‘শূন্য থেকে পাইথন মেশিন লার্নিং’ বইটির ফ্লাপে লেখা কথা ‘শূন্য থেকে পাইথন মেশিন লার্নিং’ বইটি যেকোনাে পেশার মানুষের জন্য লেখা। কম ‘কোড, তবে কনসেপ্ট পরিষ্কার করে এগিয়েছে এ বইটি । আপনার সমস্যার দর্শন না বুঝলে সমস্যার ভেতরে যাওয়া দুষ্কর। কোড করা সমস্যা নয়, সমস্যা হচ্ছে ‘সমস্যা’ ঠিকমতাে বােঝার।। আর সেই ধারণা থেকে হাতেকলমের কনসেপ্টে মেশিন লার্নিং নিয়ে বইগুলাে লিখছেন আমাদের লেখক। শূন্য থেকে পাইথন মেশিন লার্নিং’ পাইথন সিরিজের প্রথম বই। ‘টেনসর ফ্লো’ ও ‘ডিপ লার্নিং’ নিয়ে পরের বইটি বুঝতে সাহায্য করবে এই বই। মূল বইটি (গিটবুক থেকে যার শুরু, https://raqueeb.gitbook.io/scikit-learn/) থেকে প্রিন্ট এডিশনে ২৫ শতাংশের মতাে কনটেন্ট এডিট বা যােগ হয়েছে বলে ধারণা করা যায়। লেখকের কনসেপ্ট রিড ফার্স্ট, বাই লেটার’-এর ফলে আপনি অনলাইনে বই পড়ে কেনার আইডিয়া করতে পারেন শুরুতেই।। ধারণা করছি একদম ‘জিরাে’, মানে শূন্য অভিজ্ঞতা থেকে ডেটা সায়েন্সের পাইথন ও মেশিন লার্নিংয়ের শুরুটা শেখা যাবে এই বই থেকে। মেশিন লার্নিং ব্যাপারটা অনেক বিশাল হওয়ায় ‘ওভার হাইপড’ এই রাস্তায় আমরা যাতে পথ না হারাই সে কারণে এই বই। রাস্তা চিনে গেলে পেছনে ফিরে তাকানাের দরকার হবে না এ বিষয়ে। আর সেই রাস্তা চেনানাের দায়িত্ব ছেড়ে দিতে পারেন এই বইয়ের ওপর। একদম হাতেকলমে। হাতেকলমে সিরিজের আগের বই ‘হাতেকলমে মেশিন লার্নিং বেসিক কনসেপ্ট তৈরিতে চমৎকারভাবে সাহায্য করলেও এই বইয়ের জন্য সেটা বাধ্যতামূলক নয়। যারা ডিপ লার্নিং শিখতে চান, তবে মেশিন লার্নিংয়ের ধারণা কম, তাদের জন্য সামনের ‘টেনসর ফ্লো দিয়ে পাইথন ডিপ লার্নিং বইয়ের জন্য এ বইটি একটা ভালাে গেটওয়ে হতে পারে। হ্যাপি পাইথন মেশিন লার্নিং! “হাতেকলমে ‘বাংলা’ ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং” বইটির সম্পর্কে কিছু কথাঃ আমি একজন অলস মানুষ। সেটার সার্টিফিকেট পাবেন স্বাতীর কাছ থেকে। দিনের বড় একটা সময় নষ্ট করি, কীভাবে পৃথিবীর অন্য মানুষদেরও অলস বানানাে যায়। সত্যি বলছি! যেমন, (উদাহরণ হিসেবে বলছি) আমাদের কেন একটা কাজে এই অফিস ওই অফিস ছােটাছুটি করতে হবে? কেন বাসায় বসে সরকারি/বেসরকারি সার্ভিস পেতে পারি না? বাসায় বসে অ্যাপে জিনিসপত্র অর্ডার, টাকা | পাঠানাে, স্কুলের বেতন দেওয়া যায়, তাহলে অন্য কাজগুলাে হচ্ছে। কেন? আমার ধারণা, মানুষের কাজ আরও অনেক বড়। কোথায় আমরা ছুটব গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে, সাগর থেকে সাগরের অতলান্তে, প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে, বিশেষ করে, নিজেদের খুঁজতে সেখানে আমরা এখনাে পড়ে আছি সেই একঘেয়ে একই কাজ করতে প্রতিদিন। আমাকে এমন একটা রিপিটেটিভ' কাজের নাম বলুন, যেটাকে পাঠানাে যায়। সেই সম্পর্কেই বিস্তারিত বলা হয়েছে বইতে। আশা করি বইটি পাঠকের নির্ধারিত জ্ঞান আহরণে সহায়ক হবে। হাতেকলমে মেশিন লার্নিং এর ফ্লাপ : ডেটা, ডেটা এবং ডেটা। ডেটা নির্ভর প্রথিবীতে বাঁচতে হলে জানতে হবে এর ভেতরের কারুকাজ। আপনার অজান্তে শুধুমাত্র হাতের ফোনটাই তৈরি করছে হাজারো ডাটা, প্রতিদিন। প্রচুর ডাটা আর অসম্ভব কম্পিউটেশনাল ক্ষমতা আমাদেরকে দেখাচ্ছে ডেটা নির্ভর ভবিষ্যৎ দেখার নতুন