স্পাের্টস মেডিসিন এই কথাটা আজ অনেকেরই জানা। বিদেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে উন্নত দেশগুলিতে ক্রীড়াবিজ্ঞানের অন্যতম এই শ্রেষ্ঠ শাখাটি বিশেষভাবে প্রয়ােগ করা হচ্ছে যদিও আমাদের এই তৃতীয় বিশ্বের দেশে এখনও অতটা গ্রহণযােগ্য হয়নি। আসলে স্পাের্টস মেডিসিন হচ্ছে বিরাট একটা ডিসিপ্লিন যেটির বিজ্ঞানসম্মত প্রয়ােগ দরকার আর সেই প্রয়ােগের জন্য প্রয়ােজন ক্রীড়া চিকিৎসায় পারদর্শী ও আগ্রহী ব্যক্তিদের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির পূর্ণ সহযােগিতা। যত দিন যাচ্ছে খেলাধুলায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই (tough competition) হচ্ছে আর ততই অনুভূত হচ্ছে স্পাের্টস মেডিসিনের প্রভাব। আজকাল স্পাের্টস এবং গেমসে প্রচণ্ড দৈহিক সক্ষমতার দরকার হচ্ছে বিশেষ করে যেসব খেলায় দৈহিক সংঘর্ষের (body contact games) সম্ভাবনা আছে যেমন ফুটবল, কাবাডি, হকি, বক্সিং, হ্যান্ডবল ইত্যাদি। | প্রাগৈতিহাসিক অর্থাৎ আদিম সভ্যতার যুগে বন্য মানুষেরা শিকারের সাহায্যে এবং ফলমূল খেয়ে জীবনধারণ করত। শিক্ষার আলাে না পাওয়ার ফলে ওর সংহত ও শ্রেণীভুক্ত অর্থাৎ গােষ্ঠীগতভাবে বসবাস করার চিন্তাধারা বা মনভাব ছিল ফলে ছন্নছাড়া ভবঘুরের মতাে ছিল তাদের জীবনযাত্রা। বন্যপশুদের পিছনে ছুটে ওদের বধ করে মাংস খেয়ে খুন্নিবৃত্তি করত এবং নিজেদের মধ্যেও হানাহানি করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করত। এসবই ছিল ওদের কাছে খেলার মত। ধীরে ধীরে সভ্যতার আলাের স্পর্শে ঐসব আদিম স্বভাবের মানুষেরা ঘরবাড়ি বাঁধতে এবং চাষবাস করার দিকে আগ্রহী হতে শুরু করে।
স্পাের্টস কথাটা এসেছে disport থেকে যার অর্থ হচ্ছে আমােদ-প্রমােদের মাধ্যমে সময় কাটানাে। গ্রীসের সম্রাটরা পরাজিত শত্রুদের রথের পিছনে দড়ি দিয়ে বেঁধে ঘােড়া দিয়ে টেনে ক্ষতবিক্ষত করে দিত, এমনকী তারা মারাও যেত। স্পেনে ক্রীড়াঙ্গনে বাইসন ও ষাঁড়দের সামনে ক্রীতদাসদের ছেড়ে দিয়ে রাজারা মজা উপভােগ করত। এসবই একধরনের খেলা হিসাবেই তারা গ্রহণ করত। সভ্যতার সাথে সাথে খেলাধুলাকে সভ্য মানুষেরা দলগত ঐক্য ও মৈত্রী হিসাবে বিবেচনা করতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে খেলাধুলার মাধ্যমে একটা প্রতিযােগিতা ও রােজগারের রাস্তা তৈরি হতো।