"গল্পে-জল্পে জেনেটিক্স - ১ম ও ২য় খণ্ড" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: এইতাে কদিন আগে আমাদের দেশের বিজ্ঞানী ড.মাকসুদুল আলম আমাদেরকে গর্বের অংশীদার হওয়ার সুযােগ করে দিয়েছেন পাটের জিন মানচিত্র আবিষ্কার করে। সন্তানের চেহারা মা- বাবার মতাে হয় কারণ সন্তানের শরীরে থাকে মা-বাবার জিন। পৃথিবীর প্রত্যেকটা জীবের আকার, বৈশিষ্ট্য কেমন হবে সেটা নির্ধারণ করে দেয় তার জিন। কখনও ভেবে দেখেছি কি, আমরা যে খাবার খাই, সেটা ধীরে ধীরে আমাদের শরীরেরই অংশ হয়ে যায়? এই হজম প্রক্রিয়ার নেতৃত্বে থাকে নানান রকম প্রােটিন, আর প্রােটিন তৈরির নির্দেশ দেয় জিন। হয়তাে মানুষ এখন চাইলে ঠিক তার মতাে আরেকজন মানুষ ক্লোন করে ফেলতে পারবে জিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে । কিন্তু এই জিন জিনিসটা আসলে কী, এটি কিভাবে কাজ করে ? কিভাবে মানুষ আবিষ্কার করল এই জিন? আগামী শতাব্দী কি জিন প্রকৌশলের শতাব্দী হতে চলেছে? মানুষ কি পারবে মানুষ ক্লোন করতে? এই প্রশ্নগুলাের উত্তর লুকিয়ে আছে বহু বছর আগে শুরু হওয়া জীবনের এক গল্পের মাঝে, যে গল্পের অংশ আমরা সবাই। গল্পে- জল্পে জেনেটিক্স' বইটিতে কার্টুনের সাহায্যে সেই গল্পটাই বলা হয়েছে।
Title
গল্পে-জল্পে জেনেটিক্স - ১ম ও ২য় খণ্ড (রকমারি কালেকশন)
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের যে ক’জন তরুণ লেখক পাঠকদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন, চমক হাসান তাদের মাঝে অন্যতম। তিনি শুধু লেখক হিসেবেই নয়, একজন সফল ইউটিউবার এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যক্তিত্ব হিসেবেও ব্যাপকভাবে সমাদৃত। ১৯৮৬ সালের ২৮ জুলাই কুষ্টিয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন চমক হাসান। সেখানেই অতিবাহিত করেন শৈশব ও কৈশোর। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত কুষ্টিয়ায় পড়াশোনার পর তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যারোলাইনা-তে পিএইচডি সম্পন্ন করছেন। চমক হাসান একজন স্বপ্নদ্রষ্টা, যাঁর আশা হলো- এদেশের ছাত্র-ছাত্রীরা গণ্ডীবদ্ধ শিক্ষাব্যবস্থা থেকে বের হয়ে সহজ ভাষায় লেখা পাঠ্যবই পড়বে এবং বড় হবে বিজ্ঞানকে ভালোবেসে, যার ফলে এ বিষয়ে তিনি লেখালেখি শুরু করেন। গণিত ও বিজ্ঞানকে ভালোবেসে রচিত চমক হাসান এর বই ১৪টি। চমক হাসান এর বই সমূহ এর মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো 'অঙ্ক ভাইয়া', 'অসাম স্টুডেন্টদের অসাম বিজ্ঞান প্যাকেজ', ‘গণিতের রঙ্গে হাসিখুশি গণিত', ‘গল্পে গল্পে জেনেটিক্স’ ইত্যাদি। চমক হাসান এর বই সমগ্র ছাত্র-ছাত্রীদের সহজে গণিত ও বিজ্ঞান বুঝতে নানাভাবে সাহায্য করে। গাইতে-পড়তে-শিখতে- জ্ঞান সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে পছন্দ করা এই মানুষটি নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন পড়াশোনাকে যথাসম্ভব আনন্দময় করে তুলতে। এদেশের শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে সহজ ভাষায় সবচেয়ে আনন্দময় উপায়ে পাঠ্যবই পড়বে, এবং সেই সাথে তারা সত্যিকার অর্থেই বিজ্ঞানকে ভালোবেসে সবকিছু বুঝে বুঝে শিখব, মুখস্ত করে নয়- এই স্বপ্ন নিয়েই লেখালেখি চালিয়ে যাবার শপথ নিয়েছেন জনপ্রিয় এই তরুণ লেখক।