জ্ঞান বিজ্ঞানের চরম উন্নতির বর্তমান শতাব্দিতে সৃজনশীল চিন্তা ও বিজ্ঞানমনস্ক আধুনিক সভ্যতার বিকাশে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে সৃজনশীল প্রকাশনা শিল্পের গুরুত্ব সীমাহীন।
বাঙালি জাতীয় চেতনার উৎকর্ষতায় বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে বিশ্ব দরবারে স্ব-মহিমায় প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম পাথেয় হল সৃজনশীল শক্তির বিকাশ ও সাহিত্য সংস্কৃতির অব্যাহত পদযাত্রা। এ যাত্রার অন্যতম বাহন প্রকাশনা শিল্প।
সাহিত্য জাতির জীবনদর্শন আর সংস্কৃতি তার প্রাণ। সৃজনশীল চিন্তা ও গবেষণা সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রাণ। এই প্রাণের ছন্দবিন্যাসের নিরন্তর অভিযাত্রী ‘কলি প্রকাশনী’। জ্ঞান ও সৃজনশীলতার বিকাশে বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তা, গবেষণা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাসমৃদ্ধ জাতি গঠন, মেধাবিকাশে সহায়ক শিশু-কিশোর প্রকাশনা, সুস্থ সমাজ নির্মাণে সাহিত্য ও সংস্কৃতির উৎকর্ষ সাধনে ‘কলি প্রকাশনী’ অঙ্গিকারবদ্ধ।
এসব মহৎ কর্মধারা নিয়ে সৃজনশীল প্রকাশনার জগতে ‘কলি প্রকাশনী’র অগ্রযাত্রা ২০১০ সালে। প্রতিষ্ঠানটি মননশীলতার বিকাশে আধুনিক সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার লক্ষ্যে সৃজনশীল সাহিত্য প্রকাশে অঙ্গীকারবদ্ধ। বিষয় বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ গ্রন্থ প্রকাশের দ্বারা ইতোমধ্যে এ প্রকাশনার সুনাম ও খ্যাতি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে।
সাহিত্য ও সংস্কৃতির সকল শাখার বৈচিত্র্যময়তায় মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রবন্ধ, গবেষণা, বিজ্ঞানমুখি প্রকাশনা, শিক্ষামূলক গল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস, কবিতা, নাটক, স্বাস্থ্য বিষয়ক রচনা, রম্য রচনা, রূপকথার গল্প, বিশ্বসাহিত্য, অনুবাদ, বৈজ্ঞানিক কল্প-কাহিনি, গোয়েন্দা কাহিনি, হরর গল্প, ছড়া সাহিত্য, ইতিহাস, ঐহিত্য, ক্রীড়া, ভ্রমণ, আত্মজীবনী, জীবনী, স্মৃতিচারণ, চলচ্চিত্র, কৃষি, লোকসাহিত্য, রান্নাবান্না, ধর্ম-দর্শনসহ বিবিধ গ্রন্থের বিশাল সমাহার নিয়ে সৃজনশীলতার জগতে ‘কলি প্রকাশনী’র অগ্রযাত্রা অন্য উচ্চতায় প্রশংসনীয়। ইতিমধ্যে কলি প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৩৬০ টি।
প্রখ্যাত প্রথিতযশা কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, কলামিস্ট ও সৃজনশীল সাহিত্যপ্রেমীদের এক অপূর্ব সমাহার এই প্রতিষ্ঠান। এছাড়া প্রতিশ্রুতিশীল লেখকদের অব্যাহত প্রকাশনা এ প্রতিষ্ঠানকে সমৃদ্ধ করেছে। কলি প্রকাশনীতে মেধাবী নবীন ও প্রবীণ কবি-সাহিত্যিকদের মিলনমেলা। ‘কলি প্রকাশনী’র পথচলা মোঃ জহুরুল হক-এর হাত ধরে। তিনি তাঁর মেধা ও মনন দ্বারা এ প্রতিষ্ঠানকে সমৃদ্ধতর করেছেন। পরবর্তীতে অসুস্থতার কারণে ছোট ভাই হিসেবে আমার হাতে প্রকাশনীর দায়িত্বভার তুলে দিয়েছেন। ‘কলি প্রকাশনী’র প্রতিষ্ঠাতা প্রকাশক হিসেবে আমার বড় ভাই মোঃ জহুরুল হক এখনও নানাভাবে পরামর্শ দ্বারা সৃজনশীলতার চর্চায় বিভিন্নভাবে তাঁর সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন। তাঁর এই অবদানকে কলি প্রকাশনী চিরকৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছে। তিনি দীর্ঘজীবী হোন।
তাঁর হাতে গড়া এই প্রতিষ্ঠানের আগামী দিনের পথচলা আরও সমৃদ্ধ ও উজ্জ্বলতর হবে আমি এই অঙ্গিকারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিকাশের এই পদযাত্রায় আমরা সকলের সহযোগিতা ও নৈতিক সমর্থন কামনা করি।