'বাংলাদেশের উপকূলঃ পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য' বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ সৃষ্টির শুরু থেকে পরিবেশ বদলাচ্ছে। মানুষ ও প্রকৃতির কারণে এই পরিবর্তন। সভ্যতার বিকাশের প্রয়োজনে কখনও পরিবেশ হয়েছে ভারসাম্যহীন। উন্নয়ন ও বিবর্তনে প্রথিবীর অস্তিত্ব আজ ভয়ংকরভাবে বিপন্ন। আমাদের প্রতিবেশ ব্যবস্থায় রয়েছে চারপাশের প্রবহমান নির্ভরশীলতা। এদেশের প্রেক্ষিতে স্পর্শকাতর উপকূলীয় অঞ্চলে প্রতিবেশ ব্যবস্থায় জীববৈচিত্র্য, জলবায়ুর পরিবর্তনে সমুদ্র স্তরের উচ্চতা বেড়ে যাওয়, পরিবর্তিত অবস্থায় মানুষের জীবনযাত্রায় অভিযোজন বিভিন্ন ক্ষেত্রে-কৃষি, মঙস্য, বনায়নে। বিশেষত উপকূলে রয়েছে প্রথিবীর ঐতিহ্য একক বৃহত্তম প্রাকৃতিক বন-সুন্দরবন। এ কারণে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্ব ও সতর্কতা। জীবনের অস্তিত্বের জন্যে দীর্ঘকালীন অথবা আকস্মিক পরিবেশ বিপর্যয় প্রতিকারে উপকূলীয় প্রতিবেশ ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণে সচেতনতা অনিবার্য-ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র, আন্তঃরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে।
সূচিপত্র * প্রথম অধ্যায়ঃ পরিবেশের সামগ্রিক ধারণা (উপকূলীয় পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ধারণা) * পরিবেশের সংঙ্গা * পরিবেশের উপাদান * পরিবেশের প্রকারভেদ * প্রাকৃতিক পরিবেশ * মানুষসৃষ্ট পরিবেশ * বাংলাদেশের পরিবেশ ও প্রতিবেশ * উপকূলীয় পরিবেশ * জীববৈচিত্র্য * উপকূলীয় জীববৈচিত্র্য * পরিবেশবিদ্যা * বাস্তুসংস্থান * প্রতিবেশ বা বাস্তুতন্ত্র * পরিবেশবিদ্যা বা বা বাস্তুবিদ্যার প্রয়োজনীয়তা
দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল ও জীবনযাত্রা * উপকূলীয় অঞ্চল * উপকূলীয় দ্বীপ * উপকূলীয় অঞ্চলে ভাঙন * উপকূলীয় মানুষের জীবন ও জীবিকা * উপকূলীয় অহ্চলে জীন-জীবিকায় অভিযোজন ও উদ্যোগ
তৃতীয় অধ্যায়ঃ উপকূলীয় পরিবেশের বাস্তুসংস্থান * বাস্তুসংস্থান * বাস্তুতন্ত্রের উপাদান * বাস্ততান্ত্রিক বৈচিত্র্য ধ্বংসের উপাদান সমূহ * উপকূলীয় পরিবেশ বাস্তুসংস্থান * বাস্তুসংস্থান বিজ্ঞান * বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য ধ্বংসের কারণ * বাস্তুতন্ত্র ব্যবস্থাপনা
চতুর্থ অধ্যায়ঃ উপকূলীয় পরিবেশে জীববৈচিত্র্য * জীববৈচিত্র্যের ধারণা * জীববৈচিত্র্যের গুরুত্ব * অর্থনৈতিক গুরুত্ব * পরিবেশতান্ত্রিক গুরুত্ব * জীববৈচিত্র্যের অন্যান্য গুরুত্ব * বাংলাদেশর জীববৈচিত্রের বর্তমান অবস্থা * উপকূলীয় জীববৈচিত্র্য * সুন্দরবন ও সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য * চকরিয়া প্যারাবন বা সুন্দরবন ও জীববৈচিত্র্য * সোনাদিয়া দ্বীপের জীববৈচিত্র্য * সেন্টমার্টিন দ্বীপের দ্বীপের জীববৈচিত্র্য * নিঝুম দ্বীপের জীববৈচিত্র্য * কক্সবাজার টেকনাফ উপকূলীয় অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য * উপকূলীয় অহ্চলের পরিবেশগত সংকট * উপকূলীয় পরিবেশের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব * উপকূলীয় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা ও যৌক্তিকতা
পঞ্চম অধ্যায়ঃ উপকূলীয় পরিবেশে কৃষি * উপকূলীয় একালায় ভূমি ব্যবহার * উপকূলীয় অঞ্চলে ভূমি ব্যবহারের সমস্যা * সমস্যা ও মোকাবেলা এবং উত্তরণের উপায় * কৃষি ও পরিবেশ * কৃষিজমিতে জৈব পদার্থের মাত্রা * জৈব পদার্থ হ্রাসের কারণ * মাটির অভ্যন্তরীণ ভারসাম্য রক্ষায় জৈব পদার্থ * উপকূলীয় এলাকায় আধুনিক কৃষি উপকরণ ব্যবহার * পরির্তিত জলবায়ুতে বাংলাদেরশর কৃষি * উপকূলীয় অঞ্চলে কৃষিঃ সমস্যা ও সম্ভাবনা
ষষ্ঠ অধ্যায়ঃ উপকূলীয় পরিবেশে মৎস্য * সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ * উপকূলীয় অঞ্চলে চিংড়ি চাষের এলাকা * চিংড়ি চাষের এলাকা * চিংড়ি চাষ ও পরিবেশ
মার্জিয়া লিপির জন্ম ১৯৭৩ সালের ১৫ অক্টোবরে কিশােরগঞ্জ জেলায়। মা : ফিরােজা আক্তার বাবা : মাে: মােয়াজ্জেম হােসেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভুগােল ও পরিবেশে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৯৩ সালের দৈনিক ইত্তেফাক’ এ পরিবেশ বিষয়ক তার প্রথম লেখা প্রকাশিত হয়। পরিবেশবিদ মার্জিয়া লিপি বাংলাদেশ বনবিভাগ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বেপজায় ছিলেন; বর্তমানে ইউএসএইড-এর প্রকল্পে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা পরামর্শক পদে কর্মরত। লেখকের উপকূলে বিশেষত পৃথিবীর সর্ববৃহত্তম একক ম্যানগ্রোভ বন-সুন্দরবনে কাজ করার অভিজ্ঞতায় লেখা-প্রকাশনা- বাংলাদেশের উপকূল : পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। প্রকাশিত গ্রন্থ : আমার মেয়ে : আত্মজার সাথে। কথােপকথন, জীবনীগ্রন্থ সরদার ফজলুল করিম।। সম্পাদিত প্রকাশনা- সরদার ফজলুল করিম : দিনলিপি, মা-দুই বাংলার সাহিত্য সংকলন। শিশু-কিশাের সংকলন- চিরদিন তােমার আকাশ, চাঁদ উঠেছে ফুল ফুটেছে, আমরা সবাই রাজা, পাখি সব করে রব।