স্বল্পোনত থেকে ডিজিটাল, ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মতাদর্শন নিয়ে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলা ভারী যানের চালকের আসনে বসে থাকা এক নারী সত্তার যোগ্যতা, সাহস আর দেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশই বর্তমান বাংলাদেশ এবং এর সার্বিকতা। নারী সত্তাটি দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি একজন মা, একজন কন্যা, একজন মানবদরদী নেত্রী এবং সর্বোপরি একজন স্বপ্নবাজ তরুণী; যিনি কী না পিতার দেখা অসমাপ্ত স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য দীর্ঘ বিয়াল্লিশ বছর ধরে যুদ্ধ করে যাচ্ছেন। আর প্রতিবারই তিনি হারিয়ে যাচ্ছেন তাঁর বিশ্বস্ত সৈনিকদের, যারা তাঁকে বাঁচানোর জন্য অকাতরেই বিলিয়ে দিয়েছে প্রাণ। কিন্তু এতো বিভীষিকা আর বীভৎসতা দেখার পরেও তিনি বিন্দুমাত্র পিছুপা হন নি, ভয় পান নি, দেশের জনগণকে ছেড়ে যান নি। বরঞ্চ, স্বপ্ন পূরণে আরো উদ্যম গতিতে ছুটে চলেছেন অবিরত। আদতে, দেশিকোত্তম দেশরত্ন নামটি নেওয়া হয়েছে উঁনার প্রাপ্ত বহু উপাধি ও পুরস্কারের মধ্য থেকে। তাঁর অকুতোভয়তা, সাহসিকতা আর মানবিক গুণাবলির জন্য বিশ্বের বিভিন্ন সম্মানিত ও ক্ষমতাশীল ব্যক্তিবর্গ এবং আর্ন্তজাতিক মিডিয়া ও পত্রিকাগুলো তাঁকে একাধিক নামে, একাধিক মুকুটে এবং একাধিক সম্মানে সম্মানিত করেছে। উপরের সমস্ত লেখাই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মাননীয় শেখ হাসিনার তরে, আমাদের আপার জন্য। এর পাশাপাশি, উক্ত কাব্যগ্রন্থটি রচিতই হয়েছে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন, রাজনৈতিক জীবন এবং বলিষ্ঠ নেতৃত্বের গুণাবলির সমষ্টি আকারে। প্রিয় পরিপক্ক মানসিকতার পাঠক, বাংলা সাহিত্যের জগতে এহেন কবিতা, এহেন অঙ্কন এবং এহেন লেখায় অভাবনীয় বৈচিত্র্যের সাক্ষী হবেন আপনি। ক্ষমতার মসনদে বসা প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে আরো নতুন কিছু জানতে ও উঁনার ক্লিষ্ট পথের যাত্রাগুলোকে অনুভব করতে, আপনাকে স্বাগত উক্ত কাব্যগ্রন্থে।
বাংলাদেশের সর্বস্তরের পাঠকদের জন্য সর্বপ্রথম কিস্তিতে বই কেনা কার্যক্রম চালু করার পাশাপাশি শিক্ষা, বৃদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ এবং জনসাধারণের সেবা গ্রহণের রুক্ষতাকে সাবলীল করার প্রয়াসে ই-কমার্স, প্রযুক্তি, রেস্তেরাঁ সহ নানান সেবাখাতে কাজ করে যাওয়া প্রতিষ্ঠান ❝বারোমাসি❞-এর প্রতিষ্ঠাতা মিঁয়া মোহাম্মদ খালিদ সাইদুল্লাহ ফয়সল-এর জন্ম পনেরো নভেম্বর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইআর) থেকে ❝ভাষাশিক্ষা❞-র উপর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে, ভাষাশিক্ষাজ্ঞ-এর যোগ্যতা অর্জন শেষে, বর্তমানে পেশাবৃত্তিক অঙ্গনে ব্যস্ত থাকার পাশাপাশি ভিন্ন ভিন্ন ঘরানার সৃজনশীল কাজে নিয়মিতভাবে আনাগোনা করে যাচ্ছে। বোর্ডিং স্কুলে, শখের বসে লেখালিখি করে পুরষ্কার জিতে নেওয়ার আগেই, রাশিয়ান রূপকথার গল্প আর কবিতার ছন্দে মোহবিষ্ট হয়েই, বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন ঘরানার একনিষ্ঠ পাঠক হিসেবে এখনো পর্যন্ত আনাগোনা চালিয়ে যাচ্ছে। সৃজনতাকে ভালোবাসার ফলেই, তার হাঁটা হয়েছে নানা ঘরানায়। গান-কবিতা লেখার পাশাপাশি চিত্রনাট্য লেখা ও শর্টফিল্ম নির্দেশনা করার মতো অভিজ্ঞতাও আছে ঝুলিতে। লেখালিখির জগতে কবি ❝মিঁয়া ভাই❞ কিংবা ❝ভাই ফয়সল❞ নামেই বহুল পরিচিত এবং পাঠক-পাঠিকার কাছে সমাদৃত। গল্প, উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ, ছড়া সহ প্রায় সব ঘরানায় তার রচিত গ্রন্থের সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে প্রতি বছর।