আসহাবে কাহাফের তিন যুবক কি এমন কাজ করেছিল যা মহান রাব্বুল আলামীন আল্লাহর কাছে এতই পছন্দনীয় ছিল যে তাদের ঘটনা সর্বশ্রেষ্ঠ ঐশীগ্রন্থ কুরআনে স্থান দিয়েছেন? পৃথিবীতে কাহাফ সম্প্রদায়ের এই তিন যুবকের ছিল না রাজত্ব, ছিল না সম্পদ অথবা ছিল না যশ-খ্যাতি তবুও তারা কুরআনে বর্নিত ইতিহাসের অংশ হয়ে আছে।আমাদের মনে কখন কি কখনও আগ্রহ জন্মেছিল তিন যুবকের সেই গুণাবলীগুলো সম্পর্কে জানতে কিংবা সেগুলো অর্জনের চেষ্টা করতে? যদি উত্তর হ্যাঁ হয় তাহলে ড.খালিদ আবি শাদির লেখা 'সূরা কাহাফের আলোকে মুক্তির পথে ও পাথেয়'বই আমাদের জানার পথকে সহজ করবে। ঐতিহাসিক আসহাবে কাহাফের তিন যুবকের ঘটনার পাশাপাশি আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনা এবং এই কুরআনিক সূরার কতগুলো আমলের কথা লেখক তাঁর ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরেছেন যা দুনিয়া এবং আখেরাতের বিভিন্ন ফেতনা থেকে মুক্তি পেতে সহায়ক হবে। ঈমান বিধ্বংসী দাজ্জালের ফেতনা থেকে মুক্তি পেতে সহায়ক এই সূরা। দুনিয়া ও আখেরাতের বিভিন্ন ফেতনা থেকে মুক্তি পেতে এবং কুরআন থেকে আসহাব কাহাফের তিন যুবক বা খিজির (আ.)এর সাথে মুসা (আ.) এর সাক্ষাতের ঐতিহাসিক ঘটনা জানতে আজই বইটি সংগ্রহ করুন।
ড. খালিদ আবু শাদি খালিদ আবু শাদি মিসরের একজন প্রতিভাবান দায়ি ইলাল্লাহ। ১৯৭৩ সালের ১৮ মার্চ গারবিয়াহ প্রদেশের জিফতা নগরীতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনা করেন কুয়েতে। তারপর মিসরের কায়রো ইউনিভার্সিটিতে ফার্মেসি ফ্যাকাল্টি থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। শৈশব থেকেই তিনি প্রখর মেধা ও অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। কর্মজীবনের একটি বড় সময় তিনি দাওয়াহর কাজে ব্যয় করেন। লেখালেখিকেই তিনি দাওয়াহর মাধ্যম হিসেবে বেছে নেন। তাঁর স্বতন্ত্র রচনাশৈলী আর হৃদয়গ্রাহী উপস্থাপনা সহজেই পাঠকদের নজর কাড়ে। মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার অদ্ভুত এক শক্তি আছে তাঁর কলমে। দাওয়াহ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় একে একে তিনি উম্মাহকে উপহার দেন ১৪টিরও বেশি মূল্যবান গ্রন্থ। ‘ইয়ানাবিউর রাজা’, ‘মাআন নাসনাউল ফাজরাল কাদিম’, ‘সাফাকাতুন রাবিহা’, ‘লাইলি বাইনাল জান্নাতি ওয়ান নার’, ‘বি-আইয়ি কালবিন নালকাহ’ ইত্যাদি তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা। এ ছাড়াও বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে তাঁর অসংখ্য মূল্যবান প্রবন্ধ। কখনো বক্তৃতাকেও তিনি দাওয়াহর মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করেছেন। তাঁর হৃদয়-নিংড়ানো আহ্বান অসংখ্য পথহারা তরুণকে দ্বীনের পথে উঠে আসার প্রেরণা জুগিয়েছে। আমরা প্রতিভাবান এই দায়ি ইলাল্লাহর দীর্ঘ কর্মময় জীবন কামনা করি।