কবি ও কথাসাহিত্যিক সাঈদা আজিজ চৌধুরীর ‘জাফরান সিঁদুর’ গল্পগ্রন্থটিতে চারটি গল্প রয়েছে। মৃন্ময়ী তৃষ্ণা গল্পের মূল চরিত্রে সাবা ঢাকা ভার্সিটির এবং শাহান বুয়েটের শিক্ষার্থীর চমৎকার সম্পর্কের যবনিকা নিদারুণ ঘটনার প্রবাহে চলমান থাকে। যা শতাব্দী কালের ইতিহাসের পৃষ্ঠায় প্রেম-বিরহের মহাকাব্যিক উপাখ্যান হয়ে পাঠকের কাছে ফিরবে মৃন্ময়ী তৃষ্ণার পদাবলিরূপে। অনিক আর পৃথুলার দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক। কিন্তু ঘটনা প্রবাহে ভালোবাসার সেই মঞ্চে সাগরের প্রবেশ বেশ নাটকীয়। এমনি ত্রিমুখী অথচ নিরেট ভালোবাসা ও রোমাঞ্চকর ঘটনার আবর্তে কাহিনি এগিয়ে যায়। এক কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে কিভাবে যাপিত জীবনে সফলকাম হওয়া যায়, তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। গল্পের নায়িকা সিঁদুর। কপালের সিঁদুর মুছে দিলে যেমন লাল দাগ হয়, তেমনি একটি জন্মদাগ আছে তার কপালে। মা-বাবা অতি আদরের কন্যা সন্তানের নাম রাখেন জাফরান সিঁদুর। সমাজ সচেতন লেখক সমাজে প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া ঘটনাকে বিভিন্ন চরিত্র চিত্রায়নের মাধমে তুলে আনবার চেষ্টা করেছেন। উক্ত গল্পের প্রত্যেকটি চরিত্র যেন এক একটি ঘটনার প্রতিচ্ছবি। চিঠি সাহিত্য বেশ সমৃদ্ধ ও জনপ্রিয় ছিল একসময়। কিন্তু কারো লেখা চিঠি যদি কারো জীবনের ঘটনার কেন্দ্রিয় চরিত্র হয়ে ওঠে, তাহলে কেমন হবে। তেমনি একটা ভিন্ন স্বাদের গল্প ‘চিঠি’। এছাড়াও ‘প্রেমের বেদিতে শুকনো গোলাপ’ গল্পে কিছু চমক রয়েছে। কবি ও কথাসাহিত্যিক সাঈদা আজিজ চৌধুরীর ‘জাফরান সিঁদুর’ গল্পগ্রন্থটি পাঠকপ্রিয়তা পাবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। লেখকের জন্য শুভকামনা। আবুল খায়ের, কবি ও প্রকাশক