পেশা। আর ডেটাকে নিয়ে যারা ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার গড়তে চান তাদেরকে লক্ষ্য লেখা হয়েছে বইটি। কম্পিউটারের ফিল্ড নয়, বরং সব পেশাজীবীদের জন্য একটু আলাদা ধারণা দিয়ে লেখা হয়েছে। সে কারণে এটি কোনো স্পেসিফিক ‘ল্যাঙ্গুয়েজ’ নির্ভর নয়। বরং, কনসেপ্টের পেছনে জোর দেয়া হয়েছে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। যার শুরুটা শিখতে লাগে দুই দিন এমন একটা প্ল্যাটফর্ম নিয়ে আলাপ হয়েছে যাতে শুরুতেই বুঝতে পারে সাবাই। একদম ভেতর থেকে ডেটাকে চিনতে পরের বইগুলোতে আস্তে আস্তে আপনাকে নিয়ে যাওয়া যাবে প্রযুক্তির ভেতরে। ডাটা পেশাজীবীর হাত ধরে। বোঝার সুবিধার্থে বইয়ের ‘আর প্রোগ্রামিং এনভায়রনামেন্ট দিয়ে শুরু হলেও পাশাপাশি সব এক্সারসাইজ করে দেয়া আছে পাইথনে। আপনি যে পেশারই হোন না কেন, ডেটা থেকে সঠিক সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে দরকার এই বই। সবার জন্য লেখা এই বইটা পড়লে চিন্তা-ধারণাই পাল্টে যাবে আপনার । “হাতেকলমে পাইথন ডিপ লার্নিং” বইটি সম্পর্কে কিছু কথাঃ গত ২০০ বছরের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে যন্ত্রের ওপর মানুষের নির্ভরতা বেড়েছে অনেক, তবে মানুষের আকুলতা পড়ে আছে অন্য জায়গায়। মানুষ ‘ইন্টেলিজেন্ট’ মেশিন চায় তার পাশে- সহকর্মী হিসেবে। সমাজের অসংগতি কমাতে। এটা অবশ্যই একটা ফ্যান্টাসি, আর তাই এই ‘চিন্তা করতে পারা’ যন্ত্র এবং রোবট নিয়ে লেখা হয়েছে হাজারো গল্প এবং মুভি। বাস্তবে সেটা ঘটুক আর নাইবা ঘটুক, তবে লেখক মনে করেন এই পুরো জিনিসটাই একটা ‘পাওয়ারফুল’ আইডিয়া। গত পাঁচ দশকে ইন্টেলিজেন্ট সিস্টেমের ‘হাইপ’ আর তার 'অ্যাডভান্সমেন্ট'-এর ফারাক থাকাতে দুটো ‘এআই’ উইন্টার দমাতে পারেনি মানুষকে। তবে এবারের ঘটনা অন্য। “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় মানবিক রাষ্ট্র” বইটি সম্পর্কে কিছু কথাঃ প্রতিটি মানুষের কিছু স্বপ্ন থাকে। জীবনের শুরুতে, মাঝখানে এবং শেষে সেই স্বপ্নগুলোর মধ্যে ধারণাগত কিছু পার্থক্য থাকলেও সেগুলোকে বাস্তবায়ন করতে বেশ সময় লেগে যায়। স্বপ্ন পূরণে মানুষকে সহযোগিতা করতে পারে রাষ্ট্র। রাষ্ট্রের সহায়ক কাঠামোগুলো কিছুটা বুদ্ধিমান হলেই প্রতিটি মানুষের চাহিদা আলাদা করে মেটানো সম্ভব। কেউ যদি শেষ জীবনে একটা ক্যান্সার হাসপাতাল তৈরির স্বপ্ন দেখেন, তার জন্য বিভিন্ন ছাড়পত্র, জমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে সব ধরনের সুবিধা দিতে পারে রাষ্ট্র। সেই রাষ্ট্রযন্ত্রের দক্ষতা বাড়াতে মানুষের পাশাপাশি হাত লাগাতে হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার। তবে শুরুতে লাগবে ডেটার ব্যবহার। একটা মানুষের প্রায় প্রতিটি তথ্য রাষ্ট্রের কাছে থাকলে জনগণের মুখ ফুটে চাওয়ার আগে যেকোনো নাগরিক সুবিধা দিতে তৈরি হতে পারে ডেটা নির্ভর আগাম ধারণার প্রশাসন। মানুষের জন্মের পরে তাদের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রতিটি নাগরিকের জন্য সর্বজনীন ন্যূনতম ভাতা, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর ব্যবস্থাপনা, সবার জন্য আলাদা করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা (প্রতিটি মানুষ আলাদা