারা বিষাক্ত তীর ছুড়ে মারে। একবার এক জারোয়াকে সভ্য সমাজে এনে তাকে যথেষ্ট আদর-যত্নে একদিন রেখে বুঝানো হয়েছে মানুষরা মোটেও খারাপ বা হিংস্র প্রানী নয়। দীপে রেখে আসার পরের দিন তাকে মেরে লাশ ভাষিয়ে দেয়া হয় নদীতে। এর পরে বোন সাধারন মানুষ বা পুলিশের কেউ তাদের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেন না
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বহু বিজ্ঞানী এই দ্বীপে এসে আর ফিরে যায় নি। এই দীপগুলোর একটিতে আসলো কাকাবাবু এবং সন্তু। কিন্তু তাদের সাহায্য করার জন্য যাকে দেয়া হয়েছে তিনি কিছুতেই কাকাবাবু এবং সন্তুকে একা ছাড়তে রাজি না। কাকাবাবুর জিদের সামনে হার না মেনে উপায় নেই। দাশগুপ্তনবাবুও হার মানলেন।
কাকাবাবু আর সন্তু দ্বীপে নামার পর বুঝতে পারলেন, তারা ছাড়াও আরও কিছু মানুষ এই দ্বীপে আছে। নানা চরাই-উৎরাই পারকরে তারা দেখতে পেলেন গোল একটি পাথর থেকে আগুন বের হচ্ছে। সাধারন কোন আগুন না, বিভিন্ন রঙের আগুন। আর সেই আগুনের চারপাশ ঘিরে বসে আছে জাড়োয়ারা আর কয়েকজন সাহেব। এর আগে কোন পাথর থেকে আগুন বেরুতে দেখেনি সন্তু। তাহলে কি মহত্ত্ব এই পাথরের???? যেখানে কোন সাধারন মানুষ আসতে পারে না। কোন পুলিশ আসলেও যাদের মেরে নদীতে ভাষীয়ে দেয়া হয়। সেখানে সাহেবরা কি করতে এসেছে? জানোয়ারই বা মানুষ পছন্দ করে না কেন????? মানুষ তো তাদের ক্ষতি করছে না। কত রহস্য লুকিয়ে আছে আন্দামানে?
#পাঠ_প্রতিক্রিয়া:- সকল গোয়েন্দা গল্পের মধ্যে আমার প্রিয় কাকাবাবু। কাকাবাবুর বই মানেই অন্যরকম একটি অনুভূতি। কিছুটা জ্ঞান কিছুটা অ্যাডভেঞ্চার কিছুটা রহস্য মিলিয়ে অন্য রকম এক ভালোলাগা কাজ করে। যখনই কাকাবাবু পড়ি তখনই অনুপ্রেরনা পাই। কাকাবাবুর একটি পা প্রায় অচল এমন অবস্থাতেও তিনি কোন কিছুকে পরোয়া করেন না। এজন্যই অনুপ্রেরণা পাই কাকাবাবু পড়লে। এই উপন্যাসটির বেলায় যদি বলি ভালো লেগেছে তাহলে ভুল বলা হবে অনেক অনেক অনেক ভালো লেগেছে। বইটি অনেক আগে পড়েছিলাম তখন যতটা ভালো লেগেছিলো তার চেয়ে অনেক বেশি ভালো লাগলো অাজ।
Read More
Was this review helpful to you?
