আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের মতো একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। বলতে গেলে সময়ের দাবি। কারণ আমরা পরিবেশ সচেতন খুব একটা ছিলাম না। পরিবেশ যে ক্রমাগত বিপন্ন হচ্ছে, যেভাবে বিনষ্টের দিকে যাচ্ছে, অসচেতনতার কারণে পরিবেশের যে কত ভয়াবহ। ক্ষতি হচ্ছে এগুলো সম্পর্কে আমাদের বক্তব্য তেমন সুস্পষ্ট ছিল না। বলা যায়, ধারণাও সেরকম প্রগাঢ় ছিল না। ভাসা ভাসা প্রতিবেদনের মাধ্যমে নানারকম উৎকণ্ঠিত প্রহরে পরিবেশ বিপর্যয়ের কথা পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এরপরও সামগ্রিকভাবে পরিবেশ যে একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার সেটা সম্পর্কে সচেতনতা তেমন একটা বৃদ্ধি পায়নি। এক্ষেত্রে 'প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন' প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করে সমাজের সর্বস্তরে পরিবেশ সংক্রান্ত সচেতনতা ছড়িয়ে দেয়। পরিবেশ আমাদের সুন্দর জীবনযাপনের সঙ্গে জড়িত। পরিবেশ জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে অর্থপূর্ণভাবে বেঁচে থাকার মতো উপযোগী করে তোলে। আমরা যদি সুন্দর করে বেঁচে না থাকি, তাহলে আমাদের জীবনের এত উন্নয়ন এত বিকাশ এত সমৃদ্ধি এগুলো কিন্তু অর্থপূর্ণ হবে না। এই পুরো ব্যাপারটাই তখন দাঁড়াবে— যেই গাছ আমাদের ছায়া দেয়, খাদ্য দেয়, বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয় শ্বাসপ্রশ্বাসের জোগান দেয় সেই গাছকেই আমরা অবিবেচকের মতো ক্রমাগত ধ্বংস করছি- এটা হওয়া কিন্তু উচিত না। গাছ কাটায় বনাঞ্চল সংকুচিত হওয়ার ফলে আমাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। এখন তো বৈশ্বিক দুর্যোগের কারণে প্রকৃতি এতটাই বিপন্ন হয়ে পড়েছে যে আমাদের দেশ এখন সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। প্রাকৃতিক বিপর্যয় প্রতিনিয়ত ছোবল হানছে, আঘাত করছে জনজীবনে, তার ফলশ্রুতিতে প্রভাবিত হচ্ছে আমাদের সামগ্রিক জীবনযাত্রা। বায়ুদূষণের কথাই ধরা যাক, যারা পৃথিবীর বিভিন্ন শহরের বায়ুর মান পর্যবেক্ষণ করেন, তাদের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এক দিনের গড় সূচক হিসেবে পৃথিবীর সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহর ঢাকা। দূষণে প্রথম হওয়া, এটা মোটেই গৌরবের নয়, বরং এতে আমাদের প্রকৃতির বিপন্নতার লক্ষণই প্রকট হয়ে ওঠে। এই সামগ্রিক অবস্থা আজকের নয়। বহু বছর ধরেই ক্রমাগত চলে আসছে, যা অনুধাবন করে আজ থেকে দশ বছর আগে 'প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন' গঠিত অশনিসংকেত ৯
(জন্ম: ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর) আলী ইমামের জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। জন্মের ৬ মাস পরই পুরো পরিবারসহ ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করেন। পুরো পরিবারসহ থাকতেন পুরান ঢাকার ঠাটারীবাজারে।বাংলাদেশী শিশু সাহিত্যিক এবং অডিও ভিজ্যুয়াল ব্যবস্থাপক। আলী ইমাম বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহা-ব্যবস্থাপক ছিলেন এবং ২০০৬ সালে চাকুরী থেকে অবসরগ্রহণ করেন। গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ফিচার, ভ্রমণকাহিনী, বিজ্ঞান কল্পকাহিনী সবই তিনি লিখেছেন বাচ্চাদের জন্য