বিভিন্ন দৈনিক ও প্রকাশনার জন্য ড. আতিউর রহমানের লেখা বাছাইকৃত নিবন্ধের এই সঙ্কলনটি তিনটি অধ্যায়ে বিভক্ত। প্রথম অধ্যায়ের লেখাগুলোর বিষয়- বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও দর্শনের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ, এ সময়ে রবীন্দ্র ভাবনার প্রাসঙ্গিকতা, জাতীয় বাজেটের পর্যালোচনা এবং করোনাকালে চরের মানুষের জীবন-জীবিকার চ্যালেঞ্জের মতো সমকালিন বিষয় নিয়ে লেখা নিবন্ধগুলো সঙ্কলিত হয়েছে দ্বিতীয় অধ্যায়ে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে এসে বাংলাদেশের অর্জনগুলো পেছন ফিরে দেখা এবং সামনের দিনে এগুনোর পথনকশা কেমন হতে পারে- এ নিয়ে দৈনিকে প্রকাশিত লেখাগুলো সঙ্কলিত হয়েছে ‘পঞ্চাশে বাংলাদেশ নামের তৃতীয় অধ্যায়ে। স্বাধীনতার অব্যবহিত পরবর্তি কাল থেকে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ‘যুদ্ধের ছাই-ভস্ম থেকে সমৃদ্ধির পথে' শুরু হওয়া সংগ্রাম থেকে শুরু করে বাংলাদেশের অসামান্য সাফল্যের সামষ্টিক অর্থনৈতিক অভিযাত্রার গল্পগুলো এ অধ্যায়ে সঙ্কলিত করা হয়েছে । পুরো ২০২১ জুড়েই করোনা মহামারির স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি মোকাবেলা এবং মহামারিজনিত অর্থনৈতিক স্থবিরতা থেকে ঘুরে দাঁড়াবার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দারুণ সাফল্য দেখিয়েছে। প্রতিকুলতার মুখে এমন লড়াই করে কেবল টিকে থাকা নয়, বরং এগিয়ে যাওয়াও যে সম্ভব- বাংলাদেশ তা দেখিয়ে দিয়েছে, এখনও দিচ্ছে। এই বইয়ে সঙ্কলিত লেখাগুলোতে বাংলাদেশের এহেন সাফল্যের পেছনের কারণগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। মনে রাখতে হবে, সামনে আরও চ্যালেঞ্জ রয়েই গেছে। ঐ চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করে কিভাবে এগুনো সম্ভব সে দিকটিতেও আলোকপাত করা হয়েছে এখানকার লেখাগুলোতে। ‘লড়াকু বাংলাদেশ: অসামান্য উন্নয়নের উপাখ্যান' শিরোনামের এই বইটি বাংলাদেশের উন্নয়নের গতিধারা এবং বঙ্গবন্ধু ও রবীন্দ্রনাথের মতো শ্রেষ্ঠ বাঙালিদের জীবন ও চিন্তার বিষয়ে পাঠকদের আরেকটু আগ্রহী করে তুলবে বলে মনে হয়।