By Sultan,
13 Oct 2019
Verified Purchase
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা কাকাবাবু সিরিজের ২য় বই এই “সবুজ দ্বীপের রাজা”। এই বইতে আন্দামান দ্বীপ পুঞ্জের ছবি ফুটে উঠেছে, যেমন প্রথম বই “ভয়ংকর সুন্দর” এ ফুটে উঠেছিলো কাশ্মীরের ছবি। কাকাবাবু আসল নাম রাজা রায়চৌধুরী। কাকাবাবুর সকল অভিযানে একমাত্র সঙ্গী সন্তু। সন্তুর পরিক্ষা শেষ, হাতে কোন কাজ নেই। এমন সময় কাকাবাবু জানালেন, তার সাথে যেতে হবে। কিন্তু কোথায় যাবে? কি কারনে যাবে? তা কিছুই বললেন না। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কিছু কাকাবাবু বলেন না। নিজে থেকে না বললে জানারও কোন উপায় নেই। কাকাবাবুর সাথে প্লেনে উঠার পর সন্তু জানতে পারলো, তারা আন্দামান যাচ্ছে। সন্তুর মন খারাপ হয়ে গেলো। সে ভেবেছিলো হয়তো দূরে কোথাও যাবে। কিন্তু, তারা তো যাচ্ছে আন্দামান দ্বীপ! সেখানে ঐতিহাসিক জেলখানা আর দাগী আসামী ছাড়া কিছুই নেই। কাকাবাবু আসামীদের সাথে দেখা করতে যাবার মানুষ নয়। তাহলে কেন যাচ্ছে তারা আন্দামান? আন্দামান পৌঁছানোর পরে জানতে পারলো এখানে প্রায় ২০০ টি বেশি দ্বীপ আছে। এই সকল দ্বীপে মানুষ গেলে আর ফিরে আসে না। বেশ কিছু দ্বীপে বাস করে ‘জাড়োয়ারা।’ ‘জাড়োয়ার’ হলো উপজাতি। মানুষ হলেও এরা বেশ হিংস্র। তারা সভ্য সমাজের মানুষদের সহ্য করতে পারে না। মানুষ দেখলে তারা বিষাক্ত তীর ছুড়ে মারে। দ্বীপে রেখে আসার পরের দিন তাকে মেরে লাশ ভাসিয়ে দেয়া হয় নদীতে। এই দ্বীপগুলোর একটিতে হাজির হলো কাকাবাবু এবং সন্তু। কিন্তু তাদের সাহায্য করার জন্য যাকে দেয়া হয়েছে তিনি কিছুতে কাকাবাবু এবং সন্তুকে একা ছাড়তে রাজি না। কাকাবাবুর জিদের সামনে হার না মেনে উপায় নেই। দাশগুপ্তনবাবুও হার মানলেন। কাকাবাবু আর সন্তু দ্বীপে নামার পর বুঝতে পারলেন, তারা ছাড়াও আরও কিছু মানুষ এই দ্বীপে আছে। আর সেই আগুনের চারপাশ ঘিরে বসে আছে জাড়োয়ারা আর কয়েকজন সাহেব। এর আগে কোন পাথর থেকে আগুন বেরুতে দেখেনি সন্তু। তাহলে কি মহত্ত্ব এই পাথরের? তবে কি সেটা..... নিজের ব্যক্তিগত পাঠ প্রতিক্রিয়ায় বলবো যে, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের অন্যতম সৃষ্টি হলো “কাকাবাবু।” বাংলা ভাষায় লেখা রহস্য উপন্যাসগুলোর মধ্যে কাকাবাবু চরিত্র বেশ মননশীল, আকর্ষণীয়। কাকাবাবু সমগ্রের বাকিগুলো মতো এই বইয়ের প্রতিটি অধ্যায়ে রয়েছে একটি আলাদা উত্তেজনা, রোমাঞ্চিত অনুভূতি। সব যেন একদম হাতের নাগালে এসেও ‘ফুঁসস’ করে বেরিয়ে কানের পাশ দিয়ে। বেশ কিছু স্থানে এমন রহস্যমতায় মাঝে মাঝ শির শির দিয়ে উঠেছে শরীর, যেন সত্যি ই এবার এটা হতে চললো! আর, এর মাঝে চরিত্রগুলো যেন কোথায় বা নিরুদ্দেশ যেতে লাগলো এক এক করে। তবে কি ওরা মানুষখোকে..... সাহিত্যের স্বাদে যারা রহস্যপ্রেমী, তাদের সবাইকে এই অনবদ্য বইটি পড়ার সাদর আমন্ত্রণ জানাচ্ছি.....
Read More
Was this review helpful to you?
