ফ্ল্যাপে লিখা কথা শোভা ত্রিপুরার পেশা শিক্ষকতা। কিন্তু শৈশব-কৈশোর থেকেই তাঁর লেখালেখিতে বিশেষে আগ্রহ এবং কৈশোর জীবনেই তাঁর লেখায় হাতেখড়ি হয়। শোভা ত্রিপুরা ত্রিপুরীয় জনগোষ্ঠীর একজন আদিবাসী মহিলা। আদিবাসী জনজীবন ছাড়াও তিনি লিখেছেন ছোটগল্প, কবিতা, নাটক, প্রবন্ধ, ভ্রমণকাহিনী, গান , উপন্যাস ইত্যাদি। যা দেশে এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকীতে প্রকাশ পেয়ে আসছে। প্রকাশনাসমূহের মধ্যে রয়েছে ঝরাপাতা (কবিতা গ্রন্থ) , ত্রিপুরা জাতির ইতিকথা, ত্রিপুরা জাতির রূপকথা, জাতক( বুদ্ধ জাতক) ত্রিপুরা জাতি , ত্রিপুরা জাতির ইতিবৃত্ত ও আলোময়ীমা ত্রিপুরেশ্বরী। শোভা ত্রিপুরা ১৯৭৩ সালে ঢাকার বঙ্গভবনে কৃতি যুব সংবর্ধনায় অংশগ্রহন করেন।১৯৯৯ সালে নারী গ্রন্থ প্রবর্তনা আয়োজিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাংলাদেশের কক্সবাজার ও তিন পার্বত্যজেলার লেখিকা হিসেবে সংবর্ধিত হন। অত:পর মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ২০১২-এর ২৬ মার্চ খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার অর্ন্তগত মহালছড়ি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংসদ কর্তৃক সাহিত্য অবদানের জন্য সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। তিনি ১৯৮৫,১৯৮৬ এবং ২০০০ সালে মহালছড়ি উপজেলাসহ খাগড়াছড়ির পার্বত্য জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা নির্বাচিত হন। ১৯৮১ সালে তিনি রাঙ্গামাটি বনভূমি সাহিত্য পুরস্কার এবং ১৯৮৩ সালে রাঙ্গামাটি উপজাতীয় সাংস্কুতিক ইনস্টিটিউট হতে পুরস্কৃত হন। তাঁর রচনায় পাহাড়ী জনজীবনের কথা যেমন এসেছে তেমনি এসেছে সমতল জনজীবনেরও কথাও। তিনি ঢাকাস্থ বাংলাদেশ ফোকলুর (গ্রামীণ লোকসাহিত্য) সোসাইটিরও একজন সদস্য। বাংলাদেশ বেতার চট্রগ্রাম ও বাঙ্গামাটি কেন্দ্রে কথিকা, লেখক এবং পাঠক। শোভা ত্রিপুরা ১৯৫৯ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি রাঙ্গামাটি জেলায় জন্মগ্র্রহণ করেন। স্বামী মি. মংছেনচীং (মংছিন) পেশায় সাংবাদিক , প্রাবন্ধিক এবং গবেষক ( মি. মংছিন এর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা নয়টি) । তাঁদের দুই কণ্যা প্রিয়াংকা পুতুল ও তুলি পিয়া্ । তাঁদের অনেক পাণ্ডুলিপি এখনও অপ্রকাশিত অবস্থায় পড়ে আছে। এজন্য সাহিত্যর পৃষ্ঠপোষক এবং প্রকাশকদের সহযোগিতা আন্তরিকভাবে কামনা করছেন।
শােভা ত্রিপুরা পেশায় অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কবি, কথা সাহিত্যিক ও সমাজ সেবিকা শােভা ত্রিপুরা’র জন্ম ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায়। তার পিতা স্বর্গীয় মি. লবঙ্গ কুমার ত্রিপুরা এবং মাতা স্বর্গীয় মিসেস কনবালা ত্রিপুরা। তিনি এইচএসসি ও সি-ইনড ডিগ্রি লাভের পর শিক্ষকতায় আত্মনিয়োগ করেন। তিনি সাহিত্যিক, সাংবাদিক, গবেষক ও মানবাধিকার কর্মী ২০১৬ সালের ২১শে পদক প্রাপ্ত গবেষক মি. মংছেনচীং মংছিন-এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের বর্তমান নিবাস খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মহালছড়ি উপজেলার রাখীস্মৃতি পাড়ায়। ব্যক্তিজীবনে তিনি দুই কন্যা সন্তানের জননী। বড় কন্যা প্রিয়াংকা পুতুল, জাতীয় পুরস্কার (স্বর্ণপদক) প্রাপ্ত সহকারি শিক্ষিকা শুকরছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি সদর-এ কর্মরত। কনিষ্ঠ কন্যা চেনচেন ২০১১ সালের শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক সহ রৌপ্য পদক প্রাপ্ত এল এল বি অনার্স এল এল এম ।। কবি শােভা ত্রিপুরা সাহিত্য, সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও উপস্থাপনায় তাঁর স্বচ্ছন্দ বিচরণ রয়েছে। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা ১৫টির অধিক। তিনি জেলা ও উপজেলা শ্রেষ্ঠ শিক্ষক পুরস্কারসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক পুরস্কার ও পদকে ভূষিত হয়েছেন। সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নারী জাগরণ বেগম রােকেয়া পদক-২০১৭ খ্রিস্টাব্দ প্রাপ্ত। এছাড়াও বাংলাদেশ ফোকলাের (গ্রামীণ লােকসাহিত্য) সােসাইটি ও বিশ্ব বাংলা সাহিত্য পরিষদ সদস্য সহ অনেক সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত।