গ্রন্থ পরিচিতি পাকিস্তানের সবগুলো সামরিক সংস্থার সদস্য নিয়ে আইএসআই গঠিত। আইএসআই-এর ডিজি সরাসরি পাক প্রেসিডেন্টের কাছে তাঁর প্রতিবেদন, রিপোর্ট, সুপারিশমালা পেশ করেন। আইএসআই প্রকৃত ক্ষমতার অধিকারী। এতই ক্ষমতাধর যে, সংস্থাটিকে স্টেট উইদিন স্টেট বলা হয়ে থাকে। পাকিস্তানের প্রক্সিওয়্যার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের দায়িত্বও আইএসআই করে থাকে। কাশ্মীর থেকে আফগানিস্তান সর্বত্রই আইএসআই বিদ্যমান। আমাদের দেশের একটি শ্রেণী সব সময়ই আইএসআইকে দোষারোপ করে থাকে। অভিযোগ, তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নাক গলায়। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অন্য দেশের গোয়েন্দারা কী নাক গলায় না। কিন্তু তাদের বদনাম আনুপাতিকহারে কম। আইএসআই আন্তর্জাতিকভাবে একটি ভয়ংকর ও নিষ্ঠুর সংস্থা হিসেবে পরিচিত। কেন এই সংস্থাটি নিষ্ঠুরতার মাত্রা অতিক্রম করেছে, কীভাবে Ñ তা জানতে এই বই বিশেষ সহায়ক হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। কীভাবে দেশে-বিদেশে তারা সরকার গঠনে কাজ করে, কীভাবে কোন সরকারকে ফেলে দেয় তা অবশ্যই পাঠ্য হওয়া উচিত। বইয়ের সূচি দেখলেও এই বইয়ের বিশেষত্ব নিয়ে ধারণা পাওয়া যাবে। কায়কোবাদ মিলন (জন্ম : ১৯৫৫) বরিশাল শহরে জন্মগ্রহণকারী (জ. ১৯৫৫) কায়কোবাদ মিলনের স্থায়ী ঠিকানা ঝালকাঠীর কাঠালিয়া থানাধীন শৌলজালিয়ার ঐতিহ্যবাহী মিয়া বাড়ীতে। পেশাগত জীবনে অখণ্ড ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃত্বে ছিলেন এবং সাংবাদিক প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসাবে একাধিক দেশে সফর করেন। তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবের শিশু শিক্ষা কমিটিতে দুই মেয়াদে চার বছর আহ্বায়ক ছিলেন। ঢাকাস্থ বরিশাল বিভাগ সাংবাদিক সমিতি ও ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলের ভূতপূর্ব সভাপতি। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির তিনি এক যুগ ধরে চেয়ারম্যান। কায়কোবাদ মিলন প্রায় চার দশক দৈনিক ইত্তেফাকে কাজ করে অবশেষে বার্তা বিভাগের শিফট ইনচার্জ হন। পরবর্তীতে ইত্তেফাকের চাকুরী সে¦চ্ছায় ছেড়ে দিয়ে অন্য পত্রিকায় যোগ দেন। তিনি একজন কলামিষ্টও। হাত দিয়েছেন ইত্তেফাক জীবন নিয়ে বই লেখায়। কায়কোবাদ মিলন অনূদিত মোসাদ ১ ও মোসাদ ২ সম্ভবত গত পাঁচ বছর ধরে বেষ্ট সেলার। আশির দশকে প্রকাশিত জেমস নোভারের বই জলে যার প্রতিবিম্ব-এর তিনি অন্যতম অনুবাদক। তাঁর গ্রন্থতালিকা: ৭১-এ পরাশক্তির যুদ্ধ; ঢাকা কলিকাতার যত যুদ্ধ; তুমি শুধু তুমি ;মুজিবর সাহেব ও সূর্যসেন দেশ ভাগের কান্নার গল্প (অনুবাদ), মাউণ্টব্যাটেন, জ্বীন জাতির ইতিহাস, বিলিভ ইন গড, কবরের শাস্তি ও স্বস্তি, মীর জাফর থেকে মোস্তাক, মেনন বনাম মতিয়া, ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই।
কায়কোবাদ মিলন বাংলাদেশের একজন অন্যতম লেখক ও সাংবাদিক। তাঁর জন্ম বরিশাল শহরে। তবে তাঁর স্থায়ী ঠিকানা কাঁঠালিয়া থানার শৌলজিয়ার মিয়া বাড়িতে। পেশায় তিনি পুরোদস্তুর সাংবাদিক। সংবাদমাধ্যমে আছেন প্রায় পাঁচ দশক ধরে। এই সময়ের সিংহভাগই কাজ করেছেন দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায়, প্রায় চল্লিশ বছর। পেশাগত জীবনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন বিভিন্ন সংবাদ সংস্থায়। তিনি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন এর নেতৃত্বে ছিলেন বেশ কিছু সময়। জাতীয় প্রেস ক্লাবের শিশু শিক্ষা উপ-কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন পর পর দুই মেয়াদে। সাংবাদিক প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে ভারত ও নেপাল সফর করেছেন। এরই সাথে তিনি ঢাকা সাব-এডিটর্স কাউন্সিলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ঢাকায় অবস্থিত বরিশাল বিভাগ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্বরত ছিলেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি লেখালেখিও করেছেন তিনি। কায়কোবাদ মিলন এর বই সমগ্র আধুনিক পাঠকদের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। তাঁর লেখার ধরণ পাঠকদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। কায়কোবাদ মিলনের এর বই সমূহ হলো ‘মোসাদ (দুই খন্ড)’, ‘একাত্তরে পরাশক্তির যুদ্ধ’, ‘ঢাকা কলিকাতার যত যুদ্ধ’, ‘তুমি শুধু তুমি’ ইত্যাদি। তাঁর স্ত্রী দিলরুবা জলিল শাহিন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। কায়কোবাদ মিলন বাংলাদেশের সাংবাদিকতার অঙ্গনে এক অন্যতম উজ্জ্বল নাম। লেখক ও সাংবাদিক হিসেবে তিনি উপহার দিয়েছেন বেশ কিছু সাড়া জাগানো লেখা ও প্রবন্ধ। সংবাদ মাধ্যমগুলোয় একজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক হিসেবে তিনি সকলের শ্রদ্ধা ও সম্মানের পাত্র হিসেবে সমাদৃত হচ্ছেন।