By Mahbuba Supti,
01 Jul 2017
Verified Purchase
সন্তুর পরীক্ষা শেষ হতে না হতেই কাকাবাবু রাজা রায়চৌধুরী জানালেন, তার সাথে যেতে হবে। কিন্তু কোথায় যেতে হবে, কেন যেতে হবে তা সন্তু জানে না। আর কাকাবাবু যা বলবে তাই এর বেশি একটা কথাও সে বলবে না। তাই সন্তু তার ব্যাগ গুছিয়ে নির্দিষ্ট দিনে বের হয়ে পড়লো কাকাবাবুর সাথে। প্লেনে উঠার পর জানতে পারলো, তারা আন্দামান দ্বীপে যাবে। সন্তু যথেষ্ট বিরক্ত। কারণ সে জল্পনা-কল্পনা করে রেখেছিলো হয়তো বহুদূর কোথাও যাবে। কিন্তু শেষমেশ আন্দামান দ্বীপ! কিছুই তো নেই এখানে দেখার মতো! শুধু জেলখাটা কয়েদী ছাড়া! তাহলে কেন এলো এখানে কাকাবাবু??
আন্দামান পৌছাঁনোর খানিক পরেই জানতে পারলো আসল কথা। এই আন্দামান প্রায় ২০০ টি বা তারো কিছু বেশি। এই সকল দ্বীপে মানুষ যেতে পারে না। বেশ কিছু দ্বীপে বাস করে জাড়োয়ারা। জাড়োয়ারা মানুষের মতোই দেখতে। কিন্তু এরা বেশ হিংস্র আদিবাসী। তারা মানুষদের সহ্য করতে পারে না। মানুষদেরর তাদের দ্বীপে প্রবেশ করতে দেখলেই ঝাপিয়ে পড়ে তারা। বিষাক্ত তীর ছুড়ে মারে জাড়োয়ারা। পৃথিবীর নানা দেশের বহু বিজ্ঞানীগণ এই দ্বীপে এসে আর ফিরে যেতে পারেন নি। বহু খোজাঁখুজিঁর পরও তাদের হদিস মেলে নি!
সেরকম একটি দ্বীপে এসে নামলো সন্তু আর কাকাবাবু। কিন্তু তাদের দেখাশোনার জন্য যে নিয়োজিত দাশগুপ্ত। তিনি কিছুতেই কাকাবাবু, সন্তুকে একা ছাড়বেন না। কিন্তু হার মানলেন, কাকাবাবুর জিদের কাছে। কাকাবাবু আর সন্তু দ্বীপে নামার পর বুঝতে পারলেন, তারা ছাড়াও আরো কোন মানুষ এই দ্বীপে আছে। কিন্তু কে এরা? ঘুরতে ঘুরতে কাকাবাবু আর সন্তু হাজির হলেন অদ্ভূত এক জায়গায়। সেখানে গোলমতন এক বস্তু থেকে আগুন বের হচ্ছে। নানা রঙের আগুন। আর সেই আগুনের চারপাশ ঘিরে বসে আছে জাড়োয়ারা আর কিছু সাহেবরা। আর একজন বয়স্ক ত্থুত্থুড়ে বুড়ো। যার দাড়ি, চুল পেকে সাদা হয়ে গেছে। সাহেবদের হাত-পা বাঁধা। বুড়োর নির্দেশে সাহেবদের একেকজনকে ছুড়ে ফেলা হচ্ছে সেই আগুনে। কিন্তু এই দ্বীপে কেন এই সাহেবরা? কি চায় এরা? আর কেনইবা তাদের এভাবে আগুনে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে? সন্তু আর কাকাবাবু তাদেরই বা কি হয়?
