মানুষের জীবনে ভালােবাসা বলেকয়ে আসে না। কে। কখন, কোথায় কাকে ভালােবাসবে এটা কেউ আগেভাগে। বলতে পারে না। ভালােবাসা শব্দটি মাত্র চারটি অক্ষর দিয়ে তৈরি হলেও-এর অর্থ অনেক ব্যাপক। ভালােবাসাকে সব ক্ষেত্রে সংজ্ঞা দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না। ভালােবাসার নির্দিষ্ট কোনাে সীমা-পরিসীমা নেই। খালি চোখে। ভালােবাসার দূরত্ব নির্ণয় করা শুধু কঠিনই নয়, অসম্ভবও বটে। ভালােবাসা সবসময় শুধু আলাে ছড়ায় না; মাঝে মাঝে ভালােবাসায় লােডশেডিংয়েরও আবির্ভাব হয়। আকাশ থেকে সবসময় ভালােবাসার ওপর আশীর্বাদই। বর্ষিত হয় না, মাঝে মাঝে ভালােবাসায় বজ্রপাতও পড়ে। ঠিক তেমনি ভালােবাসায় নিম্নচাপও দেখা দেয়। আমরা জানি সমুদ্রে নিম্নচাপের সৃষ্টি হলে সমুদ্র উত্তাল হয়ে যায় । নিম্নচাপের ফলে সমুদ্র তার না পাওয়ার বেদনা প্রকাশ করে অঝাের ধারায় বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ার মাধ্যমে। সমুদ্রের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে আকাশ তার মুখ কালাে চাদরে ঢেকে রাখে বেশ কয়েক দিনের জন্য। সমুদ্রের মতাে মানুষের জীবনেও নিম্নচাপের আবির্ভাব হয়। তখন মানুষের জীবনের চারপাশও অন্ধকার হয়ে যায় । তখন মানুষের মনের আকাশও কালাে বর্ণ ধারণ করে। মানুষের দুই চোখ দিয়ে তখন অঝাের ধারায় ঝরে পড়ে তার ভালােবাসার মানুষকে হারানাের অশ্রু। যেমন অশ্রু ঝরছে উপন্যাসের মূল চরিত্র জহিরের দু'চোখ বেয়ে...। জহিরের জীবনের পাওয়া-না-পাওয়া নিয়েই ভালােবাসায়। নিম্নচাপ’ উপন্যাসটি আবর্তিত হয়েছে। ফুটে উঠেছে। জহিরের ভালােবাসা কে না পাওয়ার বেদনা ।