প্রিয় গ্রাহক, রকমারি আপনার পছন্দের ক্যাটাগরির নতুন যে কোন পণ্য এবং এক্সক্লুসিভ সব অফার সম্পর্কে সবার আগে জানাতে চায়।
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন। মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
follower
আবু মোহাম্মদ মজহারুল ইসলাম
১৯৪৭-এ যখন ভারতীয় উপমহাদেশ বিভাজনের কবলে পড়ে, আবু মােহাম্মদ মজহারুল ইসলাম তখন আঠার বছরের টগবগে তরুণ। এই তরুণরাই সেদিন রুখে দাড়িয়েছিল সাম্প্রদায়িক ও নয়া-ঔপনিবেশিক রাষ্ট্র পাকিস্তানের শােষণের ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে। আবু ইসলাম ১৯৪৭-য়েই বগুড়া থেকে ঢাকা এসেছিলেন। গণতান্ত্রিক কর্মী সম্মেলনে যােগ দিতে; সদ্য ম্যাট্রিক পাস যুবক সক্রিয় হলেন বগুড়ার গণতান্ত্রিক যুবলীগের নেতৃত্বে। ১৯৪৮ থেকে সারা পূর্ব বাংলায় গড়ে উঠা ভাষা আন্দোলনের ঢেউ লেগেছিল বগুড়াতেও। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ তখন বগুড়ায় স্যার আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ । আবু ইসলাম বগুড়ায় ভাষাআন্দোলনের মিছিলে সামনের সারিতেই ছিলেন। তারপর ১৯৫০ ও ৬০-এর দশকে পূর্ব বাংলার । গণতান্ত্রিক বামপন্থীদের সংগ্রামে তিনি হয়ে ওঠেন। বগুড়ার রাজপথের সাহসী সৈনিক। ১৯৪৮ থেকেই পূর্ব বাংলার গণতন্ত্রকামী মানুষের অধিকার দমনে পাকিস্তানি শাসকদের দমননীতি ক্রমশ প্রচণ্ড হয়ে ওঠে । ৫০-এর দশকের প্রথম পাদেই গ্রেফতার হন আবু ইসলাম কিছুদিন আত্মগােপন থাকার পর । অতঃপর কারাগার থেকেই পরীক্ষা দিয়ে প্রথম বিভাগে ইন্টারমিডিয়েট পাস (১৯৫৬)। মুক্তি পাবার পর আজিজুল হক কলেজ থেকে বি.এ. (১৯৫৮) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল.এল.বি. (১৯৬০)। ১৯৬১ সাল থেকে বগুড়ার আদালতে আইন ব্যবসায় নিয়ােজিত। তাঁর জীবনের শেষ যুগ কেটেছে কানাডার টরটোতে সপরিবারে প্রবাসে । শুরু করেছিলেন নতুন করে অধ্যয়ন ও লেখালেখি । কিন্তু ঘাতক ক্যান্সার তার লেখালেখির পরিকল্পনা সমাপ্ত করতে দেয়নি। তবুও। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত অদম্য ইচ্ছাশক্তি নিয়ে আশা করতেন, পৃথিবী একদিন শােষণমুক্ত হবে; মানুষ হবে দীর্ঘজীবী।