"কাকাবাবু" সবারই খুব পছন্দের বলতে অন্তত বইপোকাদের জন্য একটি অন্যতম ভালো লাগার চরিত্র। কাকাবাবুর পুরো নাম রাজা রায় চৌধুরী। তিনি নিজের ইচ্ছায় কিছু সমস্যা হাতে নিয়ে সেগুলো সমাধান করার চেষ্টা করে। তার সমস্যা গুলোর মধ্যে দেখা যায় বেশির ভাগ ঘটনা ইতিহাসের সাথে জড়িত। আর এসব অভিযান গুলো তে সবসময় তার সাথী হিসেবে থাকে একমাত্র ভাতিজা সন্তু। বলে রাখা ভালো,কাকাবাবুর কিন্তু সবথেকে দুর্বল দিক ও হচ্ছে সন্তু কারণ যে কাকাবাবু কাউকে দেখে ভয় পায়না তাকে খুব সহজেই গ্রাস করে ফেলা যায় সন্তুর কোন ক্ষতির কথা বললে।
সন্তুর পরীক্ষা মাত্র শেষ হয়েছে, এরই মধ্যে সন্তুর কাছে হঠাৎ কাকাবাবু বললো তারা এবার বেড়াতে যাবে সেটাও আবার প্লেনে। সন্তু দুইটি কারনে খুশি। প্রথমত বেড়াতে যাচ্ছে কাকাবাবুর সাথে, বেড়ানোর কথা বললেও এখানে রহস্যময় কিছু একটা থাকবে বলে সন্তু মনে করছে প্রতিবারের মতো। আর দ্বিতীয় কারন হলো এটাই সন্তুর প্রথম বিমান ভ্রমন। সবমিলিয়ে সন্তু মহাখুশি। তার যেন দিন আর কাটতেই চাচ্ছে না। অবশেষে প্লেন যখন নামলো গন্তব্যে সন্তু খেয়াল করে দেখলো সুন্দর একটা গোছানো দ্বীপে নেমেছে তারা। সন্তু এতো সুন্দর দৃশ্য দেখেও খুশি হতে পারলোনা, রাস্তা দিয়ে যখন তারা হোটেলে যাচ্ছে একই কথা সন্তুর মাথায় ঘুরপাক এবার এই সমুদ্র এবং জঙ্গলে কিসের অভিযান। কারন কাকাবাবুর একটা এক্সিডেন্ে একটি পা হারিয়েছেন, আরেকটা পা ও যদি এবার কিছু হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত তাহলে কি হয়?? দ্বীপের মধ্যে কিসের অভিযান, সন্তুর দুশ্চিন্তা গুলো সত্যি হবে না তো?? সবকিছু জানার জন্য পড়তে হবে বইটি।।
Read More
Was this review helpful to you?
By pritykona das,
21 Jan 2020
Verified Purchase
প্রায় দুশো দীপপুঞ্জের শহর আন্দামান।
আন্দামানের সবুজ অরন্যে ঘেরা দ্বীপ আর নীল রঙের সমুদ্রের জল মন মোহিত করে কিন্তু এত সুন্দর দ্বীপে চারদিকে রয়েছে জারোয়াদের আতঙ্ক। জারোয়ারা হচ্ছে আন্দামানের আদিবাসী যারা সভ্য জাতিদের সহ্য করতে পারে না সভ্য কোন মানুষকে দেখা মাত্রই তারা বিষ মাখা তীর নিক্ষেপ করে। কিন্তু এত সুন্দর আর ভয়ানক দ্বীপে কি খুঁজতে এসেছে কাকাবাবু? আর জারোয়া রা সত্যিই অসভ্য?
প্রায় ৫১ বছর ধরে আন্দামানে বিদেশি বিজ্ঞানীরা আসছে আর নিরুদ্দেশ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কাকাবাবু সেইসব বিজ্ঞানীদের খুঁজতে আসে নি।৷ তিনি এসেছেন এই সব বিজ্ঞানীরা কি উদ্দেশ্যে বারে বারে আন্দামান আসছে সেই রহস্য উন্মোচন করতে। কিন্তু সেই রহস্য উন্মোচন করতে গেলে যেতে হবে অসভ্য নির্দয় জারোয়াদের অরন্যে। তবু প্রবল সাহসী কাকাবাবু ভয়ংকর জারোয়াদের ভয়কে উপেক্ষা করে সন্তুকে সাথে নিয়ে চলে গেছে জারোয়াদের অরন্যে৷ কিন্তু সেইখানে প্রবল আতঙ্কের মধ্যে যে রহস্যের উন্মোচন হয় তা সত্যিই লোমহর্ষক৷ রহস্যের উন্মোচনের সাথে সাথে জারোয়াদের আসল রূপও বেরিয়ে আসে। প্রথমদিকে জারোয়াদের যতটা নির্দয় মনে হয়েছে শেষের দিকে ঠিক ততটাই অসহায় মনে হয়েছে।
পুনশ্চঃ গল্প পড়তে পড়তে আন্দামান,পোর্ট ব্লেয়ারের প্রতি একটা আর্কষন অনুভব করছিলাম। তাই সাথে সাথেই গুগল করলাম৷ গুগল করার পরে চোখ দুটো ছানাবড়া! এত সুন্দর জায়গা আন্দামান😍 নাহ, জীবনে একবার আন্দামান যেতেই হবে🤨
Read More
Was this review helpful to you?
