আচ্ছা ভালােবাসার গল্পটা শুরু হয় কোথা থেকে বা কীভাবে? এর উত্তর কি কারাে জানা আছে? কেউ কেউ নাকি মনের অজান্তেই কাউকে ভালােবেসে ফেলে! কাউকে ভালােবাসলাম অথচ নিজের মন তা টের পেল না, ব্যাপারটা কেমন ঠেকে না! আচ্ছা সব ভালােবাসায় কি মিলন হয়? আমি তাে দেখেছি শতকরা ৯৫ ভাগ ভালােবাসায় মিলন হয় না। আর। হলেও একটু ঝাঁকাঝাঁকি করতে হয়। আবার এমনও কেউ আছে যাদের ভালােবাসা নীরবে-নিভৃতে কাঁদে! মনে মনে অন্যকে ভালােবেসে ভালােবাসা নামের বিশাল সমুদ্রে গলা পর্যন্ত নেমে যাওয়ার পরে ভালােবাসার কথা তার প্রিয় মানুষটিকে বলতেই পারেনি। আর যখন বলার জন্য মনে সাহস আর শক্তি সঞ্চয় করে তার প্রিয় মানুষটির দ্বারস্থ হয়, তখন অনেক দেরি হয়ে যায়! ততক্ষণে তার মনের মানুষ অন্য কারাে জীবনের সাথে জড়িয়ে পড়ে! তখন তার মনে যে আঘাত দেয়া হয় বা তার মনের উপর যে লােডশেডিং পড়ে মনটা অন্ধকারে নিপতিত হয়, তা কি আর কখনাে আলাের মুখ দেখতে পারবে? কারাে উপর যখন বজ্রপাত পড়ে তখন নাকি সেই মানুষটির দেহের ভিতর দিয়ে ৩০০০০০ ভােল্টের বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়। ফলস্বরূপ সেখানেই ঘটে জীবনের ইতি। আচ্ছা, একটি ছেলে বা একটি মেয়ের মনের উপর যখন বজ্রপাত পড়ে তখন তার মনের ভেতর যে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় তার ভােল্টের পরিমাণ কি কোনাে বিজ্ঞানী বলতে পারবেন? এর উত্তর বােধহয় না। এখানে বিজ্ঞানীও অসহায় বােধ করবেন বলে ধারণা। অন্যদিকে ভালােবাসা নামের বায়বীয় আর আবেগনির্ভর অনুভব কারাে জীবনে মহা আনন্দের বার্তা নিয়ে এলেও বেশিরভাগের ক্ষেত্রে বয়ে আনে চরম ভােগান্তি আর হতাশা। এমনই এক পাওয়া-না-পাওয়ার গল্প নিয়ে হুমায়ুন কবীর হিমু লিখেছেন ‘ভালােবাসায় বজ্রপাত’ উপন্যাসটি। ‘ভালােবাসায় বজ্রপাত' উপন্যাস একটি মেয়ের প্রকাশ না-করতে পারা প্রেমের গল্প।