রক্তের বন্ধন না থাকলেও মানুষ কখনো হয়ে ওঠে সবচেয়ে আপন। সবচেয়ে নির্ভরতার। তাই বিশ্বাস ও নির্ভরতার জন্য নামের আদ্য, মধ্য, প্রান্তে শুধুমাত্র ‘জাহাঙ্গীর’দের মধ্যে আত্মিক সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যেই সম্প্রীতির অনন্য নিদর্শন হিসেবে ‘জাহাঙ্গীর সার্কেল’ গঠিত হয়েছে। ‘দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ’ প্রবাদটি কাজে লাগাতে পারি ‘জাহাঙ্গীর সার্কেল’-এর কর্মকান্ডে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দূর করতে পারা যাবে আমাদের সব প্রতিবন্ধকতা। যাক পরবর্তীতে সার্চ দিয়ে দেখা যায় শুধুমাত্র ব্যক্তি নামের বিশ্বে কোনো সংগঠন নেই। তাই আজ পর্যন্ত ‘জাহাঙ্গীর সার্কেল’ বিশ্বে প্রথম ও একমাত্র নামের সংগঠন। সেক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক কর্মকান্ডে সবার আন্তরিকতা, সহযোগিতা ও অংশগ্রহণে নিজেদের নামের সংগঠন গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ডে স্থান পেতে পারে নিঃসন্দেহে। এবার সদস্য সংগ্রহের জন্য ওয়েবসাইট (www.jahangircircle.org) তৈরি করা হয়। বর্তমানে তাতে সদস্য সংখ্যা প্রায় সাড়ে চারশ। সদস্যদের মাঝে অনেক লেখক জাহাঙ্গীর পেয়ে যাই। আবার নতুন চিন্তা। তাই করোনার লকডাউনের অলস সময়ে ফোন/মোবাইল/ইন্টারনেটে ছবি, জীবনী, বইয়ের নাম ও প্রকাশনার নাম সংগ্রহ শুরু করি। সদস্যসহ ১০০ জন লেখক জাহাঙ্গীরকে আবিষ্কার করি। যার ফলশ্রুতিতে আজকের ‘লেখক জাহাঙ্গীর পরিচিতি’ বইটি প্রকাশিত হলো। বয়সে বড় বা ছোট লেখক জাহাঙ্গীরদের আন্তরিক সহযোগিতার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ‘বড় কিছু ভাবতে হবে’ সেøাগানে জাহাঙ্গীরদের মাঝে গড়ে উঠুক নিঃস্বার্থ ও নির্মল সম্প্রীতি। তাই আসুন ‘জাহাঙ্গীর সার্কেল’-এর মাধ্যমে ভালো কিছু করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করি। আর একটি বিষয় আমরা ১০০ জন লেখক জাহাঙ্গীর যখন একত্রিত হয়েছি তখন নিজেদের লেখা বই ‘জাহাঙ্গীর সার্কেল পাবলিকেশন’ থেকে প্রকাশ করে সমন্বিত উদ্যোগে অংশ নিতে পারি। এর প্রেক্ষিতে ‘লেখক জাহাঙ্গীর পরিচিতি’ গ্রন্থটি দিয়ে আমাদের প্রকাশনাটির যাত্রা শুরু। আর প্রকাশনাটিকে সহযোগিতা/পরিবেশকের দায়িত্ব পালন করবে ‘জাহাঙ্গীর’ নামের মালিকানাধীন প্রকাশনাগুলো। ‘লেখক জাহাঙ্গীর পরিচিতি’ বইটি ক্ষুদ্র কিন্তু পথপ্রদর্শক হিসেবে জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে আশা করি।