By Rean Sharker,
06 Aug 2017
Verified Purchase
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইঃ- সবুজ দ্বীপের রাজা লেখকঃ- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় প্রকাশ কালঃ- মে ১৯৭৮ প্রকাশনায়ঃ-আনন্দ পাবলিশার্স পৃষ্ঠঃ- ১২৮ মূল্যঃ- ২০.০০
সবেমাত্র পরীক্ষা শেষ হয়েছে ৷ ক্লাস নাইন থেকে সন্তু এবার টেনে উঠবে ৷ শেষ পরীক্ষার দিনই কাকাবাবু জিজ্ঞেস করেছিলেন,সন্তু,এখন তো তোমার ছুটি থাকবে,আমর সঙ্গে বেড়াতে যাবে এক জায়গায় ?
এবার সন্তু আর কাকাবাবু সাথে আমরা যাচ্ছি আন্দামানের একটা ছোট দ্বীপ পোর্ট ব্লেয়ার ৷ এবার রহস্য হলো প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গা থেকে কিছু বৈজ্ঞানিক এই দ্বীপে এসে নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে ৷ পঞ্চাশ বছর দরে বৈজ্ঞানিক রা কেন এই দ্বীপে আসসে ৷ বৈজ্ঞানিকরা এতটাই বোকা না যে শুধু শুধু এই দ্বীপে আসবে ৷ নিশ্চয়ই কোন উদ্দেশ্য ছিল তাদের ৷ কি ছিল তাদের উদ্দেশ্য ? কোথায় বা নিরুদ্দেশ হয়ে গেল তারা?
পোর্ট ব্লেয়ার যে বিমান দিয়ে তারা এসেছিল সেই বিমানে করে দুইজন বিদেশিও এসেছিল ৷ পোর্ট ব্লেয়ার বিদেশি তেমন আসে না ৷ কারা এই বিদেশি ? কী করতে এসেছে তারা ?
#পাঠ_প্রতিক্রিয়াঃআমার কাছে খুবই ভাল লেগেছে ৷ মনে হচ্ছিল আমিও সন্তু ও কাকাবুর সাথে গিয়েছি ৷ কিছুটা উত্তজনাও ছিল যা বেশ ভাল লেগেছে ৷ স্কুল ছুটি? বাড়ি তে বসে ভাল লাগছে না ? কোথা থেকে ঘুরে আসলে ভাল হতো কিন্তু যেতে পারছেন না ? তাহলে ঘুরে আসোন কাকাবাবু আর সন্তুর সাথে ৷ হ্যাপি রিডিং......
Read More
Was this review helpful to you?
By ফয়সাল আহমেদ ,
14 Oct 2019
Verified Purchase
বইয়ের নামঃসবুজ দ্বীপের রাজা লেখকঃসুনীল গঙ্গোপাধ্যায় প্রকাশনীঃআনন্দ পাবলিশার্স মূল্যঃ২২৫টাকা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বই মানেই অন্যরকম একটি অনুভূতি। এ বইটিতে রয়েছে কিছুটা জ্ঞান কিছুটা অ্যাডভেঞ্চার কিছুটা রহস্য মিলিয়ে অন্য রকম এক ভালোলাগা।বইটির অন্যতম চরিত্র সম্তু ক্লাস নাইন থেকে এবার টেনে উঠবে ৷ শেষ পরীক্ষার দিনই কাকাবাবু জিজ্ঞেস করেছিলেন,সন্তু,এখন তো তোমার ছুটি থাকবে,আমর সঙ্গে বেড়াতে যাবে এক জায়গায় ?এ বইটির মাধ্যমে তাদের যাত্রা আন্দামানের একটা ছোট দ্বীপ পোর্ট ব্লেয়ার ৷ এবার রহস্য হলো প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গা থেকে কিছু বৈজ্ঞানিক এই দ্বীপে এসে নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে ৷ পঞ্চাশ বছর দরে বৈজ্ঞানিক রা কেন এই দ্বীপে আসছে এবং কেনই বা উধাও হয়ে যাচ্ছে। বৈজ্ঞানিকরা এতটাই বোকা না যে শুধু শুধু এই দ্বীপে আসবে।এসব কিছুর রহস্য উদঘাটন কারাই উদ্দেশ্য। যে বয়সীদের জন্যই লেখা হোক না কেন বইটি সবার ভালো লাগবে। আন্দামান নিয়ে আগে তেমন জানতাম না। এই বইয়ে আন্দামানের বিষয়বস্তু চমৎকারভাবে উঠে এসেছে। সুতরাং যদি ভূগোল সম্পর্কে আরো একটু জ্ঞান বৃদ্ধি করতে চান তাহলে বইটা পড়া যেতেই পারে।খুব ভালো একটি বই।
Read More
Was this review helpful to you?