বলে তাদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ব্যবসার পারমিট ইত্যাদির জন্য চাহিদা ভিন্ন হবে) ইত্যাদি সরকারি সেবা সহজীকরণের কিছু ব্লু প্রিন্ট এসেছে এই বইটিতে। “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় শিক্ষাব্যবস্থা” বইটি সম্পর্কে কিছু কথাঃ মানুষ যদি বিমান বানিয়ে পাখির মতো উড়তে পারে তাহলে মানুষের বুদ্ধির এক্সটেনশন হিসেবে ‘সুপার ইন্টেলিজেন্স’ ব্যবহার করে কেন মানুষ উৎকর্ষের শেখরে পৌঁছতে পারবে না? মানুষ না হয় সুপার ইন্টেলিজেন্স তৈরি করল, কিন্তু সেই মানুষের শিক্ষার কী হবে? আমরা কি বোকা থেকে বোকাতর হতে থাকব? উপায় কী?
ইনফরমেশন এবং কমিউনিকেশন টেকনোলজি ও কম্পিউটারের এর নানা বিষয় নিয়ে বিশেষ জ্ঞানসম্পন্ন একজন লেখক হলেন রকিবুল হাসান। বর্তমান যুগ হলো যোগাযোগ বিজ্ঞানের স্বর্ণযুগ। পুরো বিশ্ব চলছে বিভিন্ন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উপর ভর করে এবং কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করছে বিশ্বের প্রায় সবকিছু। পৃথিবীর যেকোনো স্থানের যেকোনো মানুষের জীবনে কম্পিউটার ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। আর তাই এখন সকল শিক্ষিত মানুষেরই কম্পিউটার এবং অন্যান্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে থাকা প্রয়োজন বিশদ জ্ঞান। আর এসকল জ্ঞান সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতেই রচিত হয়েছে রকিবুল হাসান এর বই সমূহ। ১৯৭০ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করা এই লেখক শিক্ষাজীবন পার করেছেন ক্যাডেট কলেজে৷ ছোটবেলা থেকেই রেডিও কমিউনিকেশন নিয়ে অগাধ ভালোবাসা তাঁর। আর এরই সূত্রে ছুটিতে এলে বাসায় নিয়মিত তৈরি করতেন আরঅ্যান্ডডি ল্যাব, চাকরিজীবী বাবা-মায়ের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে। ফিউজ উড়ানো ও বাসায় আগুন লাগিয়ে দেয়া ছিল তাঁর নিয়মিত কাজ। তবে ইলেকট্রনিক কমিনিউকেশনের প্রতি ভালোবাসাই একসময় তাঁকে সাহায্য করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এর সিগন্যাল কোরে যোগ দিতে। তিনি সবসময় নতুন নতুন বিষয় শিখতে চান এবং এরই ধারাবাহিকতায় তিনি ব্যক্তিগত অথবা সরকারিভাবে অংশ নিয়েছেন সত্তরটিরও অধিক ট্রেনিংয়ে, যার মধ্যে রয়েছে আমেরিকান সেনাবাহিনীর সিগন্যাল স্কুলের কোর্স এবং ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটির 'লার্নিং হাউ টু লার্ন' কোর্স। ডেটা বিষয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা অনেক, যা তাঁকে সাহায্য করেছে জাতীয় স্কেলে এদেশের টেলিকম অপারেটরগুলোর 'ইন্টারকানেকশন ভয়েস কল কস্ট মডেলিং' তৈরিতে সহযোগিতা করতে৷ তাঁর রয়েছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনে কাজ করার অভিজ্ঞতা। আর এসকল জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ছড়িয়ে দিতেই তিনি লিখেছেন বই। রকিবুল হাসান এর বই সমগ্রতে আছে 'হাতেকলমে মেশিন লার্নিং' ও 'শূন্য থেকে পাইথন মেশিন লার্নিং: হাতেকলমে সাইকিট-লার্ন'। তাঁর রচিত এসকল বই সকলকে সাহায্য করবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পর্কিত নানা বিষয় সম্পর্কে সহজে জানতে ও এগুলো নিয়ে সহজে কাজ করতে।