By Golam Murtoza Ali,
30 Oct 2019
Verified Purchase
, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের অন্যতম সৃষ্টি হলো “কাকাবাবু।” বাংলা ভাষায় লেখা রহস্য উপন্যাসগুলোর মধ্যে কাকাবাবু চরিত্র বেশ মননশীল, আকর্ষণীয়। কাকাবাবু সমগ্রের বাকিগুলো মতো এই বইয়ের প্রতিটি অধ্যায়ে রয়েছে একটি আলাদা উত্তেজনা, রোমাঞ্চিত অনুভূতি। সব যেন একদম হাতের নাগালে এসেও ‘ফুঁসস’ করে বেরিয়ে কানের পাশ দিয়ে। বেশ কিছু স্থানে এমন রহস্যমতায় মাঝে মাঝ শির শির দিয়ে উঠেছে শরীর, যেন সত্যি ই এবার এটা হতে চললো! আর, এর মাঝে চরিত্রগুলো যেন কোথায় বা নিরুদ্দেশ যেতে লাগলো এক এক করে। তবে কি ওরা মানুষখোকে..... সাহিত্যের স্বাদে যারা রহস্যপ্রেমী, তাদের সবাইকে এই অনবদ্য বইটি পড়ার সাদর আমন্ত্রণ জানাচ্ছি.....
Read More
Was this review helpful to you?
By Rejoy,
22 Jan 2022
Verified Purchase
কাকাবাবু সিরিজের সেই বিখ্যাত গল্প "সবুজ দ্বীপের রাজা"। এই গল্পটি উদাহরণ হিসেবে কাকাবাবুর অন্যান্য গল্পেও দেখা যায়। সত্যি কাকাবাবুর গল্প মানেই আমার কাছে অন্যরকম অনূভুতি। কাকাবাবু আমায় যেন আন্দামান ঘুরিয়ে আনলো এ গল্পটায়। চোখের সামনে আন্দামান দ্বীপটা আর সব দৃশ্য যেন স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলাম। সবুজ দ্বীপের রাজা গল্পের রিভিউ দিতে গেলে এক কথায় বলবো "অসাধারণ"👌। শেষটা যদিও কষ্টের😥
Read More
Was this review helpful to you?
By Sabrina Akter Nowrin,
19 Oct 2019
Verified Purchase
I get kakababu shomogro 1 and 2 in a prize giving ceremony. In kakababu shomogro 1 I have read this book.I like all of his books.There is a perfect combination of knowledge and mysterious journey. I love to read his book.Book of best combination of everything I have ever read.All must read at least one of his books.
Read More
Was this review helpful to you?
By মোহাম্মদ শাকিল ভূইয়া,
09 Jul 2020
Verified Purchase
সবুজ দ্বীপের রাজা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বইটা সত্যি অসাধারণ। একদিকে রোমাঞ্চকর অনুভূতি অন্যদিকে কাকাবাবুর সাহস,ধৈর্য। তারসাথে রয়েছে কাকাবাবুর প্রতি সন্তুর ভালোবাসা, দ্বায়িতবোধ। বইটি সত্যি অসাধারণ। বইটি পড়ার সময় ঘটনাগুলো সব চোখের সামনে ফুটে ওঠেছে।
Read More
Was this review helpful to you?
By Dhiman Das Dweep,
01 May 2021
Verified Purchase
আমার জীবনের পড়া এখন পর্যন্ত শ্রেষ্ঠ এডভেঞ্চার উপন্যাস।